আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহবান জানিয়ে বলেছেন, আইন নয়, মানসিকতার পরিবর্তনই নারীর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা আমাদের জন্য পীড়াদায়ক তা হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন করেছি। কিন্তু, শুধু আইন করলইে এ সব বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য মানসিকতাও বদলাতে হবে। চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন আনতে হবে এবং বিশ্বাসটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস।

শেখ হাসিনা আজ সকালে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিশ্বাসটা করতে হবে যে, নারীরা কেবল ভোগের বস্তু নয়, নারীরা সহযোদ্ধা। তাঁরা সহযোগী, সহযাত্রায় চলতে হবে, সমান অধিকার দিতে হবে-এটা হচ্ছে বাস্তবতা। সেভাবেই কাজ করতে হবে। আজ শিক্ষায়-দীক্ষায় কর্মসংস্থানে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করতে পারছে বলেই তাঁর সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই আমাদের দেশের নারী সমাজকে জাগ্রত করতে হবে।কেননা, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী কাজেই তাদের পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটা জাতির পিতা যেমন মনে করতেন তেমনি বেগম রোকেয়াও তাঁর লেখনিতে বলে গেছেন।

নারীদের বেশি লেখাপড়া শিখিয়ে কী হবে তারাতো পরের ঘরে চলে যাবে-এ ধরণের মানসিকতা আমাদের সমাজে বিদ্যমান ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে কারণেই জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করে তাঁর সরকার নারীদের অর্থনৈতিক সাবলম্বীতা নিশ্চিত করার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফহিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

নারী শিক্ষায় কুমিল্লার অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যশোরের অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরণোত্তর), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা এবং পল্লী উন্নয়নে কুষ্টিয়ার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা এ বছরের বেগম রোকেয়া পদক লাভ করেন।

পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেকে রেপ্লিকাসহ স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র এবং নগদ অর্থের চেক পেয়েছেন। পরে বিজয়ীদের পক্ষে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

নারী শিক্ষা এবং নারীর স্বনির্ভরতার ওপর জাতির পিতা সব সময় গুরুত্ব দিতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, কারাগারের রোজনামচা’ এবং আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ে তিনি সর্ব শ্রেণির নারীর অধিকারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট সমাধানের কথাও তিনি বলেছেন। জাতির পিতা লেখাপড়ার প্রতি সব সময় গুরুত্ব দিতেন এবং বলতেন, একটা মেয়ে যদি ১০ টাকা কামাই করে তার আঁচলে বেঁধে পরিবারে আসে তাহলে সেই পরিবারে মেয়েদের একটা মূল্য থাকে। মেয়েরা উপার্জন করলে তাদের যে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা আসবে সে কথাই জাতির পিতা বলে গেছেন এবং যে কারণে নারী শিক্ষা অবৈতনিক করে দেন তিনি। কারণ, তিনি মনে করতেন শিক্ষাই নারী মুক্তির একমাত্র পথ।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ করে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, আমরা প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ নারী শিক্ষক বাধ্যতামূলক করেছি। এই সিদ্ধান্তের পর অনেক বাবা-মা মেয়েদের আর বাধা দেয়নি। অন্তত মেয়ে যে একটা চাকরি পাবে সেটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তা ছাড়া কমিনিটি ক্লিনিকে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচেছ। সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে গড়ে তোলা ডিজিটাল সেন্টার গুলোতে উদ্যোক্তা দু’জনের একজন নারী হতে হবে। আমরা যে বিনা মূল্যে গৃহহীণকে ঘর দিচ্ছি সেখানেও নারী-পুরুষ দু’জনের নামে মালিকানা থাকলেও সমস্যার সৃষ্টি হলে মালিকানা নারীর নামেই বহাল থাকবে। পাশাপাশি নারী উদোক্তাদের কম সুদে ঋণও দেয়া হচ্ছে।

প্রবল বাধার মুখেও দেশে প্রমিলা ফুটবল চালুর প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলায় মেয়েদের তো অংশ গ্রহণই করতে দিত না। যাই হোক দ্বিতীয় বার যখন সরকারে আসলাম, অন্যভাবে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

তিনি সে সময়ে স্কুল পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন এবং প্রাথমিক স্কুল পর্যায় থেকে ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল দল গঠনের মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই এ জন্য শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার উদ্যোগও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এভাবে ছোট বেলা থেকে শুরু করায় এখন আর সেই বাধা নেই। অর্থাৎ অচলায়তন ভেঙে একবার এগিয়ে যেতে পারলে আর কোন বাধা আসবে না।

আমাদের ধর্মে নারীর অধিকার প্রদানের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে তো মেয়েদের অধিকার দেওয়াই আছে। সেখানেইতো সম অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশে কিছু এ ধরনের বাধা আসে, আসবে। সেই বাধা আমাদের অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, পুরুষ শাসিত সমাজ আমরা বলি। কিন্তু মেয়েদের ছাড়া পুরুষরা কী পথ চলতে পারে? পারে না। মায়ের পেটে জন্ম নিতে হবে, বোনের হাত ধরে হাঁটা শিখে, বড় হয়ে স্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল থাকে, বৃদ্ধ হয়ে গেলে তো কন্যা সন্তানই বেশি দেখে, সেই যত্ন নেয় বেশি, এটাও তাদের মনে রাখতে হবে।

সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে নারীদের দায়িত্ব পালনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়া যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমি মনে করি অনেকটাই আমরা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।

তাঁর সরকারই আদালতের বিচারপতি থেকে শুরু বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারী অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় যেয়ে আমাদের মেয়েরা কাজ করে। আমাদের যুদ্ধ বিমানও তারা চালাচ্ছে। কাজেই সব দিক থেকে মেয়েরা কিন্ত পিছিয়ে নেই। কাজেই এটা সবচেয়ে বড় কথা পুরুষরা যেটা পারে নারীরা তার চেয়ে আরও ভালো পারে, বেশি পারে এতে কোন সন্দেহ নেই। এটাই প্রমাণ হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়া আমাদের আদর্শ। তিনি নারীদের পথ দেখিয়েছেন। তার সময়ে সমাজে নারীদের লেখা পড়া যেন অপরাধ ছিল। সেই অবস্থা থেকে তিনি নারী জাগরণে কাজ করেছেন। এখন মেয়েরা কোন দিক থেকে পিছিয়ে নেই। 

তিনি দেশের শতভাগ গৃহে আলো জ্বালবার পাশাপাশি দেশের সকল গৃহহীণকে ঘর করে দেয়ার মাধ্যমে একটা ঠিকানা গড়ে দেওয়ায় তাঁর সংকল্প পুণর্ব্যক্ত করে বলেন, এর পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করে একটি শোষণ-বঞ্চনাহীন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষে তাঁর সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের সাফল্যের জন্য জনগণকে কৃতিত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার  প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। বুধবার(১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



কেজিতে জিরার দাম কমলো ৫৫০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান ও ঈদ মাথায় রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে জিরা আমদানি। ফলে প্রতি কেজিতে ৫৫০ টাকা দাম কমেছে মসলাজাতীয় পণ্যটির। আগামীতে এর দর আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে হিলি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এখন কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১১৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে কেজিতে মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৫০ টাকা। সারাদেশের বাজারে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গোটা দেশে প্রকারভেদে এই মসলা বিকোচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকায়।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এবং হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, চলতি বছর ভারত থেকে জিরা আমদানি বেশি হয়েছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারি থেকে ৩ মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দরপতন ঘটেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা ভালো মানের জিরা কাকা ৬০০ টাকা, বাবা ৬২০ টাকা, মধু ৬২০ টাকা, অমরিত ৬০০ টাকা, সোনা ৬৩০ টাকা এবং ডিবিগোল্ড ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমায় ক্রেতার পাশাপাশি খুশি বিক্রেতারাও। তারা জানান, এতে বেড়েছে কেনাবেচা। হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা ওঠায় বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে দর কমছে।

গত বছর রোজা শুরুর আগে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। তবে ডলার সংকট, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কয়েক দফা বেড়ে গত ডিসেম্বরে খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় জিরা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। এখন সেই জিরাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন আহত হয়েছেন সহযোগী আরোহী।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কসমস এলাকার বেতার সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। আহত আরোহী একই এলাকার বাছেত এর ছেলে মোঃ আওলাদ হোসেন। তাকে ধামরাই এর একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায় তারা ধামরাই থেকে নিজ এলাকায় ফিরার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার জানান, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে গেলে পেছনে থাকা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক জাহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে থাকা অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন দানি আলভেজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ১৪ মাস কারাগারে আটক থাকার পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেজ। বার্সেলোনার আদালত গত বুধবার আলভেজকে জামিন দিলেও জামিনের শর্ত হিসেবে আদালত যে ১০ লাখ ইউরো জমা দিতে বলেছিলেন সেটি দিতে পারছিলেন না ব্রাজিলের এই ফুটবলার। অবশেষে, জামিনের অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন আলভেজ।

গত বছরের জানুয়ারিতে বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হন আলভেজ। তদন্তের পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। জামিনের জন্য নির্ধারিত অর্থের সঙ্গে ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বার্সেলোনাতেই অবস্থান করার নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর এক হাজার মিটারের মধ্যে যাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এই ফুটবলারকে।

জামিন পেলেও জামানতের অর্থ জোগাড় করতে না পারার কারণেই মূলত কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না আলভেজ। ফুটবল ক্যারিয়ারে বিপুল অর্থ আয় করা ব্রাজিলের এই ফুটবলারের জামিনের অর্থ পরিশোধ করতে না পারা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। আলভেজের আইনজীবী জানান, স্পেনে তার দুটি অ্যাকাউন্ট আছে যার একটিতে নেই কোনো অর্থ। অন্যটিতে ৫১ হাজার ইউরো থাকলেও সেটি আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়। তাছাড়া এটি জামিনের নির্ধারিত অর্থের তুলনায় খুব সামান্যও ছিলো। শেষ পর্যন্ত আলভেজের মা ও ভাই ধারে জামিনের অর্থ জোগাড় করে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: দানি আলভেজ

আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর