ইনজুরির কারণে
ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে নেইমার জুনিয়রকে। কিছুদিন আগেই ৭
মাসের চোট কাটিয়ে পুরোদমে মাঠে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারও এক ভয়াবহ ইনজুরিতে পড়েছেন
ব্রাজিলিয়ান এই সেনসেশন। তবে এবারের চোট এতোটাই মারাত্মক যে আগামী ৯-১০ মাস মাঠের বাইরে
থাকতে হতে পারে ব্রাজিলিয়ান এ তারকাকে।
গতকাল বুধবার
(১৮ অক্টোবর) ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের ম্যাচে উরুগুয়ের
বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এস্তাদিও সেন্টেনারিওর ম্যাচে
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়ে। তবে ব্রাজিলিয়ানদের হারের আক্ষেপকেও ছাড়িয়ে গেছে
আরেকটি বিষয়। ম্যাচে চোটে পড়েছেন দলটির পোস্টার বয় নেইমার।
ম্যাচে প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে ফাউলের শিকার হয়ে চোটে পড়েন নেইমার। প্রথমে মাঠেই নেইমারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় তারকা এই ফুটবলারকে। তবে চোটের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে এরপর তাকে মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয়। স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার।
নেইমার উঠে
যাওয়ার পর তার বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় রিচার্লিসনকে। ম্যাচের পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা
শেষে জানা যায়, উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠের চোটে বাম হাঁটুর গুরুত্বপূর্ণ লিগামেন্ট এবং
মেনিসকাস ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেইমার নিজে এবং তার ক্লাব আল
হিলাল আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই হাঁটুর অপারেশন করা হবে নেইমারের। তবে কবে এবং কখন এই অপারেশন হবে সেটা এখনও ঠিক করা হয়নি। ব্রাজিল জাতীয় দল এবং আল হিলালের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক নেইমারের চিকিৎসায় যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম
মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেইমারের এই চোট বড়সড় বিপদে ফেলতে পারে ব্রাজিল এবং আল
হিলালকে। তাদের মতে, অপারেশন এবং পুনর্বাসন মিলিয়ে এই চোট সেরে উঠতে নেইমারের সময় লাগবে
৭-৯ মাস। অথচ ৮ মাসের মধ্যেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার আগামী আসর। তাই ল্যাটিন
সেরার এই আসরে এবার নাও দেখা যেতে পারে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনকে।