আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

নেপালে গিয়ে যে ৫ স্থান ঘুরতে ভুলবেন না

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই নেপাল ভ্রমণে যাচ্ছেন! কেউ দলবেঁধে আবার কেউ পরিবার কিংবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। তবে নেপাল ভ্রমণে কোথায় কোথায় ঘুরবেন তা কি জানা আছে? নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, নেপালের শীর্ষ ৫ স্থানের নাম। যেসব স্থানে ২০২২ সালে পর্যটকেরা ভিড় করছেন। জেনে নিন নেপাল ভ্রমণে ঘুরে আসতে ভুলবেন না কোন কোন স্থান-

সিন্ধুলিগাধি: সিন্ধুলিগাধি নেপালের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি সেই প্রাচীন দুর্গ যেখানে ১৭৬৭ সালে গুর্খা সৈন্যরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সৈন্যদের পরাজিত করেছিল। দুর্গটি আজও নেপালি সৈন্যদের বীরত্বের প্রতীক হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সিন্ধুলিগাধি জেলার সদর দফতর সেখান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে ও কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪১৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ঐতিহাসিক দুর্গটি। সিন্ধুলিগাধিতে সারা সপ্তাহ ধরে পিকনিক ও পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। দুর্গটি নেপালের একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ কারণে সেখানকার রাস্তা ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। সিন্ধুলি থেকে দক্ষিণে রামেছাপ ও উত্তরে হিমালয় দেখতে পারবেন। স্থানটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্যও বিখ্যাত। সিন্ধুলিগাপধিতে নেপাল সেনাবাহিনীর তৈরি জাদুঘরটিও দেখে আসতে ভুলবেন না। স্থানটি স্থানীয় জুনার ও কিউই ফলের জন্যও বিখ্যাত।

মুন্ডুম ট্রেক: মুন্ডুম ট্রেক খোটাং ও ভোজপুর জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানটি সিলচুং পিকের ভিউপয়েন্ট পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এটি মূলত একটি ট্রেইল। যেটি ধরে এগিয়ে গেলে ডিকটেল বাজার থেকে শুরু করে চাখেওয়া, রাওয়া ধাপ, সালপা ভাঞ্জিয়াং, শিলচুং, হাঁসপোখারির মতো সুন্দর এলাকাগুলো পার হয়ে ভোজপুরে পৌঁছানো যায়। ডিকটেল ও ভোজপুরে কিছু লজ আছে, তবে ট্রেকারদের তাদের নিজস্ব তাঁবু বহন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ট্রেইলটিতে একসঙ্গে ৮০০০ মানুষ এভারেস্ট, লোটসে, মাকালু, চো ওয়ু ও কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। বসন্ত ঋতু অর্থাৎ মার্চ থেকে মে সেখানে ভ্রমণের জন্য সেরা সময়।

বরাহ ক্ষেত্র: বরাহ ক্ষেত্র হলো একটি তীর্থস্থান। যা নেপালের ধরন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সপ্ত কোশি ও কোকা নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। ব্রহ্ম পুরাণ, বরাহ পুরাণ ও স্কন্দ পুরাণসহ পুরাণে উল্লিখিত নেপালের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে একটির অবস্থান বরাহ ক্ষেত্রে। এটি মহাভারত মহাকাব্যেও উল্লেখিত আছে। এটি পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত। মন্দিরটি সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক উভয় ঐতিহ্য প্রদর্শন করে। কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে ভারত থেকে লোকেরা বিশেষ করে এখানে আসেন। নেপালবাসীরা মকর সংক্রান্তির শুভ দিনে এই তীর্থস্থানে আসেন। জেট বোট পরিষেবা ও পাবলিক বাসের সুবিধা বরাহ ক্ষেত্রে সহজেই মেলে।

অরুণ ভ্যালি: অরুণ ভ্যালি সাগরমাথা ও মাকালুর মধ্যে মাকালু-বরুন জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত। এটি একটি বৈচিত্র্যময় অঞ্চল। যেখানে অত্যাশ্চর্য টেরেসড ল্যান্ডস্কেপসহ মরুভূমির দেখা পাবেন। যদিও স্থানটি পর্যটনবহুল নয়। কারণ এটি একটি ব্যতিক্রমী রুট, যা ট্রেকাররা আবিষ্কার করেছিলেন। কাঠমান্ডু থেকে এক ঘণ্টার ফ্লাইটের পর তুমলিংটারে ট্রেক শুরু হয়। অরুন ভ্যালির পথে চলতে চলতে দেখা মিলবে রাই, শেরপা ও লিম্বু সম্প্রদায়ের বসতি। এটি একটি আশ্চর্যজনক ট্রেকিং অভিজ্ঞতা দেয়। অরুণ-৩ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অরুণ নদীর উপর তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অরুণ নদীর উপর একটি ৭০ মিটার লম্বা ও ৪৬৬ মিটার দীর্ঘ কংক্রিটের মধ্যাকর্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানটি পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছে অন্যতম প্রিয় হয়ে উঠেছে।

ক্লিফ, কুশমা: নতুন বছর আসতেই নেপালি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা এরই মধ্যে পার্বত্য জেলার কুশমার বাঞ্জি জাম্প স্টেশন দ্য ক্লিফে ভিড় করছেন। যেটি পোখরা থেকে দুঘণ্টার পথ। পোখরাকে কুশমার সঙ্গে সংযোগকারী দুই লেনের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। কালি গন্ডাকি নদীর উপরে শ্বাসরুদ্ধকর ৫২৮ মিটার-দীর্ঘ ব্রিজ অতিক্রম করেন অনেকেই। এই ব্রিজের সঙ্গে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের সুবিধা আছে। যা বিশ্বের তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, কুশমায় ২২৮ মিটার উঁচু বাঞ্জি জাম্পিং সুবিধা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ। বিশ্বের সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক বাঞ্জি জাম্পিং সুবিধা পাবেন চীনে (৩৭০.২৫ মিটার)। চীনের গুইঝোতে হুয়াংগুওশুতে বালিঙ্গে সেতুতে অবস্থিত এটি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়। কালি গন্ডাকি গিরিখাত জুড়ে ঝুলন্ত সেতুটি রাশিয়ার সোচির ক্রাসনায়া পলিয়ানা উপত্যকার ওয়াকওয়ের একটি অনুলিপি। যা ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের সময় ডিজাইন করা হয়েছিল। ক্লিফ কুশমা ও বাগলুং-এর কালি গণ্ডকি নদীর ঝুলন্ত সেতুর উপরে উচ্চতম স্কাই সাইক্লিং ট্র্যাকিংয়েরও ব্যবস্থা আছে।

নিউজ ট্যাগ: নেপাল

আরও খবর



ভারতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ছত্তিশগড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছন। আহত হয়েছেন আর ১৪ জন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রাজ্যের দুর্গ জেলার কুমহারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্গের কালেক্টর রিচা প্রকাশ চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, কর্মীদের বহনকারী বাসটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমহারির কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৪ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে এইমসে (রায়পুর) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দুজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।

সরকারি এ কর্মকর্তা জানান, বাসের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কুমহারির কাছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি দুঃখিত। আমি বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি। আহত কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।


আরও খবর



ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িসহ কেএনএফের ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত জিপগাড়িসহ পৃথক অভিযানে কেএনএফের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রুমা-থানচিতে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় আটটি মামলায় সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, গতকাল রোববার রাতে থানচি থেকে একজন এবং রুমা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সদরের স্যারণপাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের দীর্ঘলাইন। বেড়েছে ভোগান্তিও।

প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক লুট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর



রমজানের পর শসার কেজি আড়াই টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরে শসার দামে ধস নেমেছে। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

এ ছাড়াও কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। খানসামা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে আড়াই টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেনি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়নগড় গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো. রশিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আ. সুবহান বলেন, দাম এখন হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। সবজির দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: শসা

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্ত হন ওই নারী। কখনও আবার মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫ বলছরের ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তার আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।


আরও খবর