শেষ ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের প্রয়োজন
ছিল ৯ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে নীতিশ রানা বল তুলে দেন বরুণ চক্রবর্তীর
হাতে। প্রথম বলে ১ রান দেন তিনি। তার দ্বিতীয় বল থেকে লেগবাই হিসেবে আরও একটি রান পায়
হায়দরাবাদ। নিজের তৃতীয় বলে বরুণ তুলে নেন আবদুল সামাদকে। হায়দরাবাদের তখন ৩ বলে প্রয়োজন
৭ রান। পরের বলটি ডট। পঞ্চম বল থেকে আসে ১ রান। জয়ের জন্য হায়দরাবাদের তখন ১ বলে দরকার
৬ রান। কিন্তু শেষ বলটিতে কোনো রান নিতে পারেনি তারা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭১ রান তোলে কলকাতা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে পারে হায়দরাবাদ। তাতে ৫ রানের জয় পায় ওপার বাংলার দলটি।
আরও পড়ুন<< এক ওভারে ৪৬ রানের বিশ্ব রেকর্ড
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঝারি
মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শুরুটা করেছে দেখেশুনে, সাবধানে।
কিন্তু উইকেট পতন ঠেকাতে পারেনি তারা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে
রানও তুলেছে ৫৩। পাওয়ারপ্লের পর ১ রান তুলতেই আরও একটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মার্করাম ও ক্ল্যাসেন মিলে ৪৭ বলে তোলেন ৭০ রান। জুটি ভাঙে ২০ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২০ বলে ৩৬ রান করে ক্ল্যাসেনের আউটে। মার্করাম আউট হয়েছেন ৪ চারে ৪০ বলে ৪১ রান করে।
আরও পড়ুন<< বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল আর্জেন্টিনা
মার্করাম যখন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে ফেরেন, ১৬.৫ ওভারে হায়দরাবাদের রান তখন ৬ উইকেটে ১৪৫। জয়ের জন্য তখনো তাদের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। এই অবস্থায় ম্যাচ একবার কলকাতা, আরেকবার হায়দরাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছিল। কিন্তু শেষ হাসিটা কলকাতাই হেসেছে।