আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ মে 2০২2 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ মে 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ মে) দিনগত রাতে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত দুই বোন হলো, বয়সী চাঁদনী আক্তার (১৩) ও সায়মা আক্তারের (১১) বাড়ি রূপগঞ্জের তালাসপুরে। তারা পরিবারের সঙ্গে বড়ালু এলাকায় ভাড়া থাকত।

রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক হুমায়ুন কবির জানান, বিকেলে স্থানীয় গনি মিয়ার পুকুরে গোসল করতে যায় দুই বোন। তাদের মধ্যে প্রথমে একজন পানিতে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে যায় আরেক বোন। তারা কেউ সাঁতার জানত না। ফলে দুজনই পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক দুই বোনকেই মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সেখান থেকে তাদের মরদেহ নিয়ে বাড়িতে চলে যায় পরিবারের সদস্যরা। এ কারণে ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পায়নি। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পরিবারের সদস্যরা জানায়, দুই বোনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা করে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

৭ ঘণ্টা পর পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ও মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে সাতটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রায় সাত ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত হওয়া দুটি টেনের দুই বগি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাবার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তারপর ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে বগি উদ্ধারে কাজ করে।

পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ঈশ্বরদী

আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে সৌদিতে ৫ পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। গুরুতর আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তদন্তের পর ওই পাঁচজনকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে তারা দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে আসামিদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে রাজকীয় অধ্যাদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়।

সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যায়নি। দণ্ডিতদের মধ্যে পাঁচজনই পাকিস্তানের নাগরিক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও পাচারের ক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছর ডিসেম্বরে আর্থিক বিরোধের জেরে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায়ে বলা হয়, ভুক্তভোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই আসামি তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখে কাপড় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।


আরও খবর



তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, নবায়ন হলো একটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়। পরে দুই দেশের পক্ষে বইয়ে সই করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সমঝোতাগুলো হলো, ভুটানের রাজধানীতে থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি। এছাড়া, নবায়ন হয়েছে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি।

চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময়, টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।


আরও খবর



শুল্ক কমানো হলেও দফায় দফায় বাড়ছে খেজুরের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোজার খাদ্যতালিকায় অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো এবং বাজার তদারকিসহ সরকারের নানান উদ্যোগের পরও কমছে না এ খেজুরের দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে খেজুরের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজিতে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত শুল্ক, ডলার সংকট, এলসি না পাওয়া ও সরবরাহে ঘাটতি।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সৌদি আরবের মেডজুল, মাবরুম, আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। জাম্বো মেডজুল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সাধারণ মেডজুল ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০, মাবরুম খেজুর ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, আজওয়া খেজুর মানভেদে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। এ ছাড়া কালমি মরিয়ম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, সুফরি মরিয়ম ৭৫০ থেকে ৮০০, আম্বার ও সাফাভি ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ও সুক্কারি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

তবে পাড়া মহল্লার বাজার ও দোকানে এসব দামি খেজুর বিক্রি হচ্ছে আরও ৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে। সাধারণ মানের খেজুরের মধ্যে খুচরায় বর্তমানে প্রতি কেজি গলা বা বাংলা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, জাহিদি খেজুর ৩০০ থেকে ৩২০ ও মানভেদে দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরই খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫৪০ টাকায়।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালে রোজার আগে জাহেদি ব্র্যান্ডের খেজুরের দাম ছিল কার্টনপ্রতি (১০ কেজি) ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। চলতি বছরের দুই সপ্তাহ আগেও একই ব্র্যান্ডের খেজুরের দাম ছিল কার্টনপ্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টন ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৭৫০ ডলার। ফলে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর পরও খুচরা বাজারে দামে খুব একটা প্রভাব পড়ছে না।

আমদানিকারকরা জানান, এমনিতেই ডলার সংকটের কারণে তারা চাহিদা অনুযায়ী খেজুর আমদানি করতে পারছেন না। এর মধ্যে প্রকৃত মূল্যের চেয়েও বাড়তি দামে শুল্কায়ন খেজুরের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছে। যৌক্তিক অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণে কাস্টম কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও তারা কোনো প্রতিকার পাননি।

এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে খেজুরসহ চার পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা অনেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর আমদানি করে বন্দরে খালাস না করে রেখে দেন। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারির পর ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ খেজুর খালাস করেননি। যার ফলে দামে এর প্রভাব পড়ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাস্টমস নিজেরা নিজেরা পণ্যের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু করছে। গত বছর আমরা যে পণ্য ১ হাজার ডলার দিয়েছি এবার সে পণ্যের দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার ধরেছে। আমরা ইরাক তিউনেসিয়া, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর আমদানি করে থাকি। ইরাকি খেজুর ৯০০ ডলারে এলসি খুলেছি, আবর আমিরাতের খেজুর ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলারের, আলজেরিয়া থেকে ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলারের এলসি খুলেছি। পণ্যের কাস্টমস দিতে গিয়ে দেখি ৯০০ থেকে ১২০০ ডলারের এসব পণ্যের ভ্যালু ২ হাজার ৫০০ ডলার ধরেছে। যার কারণে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। এখন দাম কমানোর বিষয়টা কাস্টমসের ওপর নির্ভর করছে।


আরও খবর



মিয়ানমারের শরণার্থীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে পালিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে ভারত। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুর থেকে গত শুক্রবার প্রথম দফায় কয়েকজনকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক্সে এক পোস্টে লেখেন, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রথম দলকে আজ (শুক্রবার) ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

মিয়ানমারের সঙ্গে ভিসামুক্ত সীমান্ত নীতি থেকে সরে আসার কয়েক সপ্তাহ পর আশ্রয়প্রার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করল ভারত। সামনের দিনগুলোতে এমন আরও অনেককে ফেরত পাঠাবে দেশটি।

প্রথম দফায় কতজনকে পাঠানো হয়েছে, সেই সংখ্যা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। যতটুকু জানা গেছে, অন্তত ৭৭ শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মনিপুর সরকার, যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।

২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সেখান থেকে পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেয় দেশটির হাজারো নাগরিক। বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের আক্রমণের মুখে শত শত সেনাসদস্যও পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছর পর মিয়ানমারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। যুদ্ধবিধ্বস্ত এমন পরিস্থিতিতেই আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত।

মনিপুরের সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ রয়েছে মিয়ানমারের। সীমান্তের দুই পাশের মানুষের মধ্যে জাতিগত মিলও রয়েছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে সংঘাতে উত্তপ্ত হওয়া মনিপুরে মিয়ানমারের শরণার্থীদের কারণে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়ার ঝুঁকি দেখছে দিল্লি। গত বছরের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় মণিপুরে প্রায় ২০০ জনের প্রাণ গেছে।

নাম প্রকাশ না করে ভারতের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে ভারতের সীমান্ত শহর মোরেহ-তে নেওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এক্সে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন নারী শরণার্থীকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভ্যানে তুলে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর