ইসরায়েলের হামলা
জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে গাজা বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের
মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবিক
অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে।
এর আগে এক যৌথ
বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানায়, গাজা এবং ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড
ভয়াবহ। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা জোরদার হয়েছে। তারা দাবি করছে যে, হামাসের অবকাঠামো
লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছে তারা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে এবিসি নিউজকে বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার সার্বিক
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইসরায়েলের হাতে। তিনি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার শর্ত ছাড়া
অস্ত্রবিরতির আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর দুই শতাধিক মানুষকে হামাস জিম্মি
করেছিল।
তবে মানবিক
বিরতি সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, কৌশলগত বিরতির কথা যদি
হয় যে, এক ঘণ্টা এখানে, এক ঘণ্টা সেখানে এর আগেও আমরা এটা করেছি। আমার মনে হয় আমরা
পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখবো যেন পণ্য-সামগ্রী, মানবিক পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হয় এবং
আমাদের জিম্মি বা কোনো এক জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার ইসরায়েলের
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের ৪৫০টি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা
চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার স্থানও।
গাজার হামাস
পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত
১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ১০৪ জনই শিশু।
এদিকে জাতিসংঘে
নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত গাজায় একটি মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষদের
রুদ্ধদ্বার এক বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত নিকোলা ডি রিভিয়েরে বলেন, এ ধরণের বিরতি স্থায়ী
হওয়া উচিত এবং এটি অস্ত্রবিরতির দিকে এগিয়ে নেওয়া উচিত।
তবে তার এই
অবস্থানের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো পশ্চিমা দেশগুলো। তারা বলছে,
অস্ত্র বিরতি শুধু হামাসের জন্যই লাভজনক হবে। এর আগে সোমবার সকালে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা
মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে, সাধারণ একটি অস্ত্র বিরতি এই
সময়ের জন্য উপযুক্ত।