আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানির বাজার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সাধারণ হিসাব-নিকাশের বাইরে চলে গেছে জ্বালানির উচ্চমূল্য। এর ফলে কম অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এখন চরম জ্বালানি সংকটে সময় পার করছে। গ্যাস সংকটে শিল্পকারখানাগুলো ধুঁকছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে আমদানিনির্ভর জ্বালানির ব্যবহার কমানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয়েছে সরকার। গত ১০ বছর ধরে সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করলেও নানা সীমাবদ্ধতায় কাক্সিক্ষত সাফল্য আসেনি। এবার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এ প্রচেষ্টা জোরদার করতে চায় সরকার।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের জ্বালানি পরিকল্পনার মধ্যে ছিল মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির। গত ১০ বছরে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে। ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন হয় মাত্র ৯৪১ দশমিক ৪২ মেগাওয়াট। সেটাও নিয়মিত নয়।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। সেটা হলো বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন করা হবে। বিশেষ করে এখন বিশ্ব বাজারে আমদানিনির্ভর জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব আরও বেড়েছে। আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় অনেক আগে। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপর দেশের প্রথম পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রর যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৯৮৮ সালের অক্টোবর মাসে এই কেন্দ্রে ৫০ মেগাওয়াটের কাপলান টাইপের টার্বাইন সংবলিত চতুর্থ ও পঞ্চম ইউনিট স্থাপন করা হয়, যাতে মোট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩০ মেগাওয়াট। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিলেটে প্রথম সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বেসরকারি উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

পরবর্তী সময়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) কর্তৃক সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়। ১৯৯৬ সালে এসএইচএস চালু হওয়ার পর থেকে এটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্মসূচি। ইডকলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। তবে কাপ্তাইয়ের ২৩০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া উল্লেখযোগ্যভাবে বড় ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানির তেমন প্রকল্প তৈরি করা যায়নি। দীর্ঘ সময়েও কাঙ্খিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ৯টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ২৬১ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি সরকারি পর্যায়ে এবং ছয়টি বেসরকারি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌরবিদ্যুতের মধ্যে আরও আছে সোলার হোম এবং ছাদে স্থাপিত রুফটপ সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তির বিদ্যুৎ উৎপাদন। যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩৬৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নেট মিটারিং সিস্টেমে স্থাপিত ক্ষমতা ৪৫ দশমিক ৮০১ মেগাওয়াট।

সূত্র মতে, বায়ুবিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২ দশমিক ৯ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত বায়ু গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শূন্য দশমিক ৬৯ মেগাওয়াট, বায়োমাস থেকে উৎপাদিন বিদ্যুৎ শূন্য দশমিক ৪ মেগাওয়াট। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তার মধ্যে ৩৫৯ দশমিক ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অফগ্রিডের মধ্যে আছে। আর ৫৮২ দশমিক ৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অনগ্রিডের মধ্যে আছে। অর্থাৎ ব্যবহারের বেশি বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও অন্তত ৩১টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ৫৪২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব প্রকল্পের অবকাঠামোগত তৈরির কার্যক্রম চলমান। এ ছাড়া ১৩টি প্রকল্পের অনুকূলে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) জারি করা হয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা হলো ৪৮৮ মেগাওয়াট। একই সঙ্গে সরকারি খাতে আরও ছটি প্রকল্প চলমান আছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৩৮২ মেগাওয়াট। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রক্রিয়াধীন ৩১ প্রকল্প থেকে এক হাজার ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আরও অন্তত তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে সরকার, যার মধ্যে বেসরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের লক্ষ্য রয়েছে। বাকি দুই হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ভবিষতে উৎপাদন করা হবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানির মাধ্যমে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে জীবাশ্ম জ্বালানির নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ধরন এবং তাদের ক্রমবর্ধমান খরচ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে তীব্রতর করেছে। এ ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করার বিষয়ে বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনেরও কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে সবুজ জ্বালানি দিকে যেতে। তিনি বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী এবং বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, ইডকল এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। তা ছাড়া কিছু নবায়নযোগ্য জ্বালানি পণ্য যেমন সোলার প্যানেল, সোলার প্যানেল প্রস্তুতের উপাদান, চার্জ কন্ট্রোলার, ইনভার্টার, এলইডি লাইট, সৌরচালিত বাতি এবং বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপকরণের ওপর সরকার শুল্ক অব্যাহতিমূলক প্রণোদনা প্রদান করেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোলার হোম সিস্টেমকে উৎসাহিত করতে সরকারি কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌর সেচ, সৌর মিনি-মাইক্রো গ্রিড, সোলার পার্ক, সোলার রুফটপ, সোলার বোটিং ইত্যাদি। সূত্র মতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং ডিজেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা। এর মধ্যমে একদিকে কমবে কার্বন নিঃসরণ, আরেক দিকে কমবে জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়নবোর্ড সূত্র জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হলো বৃহৎ আকারের সোলার প্যানেলভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা। তবে সমস্যা হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অবশ্যই অকৃষি জমি প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত অকৃষি জমি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় না। আরেকটি সমস্যা হলো নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ স্টোরেজ করা। স্টোরেজ করাও একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।


আরও খবর



বুয়েটের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে ডিবি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বুয়েটে আন্দোলনের নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতা রয়েছে কিনা পর্যবেক্ষণ করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন, ছাত্রশিবিরের বর্তমান সভাপতিও বুয়েটের। এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের টিম রয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্ত করে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আন্দোলন সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য হলেন ড. মজিবুর রহমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. মজিবুর রহমান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (জীববিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। সদস্য পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি কমিশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর National Liaison Officer (NLO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ড. রহমান দেশের ৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইনষ্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস (ইনমাস) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. মো. মজিবুর রহমান ২০০৩ সালে Catholic University of Leuven, Belgium থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৮ সালে Friedrich-Schiller-University of Jena,  Germany তে Alexander von Humboldt Foundation (AvH) - এর Research Fellow হিসেবে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষনা সম্পন্ন করেন।

এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে তার ৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি দাপ্তরিক কাজে বেলজিয়াম, জার্মানি, অষ্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট, পানামা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড সহ প্রায় ২০টির অধিক দেশ সফর করেন।

ড. রহমান ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার সহধর্মিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

ড. মজিবুর রহমান, বাংলদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের পর পর দুবার (২০১৪-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৮) নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কমিশন তথা বিজ্ঞানীদের কল্যানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।


আরও খবর



ইসরায়েল ‘সংশ্লিষ্ট’ জাহাজ জব্দ করল ইরান

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে হরমুজ প্রণালীর কাছে একটি কন্টেইনার জাহাজ জব্দ করেছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, সিরিয়ার বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ সাত সদস্যকে হারানো এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জাহাজটি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, জাহাজটিকে এখন আমাদের দেশের জলসীমার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্তুগালের পতাকাবাহী এমএসসি অ্যারিজ জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দর থেকে ভারতে রওনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। জাহাজটি জোডিয়াক ম্যারিটাইম নামক প্রতিষ্ঠানের এমএসসি অ্যারিস। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইসরায়েলি ধনকুবের ইয়াল ওফার।

আজ বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে আসা জাহাজের ডেকের একটি ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে নেমে আসছেন।

হেলিকপ্টারটি সোভিয়েতের নকশা করা এমআইএল এমআই-১৭ বলে মনে করা হচ্ছে, যা আইআরজিসির নৌবাহিনী পরিচালনা করে থাকে।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ থেকে ৯২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌপথ থেকে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জাহাজটি জব্দ করেছে।

গত নভেম্বরের শেষের দিকে ভারত মহাসাগরে ড্রোন হামলায় ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আরেকটি কন্টেইনার জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: থানচি বাজারে গোলাগুলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি বাজারে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচির বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, থানচি বাজার এলাকায় গোলাগুলি চলছে। বাজারে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কাদের গোলাগুলি চলছে সেটা নিশ্চিত করা যায়নি। বাজারের পাশে অন্য আরেকটি জায়গাসহ মোট দুটি জায়গায় গোলাগুলি চলছে।

রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচি বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি চলছিল।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।


আরও খবর