আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে দুটি বন্দুক হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে সেই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডাচ পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বাড়িতে গিয়ে গুলি চারায় হামলাকারী। এরপর বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর এরাসমাস মেডিকেল সেন্টারে হামলা চালায়।

৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি এরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার গুলিতে ৩৯ বছর বয়সী এক নারী ও তার ১৪ বছরের মেয়ে মারা গেছে। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৩ বছর বয়সী একজন প্রভাষক।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেনা ক্যামেফ্লেজ পোশাক পরা একজন ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।একজন নিরাপত্তা রক্ষী বলেন,`খুবই ভয়ানক পরিস্থিতি ছিল। হামলাকারী মূল দরজা দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেননি।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, `এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যারা আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করেছেন তাদের পাশে আছি আমরা।


আরও খবর



তিন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বর্তমান মন্ত্রিসভার তিন সদস্য। তাঁরা তিনজনই প্রতিমন্ত্রী। বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

ময়মনসিংহ৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কে এম খালিদকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আবদুল হাই আকন্দকে। আবদুল হাই আকন্দ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ানকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনকে। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিপ্লব হাসানকে। বিপ্লব ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।

আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এখন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ উপমন্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী তিনজন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের তিনজন ছাড়া সবাই মনোনয়ন পেয়েছেন।

 


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




১০ ডিসেম্বর দেখে পরবর্তী কর্মসূচি দেবে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
জামায়াতে ইসলামীকে সক্রিয়ভাবে পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে উভয় দলের হাইকমান্ডের মধ্যে কয়েক দফা কথাবার্তাও হয়েছে।

হরতাল-অবরোধের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচির সময় নির্বাচনকালীন প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে, তা পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়ন করার চিন্তা করছে সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দেশের এই অন্যতম বিরোধী দল।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশে বর্তমানে নির্বাচনকালীন প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে- সরকারের পক্ষ থেকে এ রকম দাবি করা হচ্ছে। এই প্রশাসন বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মানববন্ধন কর্মসূচি কীভাবে পালন করতে দেয়, তা থেকেই স্পষ্ট হবে, আসলে তারা কোন ভূমিকা রাখতে চলেছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানাচ্ছেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউন চলছে। যে নেতাকর্মীরা এখনও গ্রেপ্তার হননি, মামলা থাকায় তারাও আত্মগোপনে আছেন। ঢাকাসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব নেতাকর্মীর বাড়িতেই হামলা-লুটপাট চলছে। তাই নেতাকর্মীদের কেউই বাইরে বের হতে পারছেন না। এই অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির এখন প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে- ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আত্মগোপনে গিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানো নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিত করা; পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষিত হওয়ার পরও বিএনপিকে মাঠে আসতে দিতে চাইছে না সরকার। সে কারণেই সরকার বিএনপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের এখনও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে চলেছে। এমনকি পেশাজীবীদের সমাবেশ থেকেও নেতাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ-এসএসপি ও শ্রমিক দলের যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ হয়। এই সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নির্ধারিত সময়ের আগেই বক্তব্য দিয়ে চলে যান। তবে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা থাকলেও ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে বিক্ষোভ-সমাবেশজাতীয় কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত রবিবার রাতে ভার্চুয়ালি দলটির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। তাতে নতুন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত এক নীতিনির্ধারক জানান, বৈঠকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি দেওয়া হবে। আগের মতো দুই দিবসেই যথাক্রমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী বেদিতে ও সাভারে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার চিন্তা করছে বিএনপি।

এ ছাড়া এক দফার ভিত্তিতে যুগপৎ এবং যুগপতের বাইরে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলকে নিয়ে ঢাকায় গণমিছিল, পেশাজীবীদের উদ্যোগে সারা দেশে সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে পরবর্তী এক মাস কঠোর আন্দোলেন পরিচালনার বিষয় নিয়ে গত রবিবারের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীকে সক্রিয়ভাবে পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে উভয় দলের হাইকমান্ডের মধ্যে কয়েক দফা কথাবার্তাও হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের অন্য শরিকদের কাছেও এ বিষয়টি তুলেছে বিএনপি। তারা এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে, তার ওপরও নির্ভর করছে আন্দোলনের বিকল্প কর্মসূচির ধরন।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা সরকার পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে আছি। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের আচার-আচরণই বলে দেবে আমাদের আন্দোলনের চরিত্র কেমন হবে।

বিএনপি তার মিত্রদের নিয়ে গত ১২ জুলাইয়ের পর থেকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সরকারের এক দফার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ দলটির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এরপর থেকে বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে।


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




হবিগঞ্জে কুকুরের কামড়ে ১৪ জন আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে কুকুরের কামড়ে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিনব্যাপী শহরতলীর বহুলা গ্রামে একাধিক কুকুরের কামড়ে তারা আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, সকালে হঠাৎ করেই একটি কুকুরের দল মানুষকে কামড়াতে থাকে। যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে কুকুরগুলো। একে একে শিশুসহ অন্তত ১৪ জন মানুষকে কামড়ায় কুকুরগুলো। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ভয়ে অনেকেই ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।

এদিকে, বিকেলের দিকে কুকুরদের মারার জন্য লাটিসোটা নিয়ে বের হন এলাকার যুবক ও কিশোররা। তাদের তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে কুকুরগুলো এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহতরা নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কুকুরে কামড়ানো সবাইকে চিকিৎসা নিতে হবে।

আরও খবর



ওভার ইনভয়েসিংয়ে অর্থ পাচার কমেছে ৯০ শতাংশ : গভর্নর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাড়তি নজরদারির কারণে ওভার ইনভয়েসিং বা আমদানি করা পণ্যের অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে টাকা পাচার কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ। তা ছাড়া হুন্ডি নিয়ন্ত্রণেও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এদিকে ক্যাশ ডলার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে টাকা পাচারের অন্যতম পথ 'ট্রেড বেসড মানি লন্ডারিং'। ব্যবসার ছদ্মবেশে এ মাধ্যমকে অত্যন্ত নিরাপদভাবে ব্যবহার করে থাকে অপরাধ চক্র। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে অতিরিক্ত আমদানি মূল দেখিয়ে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি। তার আগের দুই অর্থবছরে ছিল ৭ হাজারের বেশি।

ধারাবাহিকতায় শেষ দুই অর্থবছর ব্যবসার আড়ালে কত টাকা পাচার হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে বছরখানেক ধরে ডলার সংকট বাদ সেধেছে সে পন্থায়। আমদানি-রফতানিতে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য যাচাই করতে ব্যাংকগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ অর্থ পাচার বন্ধ সম্ভব হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। আর হুন্ডি নিয়ন্ত্রণেও সতর্ক বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমি বিগত ১৫ থেকে ১৬ মাস ধরে যে কাজ করছি, তাতে ওভার ইনভয়েসিং মোটামুটি ৯০ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছি। ১০০ ভাগ তো কমানো যাবে না। কিন্তু ৯০ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছি। কাজেই আমি আপনাকে বলতে পারি যে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যেটি হচ্ছে, সেটি হলো হুন্ডির মাধ্যমে কিছু টাকাপয়সা যাওয়া-আসা করছে। তাই হুন্ডি কীভাবে বন্ধ করা যায়, আমরা সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

রফতানি আয়ের বিষয়ে গভর্নর বলেন, আমাদের পণ্য রফতানির মূল গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ এবং আমেরিকা। সেখানে পণ্য আমদানি অনেক কমে গেছে। তা সত্ত্বেও সেখানে আমাদের বিগত ৪ মাসের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি রয়েছে। তা ছাড়া আমরা আমাদের আমদানিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি এবং সেটি অনেকটাই কমে এসেছে। এখন আমাদের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে।

প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিয়ে তিনি বলেন, এর বাইরে রেমিট্যান্স যা আসছে, তা আগের বছরের একই সময়ের প্রায় সমান। চলতি বছর রেমিট্যান্সের হার মাত্র ১ শতাংশ কম রয়েছে। তবে আমরা আশা করি যে এই মাস থেকে এটি বেড়ে যাবে। তার এটি ক্রমেই বাড়তে থাকবে।

ডলার রেটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে সব ব্যাংকের কথা হয়েছে। তারা রাজি হয়েছে যে তারা প্রতিযোগিতায় যাবে না এবং তারা ন্যায্য দামে থাকবে। তা ছাড়া এখানে সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও রাজি হয়েছে যে তারা নিজেরা তাদের নিজস্ব সামর্থ্য হিসেবে প্রণোদনা দেবে। তাহলে আমার মনে হয়, আমরা যদি সব কটি একসঙ্গে যোগ করি, তাহলে এখন যে দাম, তা মোটামুটি বাজার দরের সমান। তা ছাড়া আমি মনে করি না ডলারের বিপরীতে টাকার মান খুব বেশি পড়ে যাবে। উল্টো ভবিষ্যতে এ মান বাড়তে পারে।

এদিকে দেশের বাইরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে যেতে বছরে কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়। যার প্রভাবে অস্থির থাকে নগদ ডলারের বাজার। তাই চাপ কমাতে ডলার আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, সংকট যেন না থাকে, মানুষ যেন ক্যাশ পেতে পারেন, তাই আমরা একটি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ডলার আনবে। আরও যদি দু-একটি ব্যাংক আনতে চায়, তাহলে আমরা তাদের অনুমতি দেব। সুতরাং, ক্যাশ ডলারের সংকট যেন না হয়। আর আমরা তো এরই মধ্যে টাকা পে কার্ড করেছি। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা এটির সঙ্গে রুপি অন্তর্ভুক্ত করতে পারব। ফলে কেউ যখন ভারত যাবে, তখন আর তাকে ক্যাশ ডলার নিয়ে যেতে হবে না। টাকা পে কার্ড নিয়ে ব্যবহারকারী তার যে ১২ হাজার ডলারের কোটা রয়েছে, সেটি সেখানে খরচ করতে পারবেন।

এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তারল্য সংকট কাটাতে অর্থ সহায়তা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মনিটরিংয়ে জোর দেয়ার কথাও জানান বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।


আরও খবর
মাতৃভূমি সিটির আবাসন মেলার উদ্বোধন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারতীয় চালের রপ্তানি মূল্য কমেছে

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




নয় বছরেও সংস্কার হয়নি ভেঙে পড়া সেতু

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী বাজারে খালের ওপর ঢালাই সেতুটির মাঝখানের অংশ ২০১৪ সালে ভেঙে পড়ে। ২০১৫ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এলাকাবাসী ভাঙ্গাঅংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এলাকার লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছে। এতে এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহার কাঠামোর ওপর ঢালাই দিয়ে ২০০৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু ২০১৪ সালে সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে পণ্যবাহী একটি ট্রলি নদীতে পড়ে যায়। ওই ভাঙ্গা অংশ নয় বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে এলাকার অন্তত ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। প্রতিদিন ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে সোনাখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গেরাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাহবুব আলম মোল্লা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর ওই ভাঙা অংশের কাঠের পাটাতন নড়বড়ে। তা ছাড়া সেতুর উত্তর প্রান্ত দেবে গেছে।

আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের মো. সোহেল রানা বলেন, সেতুটির অংশবিশেষ ভেঙে পড়ায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিগগির সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় বারবার জেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু আট বছরেও মেরামত করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়েছে। ওই পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ সেটা আপনাকে কে বলেছে। আপনার কাছে কি কোন ডকুমেন্ট আছে যে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ।


আরও খবর