নারায়ণগঞ্জের
ফতুল্লার বক্তাবলীতে রড দিয়ে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে আলমগীর
হোসেন(৩৪) নামক এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তাকে পেটানোর সময় তার গর্ভবতী স্ত্রী হামলাকারীদের পায়ে ধরেও মারধর থেকে রক্ষা
করতে পারেননি। ইতোমধ্য মারধরের সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের হত্যা
মামলার প্রধান দুই আসামিকে আজ শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গ্রেফতার দুজন
হলেন ওমর ফারুক (৪৬) ও আব্দুল আলী (৬০)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিপোটার সাহেব মাহমুদের নেতৃত্বে আজকের দর্পণের একটি চক্ষুশ টিম ৫দিনের প্রচেষ্টায় অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে এ সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পরে এরপরই বিষয়টি সর্বমহলের নজর কারে।
এর পরে শুক্রবার (১ এপ্রিল) বেলা বেলা ১১টায় আদমজীতে র্যাব ১১ এর সদর দপ্তরে
এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ
পাশা জানান, গ্রেফতার দুই আসামিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম
প্রক্রিয়াধীন।
গত ২১ মার্চ বক্তাবলী
ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় আলমগীর হোসেন হত্যাকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী
বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার
সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) গ্রেফতার আসমি আব্দুল আলীর তিশা ব্রিক ফিল্ড
ও ওমর ফারুকের মারুফা ব্রিক ফিল্ডে লোড আনলোডের কাজ করতেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত
২১ মার্চ এই দুইজনসহ আরও ৩০-৩৫ জন আলমগীরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-পা-দাঁত
ভেঙে দেন। সেইসঙ্গে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। পরবর্তীতে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ আলমগীরকে
উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তী সময়ে আলমগীরকে উন্নত চিকিৎসার
জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা
যায়।
গ্রেপ্তারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
আজকের দর্পণের প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...