সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় অটোরিকশাচালক
সিকান্দরকে গলা কেটে হত্যার দুই সপ্তাহ পর এর রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। অটোরিকশায় নারীর
সঙ্গে আপত্তিকর কাজ করতে না দেওয়ায় খুন হয়েছেন চালক।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর
রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতে আমির হোসেন (৩৫) নামে এক
আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে
জানা গেছে, অটোরিকশায় নারী নিয়ে অনৈতিক কাজে ভাড়ায় যেতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে পাঁচ
দুর্বৃত্ত দা দিয়ে সিকান্দরকে গলাকেটে হত্যা করে। স্বীকারোক্তির পর আসামি আমিরকে কারাগারে
পাঠানো হয়।
গ্রেফতার আসামি উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের
মৃত জহুর আলীর ছেলে। প্রসঙ্গত, ১১ মে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন সিকান্দর।
পরদিন সকালে সাচনা বাজার ইউনিয়নের শরিফপুর সড়কের পাশ থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে
পুলিশ।
সিকান্দর উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে। বুধবার রাতে নিহতের ছেলে মাজহারুল ইসলাম মারুফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।