আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৩ মামলার আসামি নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ চোনপাড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সিটি শাহীন (৩৫) নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। নিহত শাহীন হত্যাসহ ২৩ মামলার আসামি। এ ঘটনায় র‍্যাবের পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪৫ গ্রাম হেরোইন, পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে বলেও র‍্যাব জানায়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, শাহীন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করছে র‍্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি শাহীন চোনপাড়া বস্তিতে আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সিটি শাহীন ও তার ১০-১২ জন অস্ত্রধারী সহযোগী র‌্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়।

তিনি বলেন, র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় শাহীন। পরে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিটি শাহীনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা, তিনটি হত্যা চেষ্টা মামলা, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন, পুলিশের ওপর হামলা, যৌন নিপীড়ন এবং অস্ত্র মামলাসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।


আরও খবর



মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের জন্য প্রস্তুত দশ গাড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় নতুন সদস্যরা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারপ্রধানের যে কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মন্ত্রিসভার নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়বে কি না এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; এগুলোয় কোনো-না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মন্ত্রী হতে পারেন এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমি যা বলি একবারেই বলব।

তবে সূত্র জানায়, নতুন করে শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রীদের জন্য ১০টি গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১১ জানুয়ারি। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হলেও শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শুধু মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রসারণ হলে ফাঁকা থাকা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এই মন্ত্রণালয়গুলোতেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মন্ত্রী থাকলেও নতুন মন্ত্রিসভায় সেটা এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। এজন্য অনেকেই মনে করছে, এখানেও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।


আরও খবর



এক বছরে চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ। তবে দেশের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষকই এখন সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬.৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি। এরই মধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারেন না। এমনকি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে কৃষক নিজে যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে তিনি তা-ই বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩-এ বলা হয়েছে, পেশাগত জায়গায় শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারের মধ্যে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কৃষক পরিবার নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকটে রয়েছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্য পেশাগুলোর ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর চেয়ে অনেক কম। যারা শিল্প খাতে কাজ করেন তাদের খাবারের বিপদ সব পেশার মধ্যে সবচেয়ে কম।

শিল্পের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ১৬.৬৪ শতাংশ। সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে তা ২০.২৮ শতাংশ, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারের ২০.০৩ শতাংশ, অন্য পেশার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৯২ শতাংশ। আর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ০.৮৩ শতাংশ।

বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের ডিসেম্বরের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কৃষিকাজ ছেড়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন হতাশার কারণে তারা এ পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, আয়ের বৈষম্য, যান্ত্রিকীকরণের কারণে কাজের ক্ষেত্র কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে কৃষি পেশা ছাড়ছে মানুষ। অনেক কৃষকই এখন নিজের দেশে চাষ করার বদলে বিদেশে গিয়ে অন্যের জন্য ফসল ফলাচ্ছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই যাচ্ছেন কৃষিকাজে।

শ্রমশক্তি জরিপ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, কৃষি পেশায় যুক্ত কর্মী তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষেও সংখ্যাটি ছিল তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার।

কৃষকদের নিজের পেশা ছেড়ে দেওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে। বিবিএস এখন জিডিপির হিসাব প্রতি প্রান্তিকেই দিয়ে থাকে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের জিডিপি দাঁড়ায় ৬.০৭ শতাংশ। এ প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি এতটা কমেছে যে দেশের খাদ্য উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮৪ শতাংশ। অথচ এর আগের অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.০৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষির প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে। ফলে খাদ্যপণ্যের আমদানিনির্ভরতা আরো বাড়ছে।

কৃষকদের এত বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকরা বিশেষ করে এখন যে উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য এসেছে সেগুলো উৎপাদন করে বিক্রি করে ফেলেন। তারা নিজের খাবারের জন্য যা রাখেন সেগুলো খুবই সামান্য, অপুষ্টিকর। কাজেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তাদেরই বেশি হবে। যেমনতারা দুধ বিক্রি করে ফেলেন, নিজের জন্য রাখেন না। দুধ পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্য রাখেন না। তারা দুধ বিক্রি করে খাদ্য, কাপড়সহ অন্য কিছু কেনেন।

খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় কম। সে হিসাবে তারা মাছ-মাংস কিনে খেতে পারেন না। তারা যেসব শাক-সবজি খান সেগুলোও একেবারেই নিম্নমানের, সব বিক্রি করার পর যা থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পুষ্টি নিয়ে তাদের শিক্ষা বা সচেতনতা কম। সে জন্যও তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি।

দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে রয়েছে তা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ নিজে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নষ্ট হওয়া ও অপচয় কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।


আরও খবর



সভাপতি পদের দায়িত্ব না নিতে ব্যারিস্টার খোকনকে চিঠি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪ জনকে দায়িত্ব গ্রহণ না করতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

বুধবার (২৭ মার্চ) ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক যৌথসভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসঙ্গে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/ আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫-এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/ আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। গত ১০ মার্চ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল খায়ের এ ফলাফল ঘোষণা করেন।


আরও খবর



চার দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। এবারের ডিসি সম্মেলনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে আসা ৩৫৬টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রস্তাব উঠছে। শনিবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সচিব জানান, এবারের সম্মেলনের বিশেষত্ব হলো নতুন সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেবেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবার সম্মেলনে ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২৫টি। এছাড়া একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/সিনিয়র সচিব/সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

এবার সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে সেনাবাহিনীর অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হবে।

এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোয় জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এজন্য আজ (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২২টি। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসরণ, স্বাস্থ্যসেবা পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত বছর অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে উত্থাপিত ২১২টি প্রস্তাবের ১৩০টি বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ৮২টি বাস্তবায়নাধীন। বাস্তবায়নের হার ৬২ শতাংশ। বাস্তবায়ন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সন্তুষ্ট। বাস্তবতা এবং বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে সাংবাদিকদের করা এমন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ডিসির অধীনে এমন কাজ হতেই পারে না। তবে প্রকল্পের বিষয় হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এসি ল্যান্ড থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বস্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারপরও ভূমি নিয়ে এত সমস্যা কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এড়িয়ে যান সচিব।

ডিসির বাংলা অর্থ জেলা প্রশাসক কেন-এমন প্রশ্নের জবাবও তার জানা নেই বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া ডিসি সম্মেলনে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে, তাও সচিবের এ মুহূর্তে জানা নেই বলে জানান তিনি।

এবারের সম্মেলনে সর্বাধিক প্রস্তাব এসেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে, তাহলে দেশে সড়ক ব্যবস্থাপনার বেহাল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তা এখন বলা যাবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিবরা আলোচনা করে কর্ম-অধিবেশন শেষে গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ডিসি সম্মেলন

আরও খবর



নায়িকা বানানোর টোপ দিয়ে অঙ্কিতাকে কুপ্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

একতা কাপুরের পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। এর পর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইতিমধ্যেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকেও কাস্টিং কাউচের নোংরামি’র শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

হাটারফ্লাই নামের এক সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অঙ্কিতা জানান, এক দক্ষিণী সিনেমায় নায়িকা হওয়ার অফার তার কাছে এসেছিল। সিনেমার জন্য অডিশন দেওয়ার পর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার পর মিটিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো চুক্তিপত্র সই করার জন্য তাকে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী। এমনকি মাকে ফোন করে এই সুখবরও দিয়েছিলেন তিনি। পরে মনে আনন্দ নিয়েই প্রযোজনা সংস্থার বলা জায়গায় গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেখানে একটি ঘরে তাকে ডাকা হয়। কোর্ডিনেটরকে বলা হয় বাইরে দাঁড়াতে।

তোমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে’, প্রথমে এই কথাই বলা হয়েছিল অঙ্কিতাকে। বিপদ আঁচ করতে পারছিলেন অভিনেত্রী। তাও সরাসরি প্রশ্নকর্তার উদ্দেশ্য বুঝতে চাইছিলেন। কী ধরনের কম্প্রোমাইজের কথা বলা হচ্ছে, জানতে চান নায়িকা। তাতেই বলা হয়, তোমায় প্রযোজকের সঙ্গে শুতে হবে।’

এই কথা শুনে চমকে যান অঙ্কিতা। কিন্তু সাহস হারাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্য এই ধরনের নোংরামি’ তিনি করবেন না। সেই অভিজ্ঞতার জন্যই ছোটপর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের সেটেই অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্ত সিনেমায় ব্রেক পাওয়ার কিছুদিন পরই তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। পরে ভিকি জৈনকে বিয়ে করেন অঙ্কিতা। তার সঙ্গেই সম্প্রতি বিগ বস’ শোয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শোয়ে জয়ী হন মুনওয়ার ফারুকি। অঙ্কিতা ছিলেন তৃতীয় রানার আপ।


আরও খবর