আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নদী পারাপারের অপেক্ষায় ৪ শতাধিক ট্রাক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাবনার কাজিরহাট-আরিচা রুটে ফেরি সমস্যার সমাধান হচ্ছেই না। দুটি পুরাতন ছোট ফেরি দিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এতে দুই পাড়ে আটকা পড়েছে প্রায় চার শতাধিক যানবাহন।

রবিবার (১০ অক্টোবর) সকালে কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামে ফেরি দুটি এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাহ জালাল, শাহ মাখদুম, কপোতি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় শাহ মাখদুম ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।

এর আগে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে রো রো ফেরি বেগম রোকেয়া ও ডাম্প ফেরি কপোতি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১০ দিনের মতো বন্ধ ছিল। পরে মেরামত করে ঘাট সচল করা হয়। ছোট দুটি ও বড় দুটি চারটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার  করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এখান থেকে বড় দুটি ফেরি নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।

উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এই নৌপথে ফেরি চালু করা হয়। কিন্তু বর্তমান অবস্থার জন্য ঘাটের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন যাত্রী, চালক ও শ্রমিকরা। এক দিন পর পরই ফেরিতে ত্রুটি দেখা দেয়। সেটি মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগে। যানজট সৃষ্টির এটি একটি বড় কারণ বলে দাবি করছেন চালক-যাত্রীরা।

তাদের মতে, কর্তৃপক্ষ দুটি ফেরি দিয়ে ঘাট সচল রাখার দাবি করলেও কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে কাজিরহাট-আরিচা নৌপথ। ঘাটে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ দেখেও নতুন বড় ফেরি এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিকল দুটি ফেরি মেরামত করে চারটি ফেরি দিয়ে ঘাটের যানজট কমানো হয়েছিল। পণ্যবাহী ট্রাকের তেমন চাপ ছিল না। স্বাভাবিক গতিতে পারাপর হচ্ছিল। বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামাল নিয়ে যাওয়াতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে এই দুটি ফেরি চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ নাকি আমাদের জন্য আরও একটি ফেরি বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সেটি এখনও ঘাটে পৌঁছায়নি। আরিচা ঘাটে সেটি অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। রবিবার সকাল পর্যন্ত দুই পাড়ে চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

 


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




ঈদের ছুটিতে ঢাকার কাছে ঘুরতে পারেন যেসব জায়গায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নববর্ষসহ ঈদের ছুটিটা এবার বেশ লম্বা। এদিকে ছুটিতে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষই গ্রামে ছুটেন। তবে যারা রাজধানীতে ঈদ উদযাপন করবেন ও ছুটি কাটাবেন তার চাইলে ঢাকার আশপাশেই ঘুরে বেড়াতে পারেন কয়েকটি জনপ্রিয় স্পটে। ঈদের ছুটিতে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দল বেঁধে ঘুরে আসতে পারেন এসব স্পটে। চলুন কয়েকটি স্পটের কথা জেনে নেয়া যাক।

সোনারগাঁ জাদুঘর : বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি সোনারগাঁ জাদুঘর হিসেবেই পরিচিত। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এর অবস্থান। এক সময় মসলিনের জন্য বিখ্যাত ছিল সোনারগাঁ। মসলিনের বিকল্প জামদানি শাড়ি সরাসরি তৈরি করতে দেখা যাবে কারুপল্লীর ভেতরে। এখানে দেখার মতো রয়েছে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর ও ফাউন্ডেশন চত্বর। লেকঘেরা ফাউন্ডেশন চত্বরে রয়েছে কারুপল্লী, নৌকা ভ্রমণ ও টিকিট কেটে মাছ ধরার সুযোগ।

বার ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈসা খাঁ দীর্ঘদিন সোনারগাঁ শাসন করেছেন। সোনারগাঁয়ের চারদিকে নদী দিয়ে ঘেরা ছিল বলে সহজে সোনারগাঁকে কোনো শত্রু আক্রমণ করতে পারতো না। ১৯৭৫ সালে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা।

জিন্দা পার্ক : কম সময়ে ও কম খরচে ঘোরার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্কে। সারাদিন সবুজের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে ফিরে আসতে পারেন কিংবা থেকে যেতে পারেন রাতেও। খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভেতরেই আছে রেস্টুরেন্ট।

জল জঙ্গলের কাব্য : জল জঙ্গলের কাব্য গাজীপুর জেলার পুবাইলে অবস্থিত। নগর জীবন থেকে বের হয়ে খোলামেলা গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে জায়গাটি আদর্শ। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা ও রাতের খাবারসহ সব সুবিধা পেয়ে যাবেন এখানে।

ড্রিম হলিডে পার্ক : ড্রিম হলিডে পার্ক ঢাকার পাশেই নরসিংদীতে অবস্থিত একটি থিম পার্ক। পরিবার পরিজনদের নিয়ে সারাদিন হৈচৈ আর আনন্দে মাতামাতি করতে অথবা পিকনিক করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। রাতে থাকার জন্যও রয়েছে রিসোর্টের সুব্যবস্থা।

পানাম নগরী : বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশা খাঁর সময়কালে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। সোনারগাঁয়ের রাজকার্য পরিচালিত হতো পানাম নগরী থেকে। বর্তমানে যে পানাম দাঁড়িয়ে আছে তার অবকাঠামো ব্রিটিশ আমলের। প্রাচীন পানাম চাপা পড়ে আছে আধুনিক পানামের নিচে।  এখানে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য অট্টালিকা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, নাচ ঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, প্রশস্ত দেয়াল, ভোজনালয়, বিচারালয়, প্রমোদ কুঞ্জ ইত্যাদি।

পানাম নগরীতে দেখা যায় চারশ বছরের পুরনো মঠ-বাড়ি। এর পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কুঠি নীলকুঠি রয়েছে। আছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খিরাজ খাল। শেরশাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছু অস্তিত্ব পানামে আজো দৃষ্ট হয় বলে হাল আমলে তা পাকা করা হয়।

বাংলার তাজমহল : ২০০৮ সালে সোনারগাঁয়ের মতো অজপাড়া গায়ে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত বাংলার তাজমহলর ফটক সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বসানো টাইলস, বিদেশি ডায়মন্ড ও পাথর, গম্বুজের ওপরে ব্রোঞ্জের তৈরি চাঁদ-তারায় আরও দৃষ্টিনন্দন বাংলার তাজমহল। প্রবেশ মূল্য রাখা হয় মাত্র ৫০ টাকা।


আরও খবর



৭ দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

বুধবার স্থানী সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটের দিকে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন তাইওয়ানের পাশাপাশি অনুভূত হয়েছে চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেন, পূর্ব উপকূলে সাগর তীর বা ডাঙ্গা থেকে অল্প খানিক দূরত্বে, অর্থাৎ সাগরের অগভীর অংশে এই এপিসেন্টারের অবস্থান। এ কারণে তাইওয়ান এবং তার প্রতিবেশি দেশগুলোতে পূর্ণমাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়েছেগত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভিবিএস ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে ধসে ও হেলে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও স্কুলগুলো থেকে লোকজন-শিক্ষার্থীদের সরানো হচ্ছে। বাড়িঘরের ধংসাবশেষের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হওয়া এবং বাড়িঘর-দোকানপাটের আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ছড়ানো ছিটানো অবস্থার ফুটেজ প্রকাশ করেছে টিভিবিএস।

ভূমিকম্পের জেরে তাইওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে টিভিবিএস। তবে এখনও হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



বরই পাড়তে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের (ভিডিও)

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ওই ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

মারা যাওয়া দুই শিশু হলো- একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে কাওসার আলী (৭), আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মোহাম্মদ রাজু (১২)। তাঁরা দুইজনেই সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে কাওসার বাড়ির পাশে বরই গাছে বরই পাড়তে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় রাজু তাকে উদ্ধার করতে পুকুরে লাফ দেয়। পুকুরে পানি বেশি থাকায় তাঁরা দুজনেই গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.বি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে: পুতিন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে প্রাণঘাতী হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই হামলাকে 'বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা' বলে অভিহিত করে একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৩ মার্চ) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, আমি আজ রক্তাক্ত। বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি যার শিকার কয়েক ডজন নিরপরাধ মানুষ। শান্তিপূর্ণ মানুষ ছিল সবাই। আমি ২৪ মার্চকে জাতীয় শোকের দিন হিসেবে ঘোষণা করছি।

পুতিন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যে চারজন অপরাধী মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল, তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। তারা ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল। যারা সন্ত্রাসীদের পেছনে ছিল এবং যারা হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা চিহ্নিত করে শাস্তি দেবো।

এদিকে, মস্কোতে কনসার্ট হলে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার তদন্ত কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা আদান-প্রদান অ্যাপ টেলিগ্রামের এক পোস্টে কমিটি জানায়, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা কনসার্ট ভেন্যুতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার সময় সেখানে আরও কিছু লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারীরা গুলির পাশাপাশি বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ধসে পড়েছে হলের ছাদ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, মস্কোয় বড় জমায়েতে উগ্রপন্থীদের হামলার পরিকল্পনার খবর জানা গেছে। এ সতর্কবার্তায় বড় জমায়েতের মধ্যে কনসার্টের কথাও বলা হয়েছিল। সতর্কবার্তায় মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৩৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদি ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরের আগে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো প্রদেশে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।

এর আগে, সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।


আরও খবর