ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসায় নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্তভার পেয়ে পিবিআইর
যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল সরদারপাড়ার শিশু রত্না ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন (৩২) নামে একজনকে আটক করেছে পিবিআই। তিনি সম্পর্কে শিশুটির দাদা। ইসমাইল হোসেন সোমবার (৪ জানুয়ারি) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। রবিবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয় বলে পিবিআই জানিয়েছে।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন জানান, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রত্না খাতুনের (৯) মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসায় নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্তভার পেয়ে পিবিআইর এসআই স্নেহাশীষ দাশ তদন্তকাজ শুরু করেন। তিনি এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পান। এরপর গত ৩ জানুয়ারি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রত্নার বাবা জাহিদুল ইসলাম তার নানার বাড়িতেই বসবাস করেন। জাহিদুলের মামা ইসমাইল হোসেন গত ২১ নভেম্বর বিকেলে বাড়িতে আসেন। তখন রত্না একা ঘরে টিভি দেখছিল। ইসমাইল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশু চিৎকার দেয়। তখন তিনি শিশুটির নাক-মুখ চেপে ধরেন এবং রত্না নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর ইসমাইল তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন আরও জানান, সোমবার ইসমাইল হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে সোপর্দ করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি গ্রহণশেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।