
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর শৈল্লা এলাকার ফরিদ ফকির ও নার্গিস দম্পতি দরিদ্রতাকে পিছনে ফেলে পরম যত্নে লালন পালন করছে বাহাদুরকে। এই বাহাদুর প্রায় ৮০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের নাম।
যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চড়া দামে সংসার চালানো হিমশিম, সেখানে ষাড়টির খাবারের পিছনে খরচ করছেন দৈনিক তিন থেকে চারশত টাকা। আসন্ন কোরবানির ঈদে এই দম্পতি বিক্রি করতে চান তাদের এই বাহাদুরকে।
ফরিদ ফকিরের স্ত্রী নার্গিস আক্তার সংসারের কাজ শেষে প্রতিনিয়ত যত্ন্ন নিয়ে থাকেন বাহাদুরের। খাবারের পাশাপাশি গোসলেও সহযোগীতা করে থাকেন তিনি। কোরবানির ঈদে বাহাদুরকে বিক্রি করে সংসারের দারিদ্রতা কিছুটা হলেও ঘোচাতে চান এই দম্পতি।
কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য খাদ্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ দানাদার খাদ্য ছোলা, গম, ভূষি, খুদ ও বিভিন্ন ধরনের কঁচাা ঘাস খাদ্য হিসেবে দেয়া হচ্ছে বাহাদুরকে। বাহাদুরের দাম হাঁকাচ্ছেন ৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন>> জমে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ পশুর হাট শার্শার সাতমাইল
এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ফরিদ ও তার স্ত্রী তাদের অভাবের সংসারেও কয়েক বছর ধরে ষাঁড়টিকে যত্নে করে লালন পালন করছে। ষাঁড়টি দেখতেও বেশ বড় হয়েছে। এই ষাঁড়টি বিক্রি করে দারিদ্র পরিবারটি ভালো দাম পাবে বলেও আমরা আশা করছি।
বহাদুরের মালিক ফরিদ ফকির দৈনিক আজকের দর্পণকে বলেন, অনেক আদর যত্নে সন্তানের মত করে বাহাদুরকে বড় করেছি। ফরিদ আবেগাপ্লুত হয়ে আরো বলেন, আমি গরীব মানুষ হওয়ার পরেও বাহাদুরের যত্নের কোনো অভাব রাখিনি। বাহাদুরের প্রতি পরিবারের সদস্যদের মতো মায়া জন্মেছে আমার। আমার স্ত্রীও বাহাদুরের অনেক যত্ন করে। নিয়ম করে খাবার খাওয়ায়।
ফরিদের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, নিজের সন্তানদের মতোই যত্ন করে লালন পালন করেছি এই ষাঁড়টিকে। শখ করে আমরা নাম রেখেছি বাহাদুর। এই বার বাহাদুরকে বিক্রি করতে হাটে উঠাবো। তবে বাড়িতে থেকেই বিক্রি করতে পারলে বেশি ভালো হবে।