টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আজ সোমবার নবনির্বাচিত মমতা সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে। শপথ নিয়েছেন ৪৩ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
এদিন মমতা সরকারের
মন্ত্রিসভায় শিল্প, বাণিজ্য তথ্য-প্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন
পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী হয়েছেন অরুপ বিশ্বাস। আইনমন্ত্রী
হয়েছেন মলয় ঘটক। সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা। সেচমন্ত্রী হয়েছেন
সৌমেন মহাপাত্র। খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী হয়েছেন রথীন ঘোষ। কারামন্ত্রী হয়েছেন উজ্জ্বল
বিশ্বাস। বনমন্ত্রী হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী হয়েছেন
পুলক রায়। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হয়েছেন অমিত মিত্র। শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন ব্রাত্য
বসু। পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সংখ্যাতত্ত্ব মন্ত্রী হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
পরিবহণ ও আবাসন
মন্ত্রী হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী হয়েছেন সাধন পান্ডে। ক্ষুদ্র
শিল্প ও বস্ত্র মন্ত্রী হয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী হয়েছেন
শশী পাঁজা। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী হয়েছেন জাভেদ খান। সমবায় মন্ত্রী হয়েছেন অরুপ
রায়। সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা মন্ত্রী হয়েছেন গোলাম রব্বানি। কৃষিমন্ত্রী হয়েছেন
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কৃষি বিপণন মন্ত্রী হয়েছেন বিপ্লব মিত্র। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন
মন্ত্রী হয়েছেন স্বপন দেবনাথ। জলসম্পদ মন্ত্রী হয়েছেন মানস ভুইয়া। গ্রন্থাগার মন্ত্রী
হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার
এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও মমতা হাতে রেখেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ, উদ্বাস্তু
পুনর্বাসন ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তর।
অন্যদিকে, মমতার
মন্ত্রিসভায় স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
পেয়েছেন চন্দিমা ভট্টাচার্য। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ইন্দিনীল সেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বেচারাম মান্না। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্ব পেয়েছেন সুব্রত সাহা। মৎস দপ্তর পেয়েছেন অখিল গিরি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর
পেয়েছেন রত্না দে নাগ। কারিগরি শিক্ষা দপ্তর পেয়েছেন হুমায়ুন কবীর।