পরস্পর হাত মেলানো ও কোলাকুলিকে আরবিতে মুসাফাহা-মুআনাকা
বলা হয়। পরস্পরের সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা ও কোলাকুলি একটি সুন্নাত কাজ। এতে যেমন পারস্পরিক
অভিবাদন-সম্ভাষণ, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ পায়। আবার এতে গোনাহও মাফ হয়। হাদিসে
এসেছে-
হজরত বারাআ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুইজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা (হাত মেলালে) করলে
পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (আবু দাউদ)
এ হাদিসের আলোকে নারীরা বাদ যায়নি। কেননা এখানে শুধু পুরুষের
কথা বলা হয়নি বরং মুসলমানের কথা বলা হয়েছে। তাই নারীরা যদি পরস্পর মুসাফাহা ও কোলাকুলি
করে তবে তাতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি সুন্নাত আদায় হবে।
আর তাতে তাদের গোনাহও মাফ হয়ে যাবে।
যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী-পুরুষের
মাঝে কোনো পার্থক্য করেননি। তাই ইসলামিক স্কলারও তাতে মতপার্থক্য করেননি। সুতরাং পুরুষরা
যেমন পরস্পর একে অন্যের সঙ্গে মুসাফাহা ও কোলাকুলি করতে পারবে তেমনি নারীরাও পরস্পর
একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা ও কোলাকুলি করতে পারবে। হাদিসে ঘোষিত ফজিলতও লাভ করবেন।
সতর্ক থাকতে হবে
এক পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে, এক নারী অন্য নারীর সঙ্গে মুসাফাহা
ও কোলাকুলি করতে পারবে কিন্তু ইসলামি শরীয়ত কোনো পুরুষ পর নারীর সঙ্গে, কোনো নারী পর
পুরুষের সঙ্গে মুসাফাহা ও কোলাকুলি করতে পারবে না। ইসলামে এটি নাজায়েজ ও হারাম। সুন্নাতের
নামে নারী-পুরুষের অবাধ মুসাফাহা ও কোলাকুলি ইসলামে হারাম। এ বিষয়ে সবারই সতর্ক থাকা
জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারীকে পরস্পর মুসাফাহা ও
কোলাকুলি করার মাধ্যমে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর যথাযথ
আমল করার তাওফিক দিন। নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্ত করার তাওফিক দিন। আমিন।