আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে আগুন

নারায়ণগঞ্জে দুই ছেলেসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার রাতে বসতঘরে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন প্রাণ হারিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বসতঘরে আগুন লেগে শিশুসহ একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ১১ নম্বর সেক্টরের কুমারটেক এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ডেসকোর তার নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইনের ওপর ছিঁড়ে পড়ায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহত চারজন হলো মাছুম মিয়া (৪০), তাঁর স্ত্রী সীমা (৩২), তাঁদের দুই ছেলে রাসেল (১৭) ও রহমত উল্লাহ (৯)।

পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদ্দীপন ভক্ত জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার স্টেশনের কাছাকাছি কুমারটেক এলাকায় ডেসকোর তার নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইনের ওপর ছিঁড়ে পড়লে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় ওই লাইনের নিচে থাকা মাছুম মিয়ার ঘরে আগুন লেগে যায়। এ সময় মাছুম মিয়াসহ তাঁর দুই ছেলে রাসেল (১৭) ও রহমত উল্লাহ (১০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

খবর পেয়ে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘর থেকে মাছুমের স্ত্রী সীমাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিউজ ট্যাগ: ঘরে আগুন

আরও খবর



রোজায় স্কুল খোলা নাকি বন্ধ, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, এ বিষয়ে আপিল বিভাগ আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।

শুনানিতে এ কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

সোমবার সকালে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

তার আগে রোববার (১০ মার্চ) রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।


আরও খবর



২৩ নাবিককে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তাব, বিশেষজ্ঞদের ‘না’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে এম ভি আব্দুল্লাহকে ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলে নেয়ার সময় পিছু নেয় ভারত ও ইউরোপীয় নৌবাহিনী। পরবর্তীতেও চেষ্টা চালায় জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে। এর মধ্যেই শনিবার কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ৩ মাস আগে ছিনতাই হওয়া মাল্টার জাহাজ এম ভি রুয়েন উদ্ধার করে ভারতীয় নেভি।

এমন বাস্তবতায় এম ভি আব্দুল্লায় বিশেষ অভিযান চালানো যৌক্তিক হবে কি না-উঠেছে এমন প্রশ্ন। এক্ষেত্রে সামনে এসেছে কয়েকটি বিষয়। এই যেমন, আব্দুল্লাহর অবস্থান তীর থেকে মাত্র ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে। যা পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। বিপরীতে রুয়েন ছিল ওপেন সি-তে। যেখানে বিদেশি নৌবাহিনীর অভিযানের সুযোগ ছিল। এছাড়া জাহাজে থাকা পণ্যের ঝুঁকির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। 

আব্দুল্লাহর বিষয়টি শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন, এমন একজন জ্যেষ্ঠ মেরিনার ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলছেন, ২৩ নাবিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিবেচনায় অভিযান চালানো সমীচীন হবে না। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান নেভি কমান্ড অপারেশন চালাতে চেয়েছিলো। এর জন্যে তারা অনুমতি চাইলে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ সায় দেয়নি। কারণ এতে নাবিকদের জীবন রিস্কে পরে যেত।

তিনি আরও বলেন, জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, নিয়ন্ত্রণ আর জাহাজে থাকা পণ্যের ধরণ বিবেচনায় অভিযান চালানো কোনভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। মুক্তিপণের পথে হাটাই হবে সমীচীন। তা না হলে তৈরি হবে প্রাণহানির শঙ্কা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, হামলা চালানোর সময় বা এর পরপরই হয়ত অভিযান চালানো যেত। এখন মুক্তিপণের পথ এড়িয়ে জোরপূর্বক কিছু করতে যাওয়া হবে আত্মঘাতী। 

১২ মার্চ দস্যুদের হামলার সময় এমভি আব্দুল্লাহ থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা চেয়ে বার্তা দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ জাহান মণিও ছাড়া পেয়েছিল মুক্তিপণের বিনিময়ে।


আরও খবর



৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি মুন্সীগঞ্জের সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন এখনো নেভেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল ৫ দিন। অপরদিকে, আগুনের কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, দুপুর ১টার দিকে ওই কারখানায় আগুন লাগে। রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ওই কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে কারখানায় আগুন দেখা যায়। এ সময় শ্রমিক ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কারখানার পাশেই নদীতে পাটখড়ি বোঝাই তিনটি ট্রলার ছিল। এক পর্যায়ে কারখানার আগুনে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার তিনটি পুড়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবুল কাসেম বলেন, কারখানার ভেতরে প্রচুর পাটখড়ি ও কাঠের গুড়া ছিল। সকালে কাজ করেছিলাম। প্রতিষ্ঠানের এক পাশে সামান্য আগুন দেখা যায়। পরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পাটখড়িতে লাগা আগুন মুহূর্তেই সম্পূর্ণ কারখানায় ছড়িয়ে যায়। পরে প্রতিষ্ঠান ভেতর আমরা যারা ছিলাম, তারা নিরাপদে বেরিয়ে আসি।

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এ বিষয়ে টিকে গ্রুপের ডিরেক্টর মো. সফিউল আতাহার তাসলিম জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়নি। একদিনে এ আগুন নেভানো সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, আগুন সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে আগুন লেগেছে বা কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জানা যায়নি।


আরও খবর



বিয়ের ২২ দিন পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামী সজীবের। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সজীব তার স্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে ঘটনা খুলে বলেন স্ত্রী। জানান, দীর্ঘদিন ধরে সৎ বাবার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করলে ধর্ষক বাবাকে জেলহাজতে পাঠায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

পুলিশের কাছে নববধূ জানিয়েছেন, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সৎ বাবাও বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত ওই ধর্ষক বাবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। তিনি ১৭ বছর ধরে আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের দুই কন্যাসন্তানের মাকে বিয়ের পর থেকে ঘরজামাই হিসেবে আছেন।

জানা যায়, ২২ দিন আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের সজীবের সঙ্গে একই ইউনিয়নের এক কিশোরীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেন স্বামী সজীব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন, স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কাজী তালাক কার্যক্রম করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. একরামুল হোসাইন বলেন, বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় ওই নববধূর বমি বমি ভাবসহ অন্তঃসত্ত্বার সম্ভবনা লক্ষ করা যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষার পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। ওই কিশোরী বাবা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ওই কিশোরীর বক্তব্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, কিশোরী মেয়ে ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমাদের কাছে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১৯ মার্চ, প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়।

বাণীতে তিনি বলেন, আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।

তিনি বলেন, কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই। তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪