আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে গুদামে বিস্ফোরণে একজন নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জ শহরের সবচাইতে বড় ভোগ্যপণ্যের মোকাম নিতাইগঞ্জের দোতলা পুরাতন একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুনে একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে দিকে নিতাইগঞ্জের ডালপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে ডাল, চাল, ভূষি, লবণ, কাগজের গোডাউন ছিল বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডের পর ছয়টি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।

প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আওলাদ (৪৫) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন এবং অন্তত নয়জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা।

নিহত আওলাদ হোসেন নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ইসলামপুর রোড মদনগঞ্জের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে। আহতদের মধ্যে মো. হোসাইন (৫০), মো. হযরত আলী (৪০), শ্রী রবি দত্ত (৪২), মো. জাকির হোসেন (৪১), মো. বিল্লাল (৪৫), অজ্ঞাত পুরুষ (৪৮), ট্রাকড্রাইভার জগদীশ সরকার (৬৫) নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে জগদীশ সরকারকে ঢামেক থেকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে জেলা আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস দেওয়ানের মালিকানাধীন ভবনটি প্রায় শত বছরের পুরনো বলে জানান নিতাইগঞ্জ বহুমুখী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদির। তিনি বলেন, দশ বছর যাবৎ ভবনটির উপরের তলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বেলা পৌঁনে এগারোটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। তিনি বলেন, জরাজীর্ন একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। ভবনটির দেয়ার ধসে পড়েছে। এতে একজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। বিস্ফোরণের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পুলিশ কাজ করছে।

এব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারি উপ-পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, কি কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তবে ভবনের ভেতরে গ্যাসের পাইপ রয়েছে, গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।

সর্বশেষ ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মো.বাচ্চু মিয়া বলেন, আওলাদ হোসেনের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।


আরও খবর



নয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৯ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পবিত্র শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকমল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ সংক্রান্ত যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পূর্বের ন্যায় যথারীতি সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল মোট ৯ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।


আরও খবর



ছুটির দিনেও আজ ব্যাংক খোলা যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতরের আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও কিছু এলাকায় সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গ্রাহকের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। এর আগে গত রবিবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) বিভাগ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ এবং রপ্তানি বিল বিক্রির সুবিধার্থে তিন দিন সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা থাকবে। শিল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল খোলা থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে।

এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসব এলাকায় ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত। তবে মাঝে জুমার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।


আরও খবর



মুফতি আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি মো. আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গত ২৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে চার্জশিটের বিষয়টি আজ বুধবার জানা গেছে।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, অলিউন নবী সবুজ, মো. কাদের কিবরিয়া সাগর ও এম যুবায়ের আহমেদ।

এছাড়া মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, তাসনিমুল করিম রিজভী ও আব্দুল্লাহ আল আমিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলাটি করেন।

ধর্মীয় ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২১ সালের ২৪ মে মুফতি আমির হামজাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। সংসদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনায় অভিযোগে করা মামলায় আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ওই বছর ৩১ মে মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন।


আরও খবর



ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনবেন যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এই ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এসব যাত্রীদের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তাদের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু অসাধু বাস মালিক-চালকেরা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিল্যান্স টিমের অস্থায়ী অফিসে সদস্যরা বসে থাকলেও তারা এসব দেখার বা প্রতিকার করার প্রয়োজন মনে করছে না।

ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনও যাত্রী অভিযোগ দিলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সামনে ভাড়া নৈরাজ্য চললেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তাদের জানিয়ে আর কী লাভ হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌ-পথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

রাজধানীতে চলাচলকাররী সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারি ২৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় প্রায় ৭০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

ইজিবাইক, মোটররিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারি প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশায় ১৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ২৮০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার লেগুনায় কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের প্রায় ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হচ্ছে। এসব যানবাহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিজেদের পরিবহন ব্যবহার করলেও ১৫ লাখ যাত্রীকে ভাড়ায়চালিত যানবাহনে ঈদে বাড়ি যেতে ট্রিপ প্রতি গড়ে ৩৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে ঢাকা থেকে বাসে দূরপাল্লার রুটে ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে বাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি সার্ভিস বাসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোনও গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৪ হাজার সিটি বাসে ৪৮ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।

গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছেন। অন্যরা রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজার মোটরসাইকেল যাত্রীদের ২৫ কোটি ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে অতিরিক্ত কোচ, ঈদ স্পেশাল হিসেবে অতিরিক্ত রেল রেক যুক্ত করার পরে ঢাকা ৭ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। দৈনিক ৪০ হাজার যাত্রী নিয়মিত টিকিটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটসহ ৪৬ হাজার টিকিটধারী যাত্রী হিসেবে ১ সপ্তাহে ৩ লাখ ২২ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। এর বাইরে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী। এত বড় সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের রাজস্ব হারালেও চলমান ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি স্টুয়ার্ড, বেসরকারি কেন্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর