আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে মোদির অভিনন্দন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রোববার (৫ মার্চ) পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অবদান এবং বিচারক হিসেবে অভিজ্ঞতা দেশের সর্বোচ্চ পদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান অকৃত্রিম সম্পর্ক দুই দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে গভীরভাবে প্রথিত। বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে দুদেশের জনগণের কল্যাণে বহুমুখী অংশীদারিত্ব বাড়াতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তিনি আশা করেন, মো. সাহাবুদ্দিনের দূরদর্শী নেতৃত্বে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ

সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাসান ইমাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আযম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে পলকের শ্যালক রুবেলের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে অব্যাহতি পাওয়া এ ২ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হলে পলকের নির্দেশে তার শ্যালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্যাতিত দেলোয়ারকে মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।


আরও খবর



সুপারসনিক মিসাইল নিয়ে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের ভূখণ্ডে ইরানের কয়েকশ ড্রোন এবং মিসাইল হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, মার্শাল শাপোশনিকভ নামে রাশিয়ার ফ্রিগেটটি মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই ফ্রিগেট কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পরিকল্পিত নৌ মহড়ার অংশ হিসাবে কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল সজ্জিত রাশিয়ান নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্শাল শাপোশনিকভ তার ওপর অর্পিত কাজগুলি সম্পাদন করে যাবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বাইরে আর বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।

ওই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। এই ইস্যুতে আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‌এই অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্থিতিশীলতার দিকে যাতে চলে না যায় সেজন্য এখনই সব পক্ষের সংযম বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়ার যে হুঁশিয়ারি ইরানের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তা রোববার (১৪ এপ্রিল) বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।

ইরানের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানি হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন। বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করেন বাইডেন।

এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে।

এদিকে ইসরাইলে ইরানের এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজের মুখপাত্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, এটি আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

জার্মানি ইসরাইলের পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অযৌক্তিক হামলার মাধ্যমে ইরান একটি আঞ্চলিক সংঘর্ষের ঝুঁকিতে পড়ল।

এদিকে এই ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ নাক গলাতে এলে কিংবা ইসরাইলের পাল্টা পদক্ষেপে সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ওয়াশিংটন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপে সমর্থন জানালে মার্কিন ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে জানিয়েছে ইরান।

এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার প্রতিক্রিয়ায় জারি করা এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে গাজা সংঘাত আরও দীর্ঘ হবে। সংঘাত এখনই শেষ হওয়া উচিত।

মুখপাত্র আরও বলেন, গত ২৫ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে আর বিলম্ব করা উচিত নয়। ওই অঞ্চলে শান্তি এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করার জন্য প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর



সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত সি ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ  নিরাপদ করা যায় সেলক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছি।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শিগগিরই সেটি (প্রস্তাব) আইএমওতে পাঠানো হবে। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।

ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে-দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌ এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।

তিনি বলেন, জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, না কি তারা ফিরে আসবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে। আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে। সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।

ঈদের দিন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।  অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্টগুলো হয়।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর ছিলাম। ‌ সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোন মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর