আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবাবগঞ্জে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নবাবগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধি:

নিত্যপণ্য, জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি এবং ভোলায় বর্বচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকার নবাবগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

নবাবগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের নেতৃত্বে উপজেলার বাগমারা কোট বিল্ডিং হতে বিক্ষোভ মিছিলটি মহাসড়ক হয়ে সুরোঙ্গ বাজার গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়। এসময় মিছিল থেকে জ্বালানী তেলসহ দ্রব্য মূল্যের দাম কমাতে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় খন্দকার আবু আশফাক  বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দুই বছর জেলে আটক রেখেছে। এখনো তিনি মুক্ত হতে পারেনি। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দেশের বাইরে আছেন।

সারা দেশে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এই অবৈধ সরকার। আজ সারাদেশে তারা যে মিথ্যা ফুলঝুড়ি দিয়ে ছিল, উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে। কোথায় উন্নয়ন গ্রামগঞ্জে অনেক আগেই হারিকেন বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু আজকে আবারো কেন হারিকেন কিনতে হচ্ছে। সেই সাথে নিত্যপণ্য জ্বালানি তেল পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ প্রতিটি পদে পদে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে ছলচাতুরি আবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ শেখ হাসিনাকে দেওয়া হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলাম হাই (পান্নু), নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম খন্দকার, দোহার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ আল মামুন চেয়ারম্যান, দোহার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আছির উদ্দিন খান বাচ্চু, দোহার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, দোহার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিএস সেন্টু ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান পবন, দোহার উপজেলা যুবদল নেতা মো. জহিরুল ইসলাম, দোহার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তানভীর নিশু, মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল খান, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রবিউল ইসলাম অমিত, দোহার উপজেলা ছাত্রদল নেতা আলমগীর, সেলিম, রাশেদ, আসাদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর



কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।  

অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।

এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।

আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান।

শর্তসমূহ হলো-

১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন।

২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।

৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।

৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।

৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।

৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন।

তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।


আরও খবর



অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল কি না দেখতে হবে: সামন্ত লাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যেন কোনো সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা ইতোমধ্যে করেছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সারাবিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় টিকা প্রত্যাহার করেছে বলে আমরা শুনেছি। তবে,আমাদের দেশে এ রকম কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি এটা জানার পরে ইতোমধ্যেই ডিজি হেল্থকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদের এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।

বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানবো আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা (আ্যাট্রাজেনিকা) বলছে টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলবো?

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ বা ক্ষতিকর কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কার্যক্রম চলবে। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্লাইটযোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

আমিরের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

আজ সকালে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

চুক্তিগুলো হলো, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকার একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাই ওভার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে কাতারের আমিরের নামে। এখন থেকে রাস্তা ও পার্কটি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি অ্যাভিনিউ এবং শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি পার্ক নামে পরিচিত হবে।

সব শেষ আনুষ্ঠানিকতায় আমির পিএমও ত্যাগ করে বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটি ছিল প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। আর এর মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালের পর কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফর করলেন।


আরও খবর