আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জের প্রার্থীদের ‘অসম্পূর্ণ হলফনামা’ কার স্বার্থে: সুজন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এ তথ্যগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণ যেন জেনেবুঝে ভোট দিতে পারে। সব তথ্য না দিয়ে কমিশন অবশ্যই ভোটারদের বঞ্চিত করছে

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন বলছে, নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের আয়কর বিবরণীর তথ্য প্রকাশ করেনি এবং তাদের হলফনামাও অসম্পূর্ণ। এর মাধ্যমে ভোটারদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কার স্বার্থে কমিশন এ কাজ করছে?

১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হবে। ওই নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন নিয়ে বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলা হয়। সংস্থার সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার প্রার্থীদের তথ্য তুলে ধরেন।

সেখানে বলা হয়, ইসির ওয়েবসাইটে ৩ প্রার্থীর তথ্য না পাওয়ায় ১৮৬ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। ১২ শতাংশ প্রার্থীর আয়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রার্থীরা সম্পদের যে তথ্য দিয়েছেন, তা প্রকৃত চিত্র নয়।

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, হলফনামায় যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত নয়। হলফনামার যে ছক, তা সঠিক নয়। এতে পরিবর্তন আনতে হবে। হলফনামাগুলো অত্যন্ত দুর্বল। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো এগুলো যাচাইবাছাই করে দেখা। তথ্য গোপন করলে মনোনয়ন বাতিল করা। এই নির্বাচনে অনেক প্রার্থীই অনেক তথ্য দেননি। এগুলো অসম্পূর্ণ। এতে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা।

এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এ তথ্যগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণ যেন জেনেবুঝে ভোট দিতে পারে। সব তথ্য না দিয়ে কমিশন অবশ্যই ভোটারদের বঞ্চিত করছে। এ তথ্যগুলো প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।

বদিউল আলম আরও বলেন, অনেকে করের প্রত্যয়নপত্র দিয়েও পার পেয়ে গেছেন। কিন্তু এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচন কমিশন হয় এদিকে নজরই দিচ্ছে না কিংবা দায়সারা গোছের কাজ করছে। মানুষকে তথ্য জানানো তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কমিশন কার স্বার্থে কাজ করে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় সিইসি নূরুল হুদার এমন বক্তব্যের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সিইসির বক্তব্য বোধগম্য নয়। তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থী নিজের নেতাকর্মীদের হয়রানি, গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ইসির ভূমিকা নেই। ইসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার মাধ্যমে এর আগে খুলনা, গাজীপুরে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন দেখা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সুজনের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ হুদা, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ সুজনের সম্পাদক ধীমান সাহা।

নিউজ ট্যাগ: সুজন

আরও খবর



কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যু : রিটের শুনানি আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হতে পারে আজ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি গত ৩ মার্চ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৩ মার্চ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

৩ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই রিট আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়।

নিউজ ট্যাগ: আদালত বিএনপি

আরও খবর



মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন খলিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার গরুর মাংসের দাম বাড়ালো আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল। কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করা হয়েছে। ২৫ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেও ১০ রোজা শেষে দাম বাড়িয়ে দিলেন। রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের এই ব্যবসায়ী।

খলিল জানান, নানামুখী চাপে আছেন তিনি। খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না। এতে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রেতাদের ভিড় হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।

এর আগে, বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ খলিল গোস্ত বিতান থেকে মাংস কিনছেন। গত শুক্রবার তিনি এক কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন।

বাজারের দরের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে ব্যাপক সাড়া পান খলিলুর রহমান।


আরও খবর



এক ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবশেষে এক ঘণ্টা পর সচল হলো মেটার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার পর থেকে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারছেন ব্যবহারকারীরা। এর আগে, রাত ৯টার পর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট দেখা দেয়। একইসঙ্গে ইনস্টাগ্রামও কাজ করছিল না।

ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৯ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

ব্যবহারকারীরা জানান, রাত ৯টার পর হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক আইডি লগআউট হয়ে গেছে। শুধু মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা নয়, কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও একই সমস্যায় পড়েছেন। অনেকে পুনরায় লগিন হওয়ার চেষ্টা করলে পাসওয়ার্ড ভুল দেখায়। কেউ কেউ পাসওয়ার্ড রিসেট করার পরও লগিন হতে পারেননি। ফেসবুকে প্রবেশ করতে না পেরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।


আরও খবর



বায়ুদূষণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের ১০০টি দূষিত শহরের মধ্যে রবিবার (০৩ মার্চ) শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ সকাল ৭টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক এ তথ্য জানিয়েছে।

তালিকায় আজ সবার শীর্ষে অবস্থান করা রাজধানীর বাতাসের মানের স্কোর ১৯৪, অর্থাৎ নগরবাসীর জন্য ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর। এই অবস্থায় রাজধানীবাসীকে মাস্ক পরাসহ বাইরে ব্যায়াম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তালিকায় ১৬৪ স্কোর নিয়ে আছে ভিয়েতনামের হানোই। এই মানও সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এছাড়া তালিকার শীর্ষ তিন নম্বরে ১৬১ স্কোর নিয়ে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতা। দেশটির এই শহরটির বাতাসও আজ নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



ভারত : বিতর্কিত সিএএ’র বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস- সিএএ) বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশের জবাব দিতে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার নোটিশটি জারি করে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার চার বছর পর, গত ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি; কিন্তু তার পরপরই বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। আইনটি স্থগিতের জন্য বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোও।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১১ মার্চ আইনটি কার্যকরের আদেশ দেওয়ার পর থেকেই সেটি স্থগিতের জন্য আপিল আসতে থাকে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি আপিল জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসব আপিলে স্বাক্ষর রয়েছে অন্তত ২৩৭ জন আবেদনকারীর।

মঙ্গলবার এসব আপিলের ওপর ওপরই শুনানি ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এমন আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাদিপক্ষের আইনজীবী দলের অন্যতম সদস্য নিজাম পাশা বলেন, আইনটি পাসের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতের মুসলিমরা। তাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে বিজেপি সরকার ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায় এবং সিএএ হলো সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

তবে বাদিপক্ষের এই যুক্তির পাল্টায় ভারতের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (সলিসিটর জেনারেল) তুষার মেহতা দাবি করেন, সিএএর মাধ্যমে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই।

উভয়পক্ষের তর্ক ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ কার্যকর করা কেন অবৈধ হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেন। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৯ সালে পার্লামেন্টে সিএএ পাস করে তৎকালীন বিজেপি সরকার । এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। সিএএতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

সিএএ বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এ আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।


আরও খবর