২০০২ সালে সবশেষ
বিশ্বকাপ জিতেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এরপর হেক্সা মিশনে গেল ৫ আসরে
বারবার হোঁচট খেয়েছে সেলেসাওরা। কাতারে গেল আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে
টাইব্রেকারে হেরে ভাঙে সেই স্বপ্ন। এখন ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেও খারাপ সময় পার
করছে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ র্যামন মেনেজেসের দল।
লাতিন আমেরিকা
অঞ্চলের বাছাই পর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্র করার পর এবার উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে
হেরেছে ব্রাজিল। তবে ম্যাচে ব্রাজিলের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের তারকা
নেইমার জুনিয়রের ইনজুরি। প্রথমার্ধের শেষদিকে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। নিকোলাস
দে লার ফাউলে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় আল-হিলাল তারকাকে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঘরের মাঠ এস্টাডিও সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে আতিথিয়তা জানিয়েছিল উরুগুয়ে। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে ৪৫ মিনিটেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। কিছুদিন আগেই দীর্ঘ ৭ মাসের চোট কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাঠে ফেরা এই ফরোয়ার্ডের ইনজুরি যেন নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
চলতি মৌসুমেই
প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে আল হিলালে পাড়ি দেন নেইমার। সৌদি প্রো লিগের
ক্লাবটির জার্সিতে অভিষেকের পর গোলের দেখাও পাচ্ছিলেন ব্রাজিলিয়ান পোষ্টারবয়। কিন্তু
জাতীয় দলের হয়ে এরই মধ্যে মাঠে নেমে আবারও বড় ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি। যদিও নেইমারের
ইনজুরি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
ব্রাজিলিয়ান
ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) থেকে জানা গেছে, নেইমারের বাঁ হাটু প্রচন্ডভাবে মচকে গিয়েছে।
লিগামেন্টের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা হবে ব্রাজিলের
এই পোস্টার বয়কে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই চূড়ান্তভাবে জানা যাবে আবারও মাঠের বাইরে থাকতে
হবে কি না নেইমারকে।
উরুগুয়ের বিপক্ষে
জয়ের জন্য যেখানে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কথা ব্রাজিলের, সেখানে দলটির ফরোয়ার্ডরা
ছিল নিষ্প্রভ। পুরো ম্যাচজুড়েই ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডদের ‘বাক্সবন্দি’ করে রাখে উরুগুয়ের রক্ষণভাগের
ফুটবলাররা। ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোর মতো ফুটবলার থাকার পরও ৯০ মিনিটে কেবল একটি শট অন-টার্গেটে
রাখতে সক্ষম হয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।