মাঝ নদীতে ইঞ্জিন
বিকল হয়ে বরগুনার পায়রা নদীতে পণ্যবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিখোঁজ ট্রলারের
দুই শ্রমিক। জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে প্রায় ২ কোটি টাকার পণ্য।
শনিবার (৪ জুন)
মধ্যরাতে বরগুনা থেকে তালতলী যাওয়ার পথে পায়রা নদীর চাড়াভাঙা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা
ঘটে। ট্রলারটি বরগুনা থেকে তালতলী বাজারে নির্ধারিত হাটের পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা গ্রামের কমল সমাদ্দার (৪০), লবণগোলা গ্রামের আবদুল খালেক (৫০)। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ট্রলারে থাকা
অন্য শ্রমিকরা জানান, শনিবার বরগুনা ঘাট থেকে পণ্য নিয়ে এফবি মায়ের দোয়া নামের ট্রলারটি
তালতলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় ট্রলারে চাল, ডাল, তেল, মরিচ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয়
কোটি টাকার পণ্য ছিলো। ট্রলারটি চাড়াভাঙা নামক স্থানে গেলে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
এসময় নদীতে ঢেউ থাকায় ট্রলারের মধ্যে পানি ঢুকে ট্রলারটি তলিয়ে যায়।
প্রাণ বাঁচাতে
ট্রলারে থাকা মাঝি ও শ্রমিকসহ ৭ জন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন সাঁতরে তীড়ে ওঠার চেষ্টা করেন।
এদের মধ্যে ৫ জন তীরে উঠতে পারলেও দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তীরে ফেরা আবদুর
রব মৃধা বলেন, “আমরা রাতে পণ্যবাহী ট্রলার নিয়ে বরগুনা থেকে তালতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা
দেই। পরে রাত ১১টার দিকে চাড়াভাঙ্গা থেকে বগী বাজারের দিকে পাড়ি দিলে হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ
হয়ে যায়। এসময় নদীতে ঢেউ থাকায় পানি এসে ট্রলারের উঠতে থাকে। সেই পানি অপসারণের জন্য
দুজন ব্রিজের মধ্যে যায়, কিন্তু দ্বিতীয়বার ঢেউ আসলে ট্রলারটি আস্তে আস্তে পানির নিচে
চলে য়ায়। আমরা পাঁচজন বেঁচে ফিরলেও ব্রিজের ভেতরে থাকা ২ জন উঠতে পারেননি।”
ফায়ার সার্ভিসের
তালতলীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে
পৌঁছাই এবং রাতেই ট্রলারটি থেকে যতটুক সম্ভব পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজদের
সন্ধান এখন পাওয়া যায়নি।” উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।