আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

নাসিম শাহর দুই ছক্কায় অবিশ্বাস্য জয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচের সাক্ষী হলো শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে শেষ ওভারে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন লোয়ার অর্ডারের নাসিম শাহ। ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে পাকিস্তান। এতে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তান আর ভারতের।

লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রান। তবে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান বাবর আজম আর ফাখর জামান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাবরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ফজলহক ফারুকি। আফগান পেসারের বলে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত সুবিধা করতে না পারা পাকিস্তান অধিনায়ক।

চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে ননস্ট্রাইকে রানআউট হন ফাখর জামান (৯ বলে ৫)। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ ৩৩ বলে ২৭ রানের ধীরগতির এক জুটি গড়েন। ইনিংসের অষ্টম ওভারে রিজওয়ানকে (২৬ বলে ২০) এলবিডব্লিউ করে জুটিটি ভাঙেন রশিদ খান। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে আফগানদের চমকে দিয়ে শাদাব খানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান।

শাদাব প্রমোশন পেয়ে খেলার গতি বাড়ান। ২ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অনেকটা ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন তিনি। কিন্তু ইফতিখার খেলছিলেন একদম বেশি সতর্কতার সঙ্গে। ৩৩ বলে ৩০ রান করে ফরিদ আহমেদের শিকার হন ডানহাতি এই ব্যাটার। ভাঙে ৪১ বলে ৪২ রানের জুটি।

পাকিস্তানের তখন ২৭ বলে দরকার ৪৩। আফগান বোলাররা চাঙা হয়ে উঠেন। মারমুখী খেলছিলেন শাদাব খান। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানকে ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলে আবারও মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যানে ক্যাচ হন শাদাব।

এর আগে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে ৬ উইকেটে ১২৯ রানেই থেমে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। শারজায় এশিয়া কাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে টস হারলেও ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল আফগানিস্তান। ২৯ বলে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন হজরতউল্লাহ জাজাই আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

প্রথম ২ ওভারে ২০, ৪ ওভারে ৩৭; শুরুটা উড়ন্ত করেছিল আফগানিস্তান। ওভারপ্রতি তুলছিল প্রায় ১০ রান করে। তবে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতি অনেকটাই কমে যায় আফগানদের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হারিস রউফকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তৃতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাজাই। কিন্তু শর্ট থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ ড্রপ করেন নাসিম শাহ।

অবশ্য পাকিস্তানকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি উইকেটের জন্য। এক বল পরেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে গুরবাজকে (১১ বলে ২ ছক্কায় ১৭) বোল্ড করেন রউফ। পরের ওভারে হাসনাইন বোল্ড করেন জাজাইকেও (১৭ বলে ২১)। ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা তোলে ২ উইকেটে ৪৮ রান।

এরপরই রানের গতি কমে যায় আফগানিস্তানের। পাকিস্তানি বোলাররা রীতিমত চেপে ধরেন। প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নেমেছিলেন করিম জানাত। কিন্তু ঠিক টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ১৯ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন জানাত।

১৪তম ওভারে শাদাব খানকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে পরিণতি ভালো হয়নি। ওই ওভারেরই শেষ বলে আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েন নাজিবুল্লাহ (১১ বলে ১০)। পরের ওভারের প্রথম বলে আরও এক উইকেট হারায় আফগানরা। নাসিম শাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে স্টাম্প হারান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি, ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আফগানিস্তান।

ইব্রাহিম জাদরান ধীরগতিতে খেলছিলেন। ১৭তম ওভারে তাকে তুলে নেন হারিস রউফ। পাকিস্তানি পেসারের গতিময় এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন ইব্রাহিম (৩৭ বলে ৩৫)। শেষদিকে রশিদ খানের ১৫ বলে ১৮ আর ওমরজাইয়ের ১০ বলে ১০ রানের ইনিংসে ১২৯ পর্যন্ত গেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই পেসার। আরেক পেসার নাসিম শাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন একটি উইকেট।


আরও খবর



ফখরুলের কাছে ৬০ লাখ কারাবন্দির তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাবন্দি থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। একটা সময় তারা বলেছে ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কীভাবে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জেলে থাকা ৬০ লাখ লোকের তালিকা দিতে হবে। এই তালিকা আমরা দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। দেশের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা নেই। ৭১-এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?


আরও খবর



দুপুরে দেশের উদ্দেশে আল হামরিয়া বন্দর ছাড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করা সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আজ রবিবার দেশের উদ্দেশে রওনা হবে।

এর আগে গতকাল শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস শেষ করে জাহাজটি।

আজ রবিবার দুপুরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজ মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছাতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ লেগে যাবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আবদুল্লাহতে কার্গো (পণ্য) লোড করা শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রবিবার দিনের বেলায় জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগবে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জলদস্যূ মুক্ত হয়ে গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


আরও খবর



আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন এসব শোকজ পাওয়া নেতা।  এর আগে প্রথম দফার ভোটে যাওয়া ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে শোকজ করা ৬১ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া এ ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১২ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৪ জন।  জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কমসংখ্যক নেতা ভোটে অংশ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, শোকজ করার কারণ হলো তাদেরকে আরেকটি সুযোগ দিতে চায় দল। এর মধ্যেও যদি কেউ ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলা যশোরের তাপমাত্রা কমেছে। এই জেলায় শনিবার (৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল এই জেলায়। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিল মাসজুড়েই তীব্র তাপে পুড়েছে যশোর। এপ্রিলের শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এই জেলায়। সেদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতেই ভেঙে গেলো চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সব রেকর্ড।

এদিকে মে মাসের শুরুতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু গরম কমেনি। ১ মে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২ মে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও গতকাল রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৫ ও মোংলায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


আরও খবর



যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদজননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।

শনিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজ শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদজননী জাহানারা ইমাম।

এই জাদুঘরে সরকারি উদ্যোগ ব্যাপকভাবে লোকসমাগম হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আনার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামস ঘাতক-দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেটা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা কিছুটা হলেও হয়, কিন্তু রাজাকারদের আলোচনা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদজননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের মা হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদজননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা একাত্তরের দিনগুলি বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর