নারায়ণগঞ্জের
রূপগঞ্জে শালিসে ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মাহাবুবুর রহমান (২৬) নামে এক যুবককে
ছুরিকাঘাত করে পেটের ভুঁড়ি বের করে ফেলেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার
তারাব পৌরসভার মোগরাকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার
বিকালে আহত যুবক মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের
করেন। পরে উপজেলার মোগরাকুল এলাকার মৃত ফিরোজ ভুঁইয়া ছেলে হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার
থেকে জানা যায়, গত ৮ মাস আগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে মাহবুবুর রহমানের বড় ভাই সোহাগ মিয়াকে
(৪৫) সৌদি আরবে পাঠান সবুজ নামে তাদের এক প্রতিবেশী। প্রতিবেশী সবুজ সৌদি আরবে সোহাগকে
কাজ দেওয়ার কথা বলে নিলেও সে তাকে কোনো কাজ না দিয়ে বরং ফেলে দেয়। বিষয়টি সোহাগের পরিবারের
লোকজন সবুজ ভুঁইয়াকে জানালে সে কিছু টাকা ফেরত দিবেন বলে জানান।
এ বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার
রাতে মোগরাকুল এলাকার আওয়ামী লীগ অফিসে শালিস ডাকা হয়। সেই শালিসে অংশ নিতে মাহবুবুর
রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে পৌঁছালে সুবজের ভাই হৃদয়
ও তার সঙ্গে থাকা আলী আক্কাস, জামাল, মোস্তফা, ইয়ানুসসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে
সজ্জিত হয়ে মাহবুবুর রহমানকে ঘিরে ফেলে এলোপাথাড়িভাবে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে হৃদয়ের
হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মাহাবুবুরের পেটে আঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন
তাদের হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন মাহবুবুর রহমানকে মুমূর্ষু অবস্থায়
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায়
মামলার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।