আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নেত্রকোনায় ৫০৪ জাতের ধান নিয়ে গবেষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাগলের মতো। তার উদ্যোগ দেখে গ্রামের কৃষক, আশেপাশের মানুষ বীজ সংগ্রহ করে কৃষক বাচ্চু খানের বাড়ি পৌছে দিতো

নেত্রকোনা থেকে মোনায়েম খান, 

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চু ৫০৪ জাতের ধান নিয়ে গবেষণা। নেত্রকোনা জেলা আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে তুষাইনদীর পাড়ে তার জন্ম। বর্তমানে তুষাই নদী নেই, চিহ্নও নেই। যেখানে নদী ছিল সেখানে ফসলের সবুজ মাঠ। কৃষকফসল ফলায়। নদী নিয়ে আছে শুধু গল্প। ছোটকাল থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। সে দেখেছে কিভাবে কৃষকের সম্পদ বীজ কোম্পানীর কাছে চলে গিয়ে আবার প্যাকেট হয়ে কৃষকের কাছে ফিরে আসছে। কিভাবে কৃষকের গোয়ারঘর গ্যারেজ হয়ে গেছে। পুকুরে কিভাবে আগ্রাসী মাছের চাষে একাকার হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ ইতিহাস, অভিজ্ঞতা সবকিছুই ভাবিয়ে তোলে কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুকে।

ধানের দেশ, গানের দেশ বাংলাদেশ। নেত্রকোনা বাংলাদেশেরই একটি ছোট জেলা। নেত্রকোনা অঞ্চলের মানুষ ধানের উপর নির্ভর করেই তাদের জীবন জীবিকা পরিচালনা করে আসছিল। ধান চাষকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি অর্থনীতি। যতই দিন যাচ্ছে স্থানীয় জাতের ধান, শস্যফসল হারিয়ে যেতে শুরু করে। কৃষকেরা নিজের সম্পদ বীজ হারিয়ে বাজার নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কৃষক প্রতারিত হতে থাকে বারবার।

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুও এক সময় ১০-১৫ জাতের ধানের চাষ করতো। কৃষকের সম্পদ বীজ কেন কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে, কৃষক কেন দিন দিন বাজার নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এই চিন্তা তাকে গভীর ভাবে ভাবিয়ে তুলে। নিজ উদ্যোগে শুরু করেন ধানের জাত বাচাই কার্যক্রম। ২০০৫ সালে আউশ মৌসুমে ৫টি ধানের জাত সংগ্রহ করেন আশে পাশের গ্রাম থেকে এবং শুরু করেন ধানের গবেষনা প্লট। এভাবে আউশ আমন, বোরো মৌসুমেও ধানের জাত গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে উপজেলা, জেলা থেকে জেলা, দেশ থেকে বিদেশ ঘুরতে থাকে। সংগ্রহ করতে থাকেন ধানের জাত। এভাবে ধানের জাত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহন করেন।

তিনি যেখানেই যেতেন সেখান থেকেই ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতেন। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাগলের মতো। তার উদ্যোগ দেখে গ্রামের কৃষক, আশেপাশের মানুষ বীজ সংগ্রহ করে কৃষক বাচ্চু খানের বাড়ি পৌছে দিতো। ধান সংগ্রহ তার নেশায় পরিণত হয় তিনি তৈরী করেন ধান গবেষনা প্লট। আউশ, আমন, বোরো মৌসুমে ধানের গবেষণা প্লট তৈরী করে ধানের জাত বাছাই কার্যক্রম করে এবং ধানের জাত সংরক্ষণ করতে থাকেন। ধানের জাত গুলো সংরক্ষণের জন্য তিনি নিজ বাড়িতে একটি বীজ বিনিময় কেন্দ্র তৈরী করেন। সেখানে তিনি বীজ রাখেন ও কৃষক বীজের বিনিময়ে বীজ সংগ্রহ করতো ও বিনিময় করতো। কৃষকের মাঝে আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দেয়।গ্রামের সকল কৃষকেরা মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন । গ্রামের ও আশের পাশের ১৩ গ্রামের কৃষকেরা বীজঘর থেকে বীজ সংগ্রহ করতে থাকেন।

আবার চাষ করার পর সেই বীজ ঘরে ফেরত দিয়ে যেতেন। এভাবে কৃষকের বাছাই করা বীজ কৃষক থেকে কৃষক, গ্রাম থেকে গ্রাম, জেলা জেলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। নেত্রকোনার গন্ডি পেরিয়ে কৃষক সায়েদ আহমেদ খানের এই বীজ ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্পা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খুলনা, নাটোরসহ বাংলাদেশের ২৫টি জেলার কৃষক ও সংগঠনের মাঝে সম্প্রসারিত হয়। যারাই বীজ পরিদর্শন করতে আসছে তারাই পছন্দের বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। তাদের এলাকায় চাষ করছেন। আটপাড়া এলাকায় প্রথম দেখা গেছে ৪ থেকে ৫ জাতের ধান চাষ হতো বর্তমানে সেখানে কৃষকেরা ৬১ জাতের ধান চাষ করছেন।

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুর কাছে বর্তমানে আউশের ২৪টি জাত, আমনের ৪২৩টি জাত, বোরোর ৫৭টি জাত সংগৃহিত আছে। যে জাত তিনি চাষ করছেন ও সংরক্ষণ করছেন। তিনি কৃষকের নেতৃত্বে ধানের জাত গবেষণা করে জাত বাছাই করছেন ও একটি সংরক্ষণ প্লট করে জাতগুলো রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রথমে রামেশ্বরপুর গ্রামে একটি জাত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এরপর তার কার্যক্রম দেখে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দূর্গাশ্রম, বাশাটি, তিলকপুর, স্বরমুশিয়া, কৃষ্ণপুর, দেওগাও, পাহাড়পুর, বানিয়াজান, মদন উপজেলার শাহপুর, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, খিচা, তারাটি, সাধুপাড়া, সুতিয়াখালি, পুটিজানা, নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা, রাজেন্দ্রপুর, কলমাকান্দা উপজেলার  লেংগুড়া, খানৈই, কেন্দুযা উপজেলার আশুজিয়া, সিংহের গাও, নগুয়া, সুনামগঞ্জ জেলার ধরমপাশা উপজেলার সম্পদপুর, মধ্যনগর, কৃষকেরা কৃষকের নেতৃত্বে ধানের জাত গবেষকণা কার্যক্রম পরিচালনা করে ধানের জাত বাছাই করছেন ও বীজ সংরক্ষণ করে বাজার নির্ভরশীলতা কমাচ্ছেন।

কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চু প্রতিটি জাতগবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করে কৃষকদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং তার মতো আরো কৃষক গবেষক তৈরীতে সহায়তা করেছেন। যারা বর্তমানে বিভিন্ন উপজেলা জেলায় কৃষকের বন্ধু হয়ে বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করে যাচেছন। তিনি বাছাইকরা ধানের জাত উন্নয়নের জন্য ধানের জাত উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন। কৃষক বাচ্চুর উদ্যোগ উৎসাহ, দেখে বারসিক ফিলিপাইনের ম্যাসিপাক নামের সংগঠনের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে পাঠায়। সেখান থেকে তিনি ধানের জাত উন্নয়নে গবেষণার সার্বিক বিষয় জেনে আসেন। বাংলাদেশে এসে তিনি আরো ১০জন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করেন। এলাকা উপযোগি একটি নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য তিনি নিরলস ভাবে কাজে করে যাচ্ছেন।

তার কাছে সংগ্রহে আছে রিবই, রতি শাইল,বদ্দিরাজ, বোরো আবজি, বোরো ঝাপি, বিন্নি, আরপারিনা, পঙ্খিরাজ, আইজং, চাপালি, কলমিলতা, নাতিশাইল, বাইগুনবিচি, কালিজিরা, পিপড়ার চোখ, চিনিশাইল, তুলসিমালা, নুইন্যা, বাদশাভোগ, চানমুনি, নুইন্যা(নেত্র), পুইট্টা আইজং, ভোলানাথ, জলকুমড়ি, তিলবাজাইল, মগি, মেদি,শাইল আমন, খামা, আসকল, গইড্যামুড়ি, ঢেকিমালা, বিরন, কার্তিক শাইল, রাইমুহি, লালআনামিয়া, বাঁশফুল বালাম, দেফা, অগ্নিশাইল, লালকুমড়ি, শিরবাস, কার্তিক বিন্নি, কাচড়া, বোগরা, গোবিন্দকালার, দুধবিন্নি, খাসিপুড়ি, চরোবালাম, ডাকশাইল, সকালউড়ি, চাপশাইল, রাঙ্গাবিন্নি, গোহাতি বিন্নি, রাজাশাইল, নাজিরশাইল, বুকাইয়ার, রানীশালট, চায়না, আরা, আশু,স্বর্ণলতা, লেদ্রাবিন্নি, গচি, কাঠিগচ্চা, বলুয়াচন্দ্রা, বাটাচৌদি, কাজলশাইল, মৌবিন্নি, আনামিয়া, বিলাস, সিলেটবালাম, চান্দিশাইল, জংলি, গেংগেংবিন্নি, চেনিকানাই, চাপানলি, গারোআইজং, মনগিরি, আলফাইরি, সকালমুখি, সাদাবিরই, চিকনমালতি, আগুন্যাবিন্নি, অঘনঢেপি, হরি, ইয়রচাল, আপাচি, রহমানইরি, জাগলি বোরো, খাসকিনি, সুবাস, লোহাজং,বাশিরাজ, চিনিসাগর, আব্দুল হাই, গোলাপি, দলকচু,গানজে, লালবিরই, পাইরজাত, আসাম বিন্নি, খাসিয়াবিন্নি, আসামমুনিয়া, দারিয়া, কালিগোবিন্দ, বাশমতি, কাশেম ইরি, আটাবিন্নি, ফুলগাজিয়া, কাকুয়াবিন্নি, কুরাবিন্নি, মালশিরা, দেবদারু, ময়রম,জীবনশান্তি, গোবিন্দ, উট্টজাবিন্নি, চানমনি, যতনবিন্নি, খাটোবাধা, ভূইট্টা আইজং, ভরত, খাইনল, স্বর্ণা, ফুলবাইন, গুটিস্বর্ণা, সতীন, বারোমাসিহাটি, পংকোচ, কুটবাদাম, জটাভাইলা, মাইটাগরল, মারাটাবিন্নি, অরই, ঋতু পাইজাম,দেশিপাইজাম, সোনালি পাইজাম, কালাম পাইজাম, গৌরিকাজল, দিঘা, ডেপো, ভাউলা, লালজিরা, শিলকমল, সুধা, লিলি, জটাশাল, খাকিবিরণ, মালতি, টলাবিরণ, গুটক, পরিচক, পাখিবিরন, গান্ধিবিরন, বিনাশাইল, গাঞ্জিয়া, পোড়াবিন্নি, মাখড়িবিরইন, কালাপুড়া, জড়িয়া, বাঁশফুল, পর্বতজিরা, কাটারিভোগ, মকবুল, বাবুস্বর্ণা, লালস্বর্ণা, কালামকুরি, সাদামোটা, সীতা, আতব, সোহাগ-৪, মোতামুটা, ইঞ্চি, তালমুগর,তিলেকুচি, হাতিবাজর, পাটনাই, নোনাকুচি,হামাই,কুটপাটনাই, হোগলা, মগাইবালাম, খেকশিয়াল, রুপেশ্বর, মহিমে, বেনাপোল,জগড়থল, ঘুসি, দারশাইল,ধলাদিঘা, দূর্গাভোগ,নোয়াখালি, সাদাহুটরা, করমচা, আজলদিঘা, রাজমন্ডল, কাকুরিয়া, খৈলজুরি, সাদাগোছা, সমনস্বর্ণা, গুটিপারিজা, চেংগুল, লালডুগা, চিকনবেতি, টেংগুরা, কাবেরী, শিশুমতি, পশুশাইল, বালিয়াদিঘা, সাদাকিচন, জলকস্তরি, স্বর্ণমুসুরি, সৈয়দমুটা, নাখুচিমোটা, বামনখিচা, দিশারী, কালোমোটা, ফকিরমোটা, জামাইনাড়ু, বুড়ামন্তেশ্বর, ভোজনকরপু, খাড়ামুটা, কিরনশাইল, চায়না, মীরমোটা, সাদাগোটাল, লালমোটা, গাবরাইল, শীবজটা, ন্যাড়াজামাইনাড়ু, মৌলতা, ভুষিইরি, ক্যারোন্ডাল মোটা, জহুরীমোটা, কাচামোটা, লালগোটাল, সাদাগোটাল, হলদেগোটাল, পাংগাস, ব্রিধান-৭৬,শুলি, জোনালু, কালোশাইল, মরিচশাইল, মালাগেতি, রাধুনিপাগল, তিলকাপুরসাদা, তিলকাপুরকালো, ঘিগজ,মুড়াবাজাল, চিটাগাংইরি, জিরাবাদাম, পঞ্চাশইরি, লাইলাকুড়ি, শামরস, লাফাইয়া, ফুলকাইন্ডা, হরিশংকর, রহমত, মেটেগরল, মোল্লাদিঘা, বেতক, বজ্রমুড়ি, গইড্যাইরি, সাদাপাইজাম, সাদালু, জামিনীমোটা, সাগরফনা, ক্যাশরাইল, ময়নামতি, দুধকলস, বগাদিঘা, চরবলেশ্বর, জটাইবালাম, মগাইবেতি, চিনিগুড়া, অদুবআলি, সাথিয়া, বগী আউশ, কাইশ্যাবিন্নি, বউলা, কাদাছাড়, পুইট্টা আইজং, কাকাগরিয়া, হাজীবরন, বাবুই, সাদাহাইজগা, ক্যারোন্ডাল বৈলাম, কালিডুগা, লালহাইডগ্যা, আব্দুল হাই, সুবাশ, কামারাং, রেংগুন, সংগেলং, বান্দরনগবিন্নি, কম্বোদিয়া, প্রজেক্ট আউশ, কালা আগলি, বাসমতি,মুরালি, টেংরি,কটকী, বারোমাসিহাটি, হরিডগা, লঙ্গাপোড়া, কোম্পানীধানি, তুমবাজবিন্নি, পাথরকুচি, চপ্পল, পারিজা, কুচমুচ, গোটাআউশ, কালোআউশ, ভজন, ষাটশাইল, শঙ্খবটী, ধলগৌড়া, কুমড়ী, কালোমানিক, ভৈড়া, মোগলশাইল, গচি, শাইল, ঝাপিবোরো, বাশফুল, লাখাই, লাফা, বোরো, আইজং, বর্গাবোরো, কেচকি, গোলইরি, পুইট্টাইরি, কালোদেশিবোরো, বাইগুনবিচি, খইয়া, চুরাইক্যা, বারোমাসিহাটি, ওয়ারেস ইরি, গাজর, টাইফ, কাজললতা, নয়ন, বিনাশাইল, জটাবোরো, জেসমিন, রেডজেসমিন, লাউটাক, রয়াল প্রিন্সেস, হোমডিন, ম্যাডম্যাকো,রাটেল, চান্দিনা, মালা, গাউনি, টিমবংগী, কালকচু, তাছাড়া আরো ৯০টি উবশী জাত সংগ্রহে ও চাষ করা হচ্ছে।

কৃষকের বীজ কৃষকের অধিকার, কৃষকের বীজ কৃষকের সম্পদ এই কথাটি তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তিনি বীজঘর তৈরী, জাতগবেষণা পরিচালনা, কৃষককে কাজে সহায়তা করা। বিনিময় করা, বীজ সংগ্রহ করা এবং মেলার আয়োজন করে সকল স্তরের মানুষকে তা জানানো ছিল প্রধান কাজ। তিনি পাড়ামেলা, গ্রামের মেলা, প্রাণবৈচিত্র্য মেলা, উপজেলা-জেলা-জাতীয় পর্যায়ে মেলায় অংশ গ্রহন করে জানিয়ে দিয়েছেন বীজ আমাদের সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।

দেশী বিদেশী অনেক সংগঠন বীজঘর পরিদর্শন করেছেন যেমন কারিতাস, রোসা, লোকজ, এসডিএস, উত্তরন, দীপশিখা, নারীপ্রগতি, এসবিসি, বারসিকের বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যেমন সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ, মঠবাড়িয়া, মধ্যনগর, কলমাকান্দা, এনজিও ফোরাম কর্মজীবী নারী নেত্রকোণার প্রেসক্লাব সাংবাদিক দল, সিএসডি, গান্ধি আশ্রম, এমকেপি, পাসকস, সেবা কৃষক সংগঠন, মাটি, বিআইএ, একশান এইড, চ্যানেল আই, ইউল্যাব। সোয়ালুজ সুইডেন, ব্রীহি ভারত, লুমান্তি নেপাল, ইয়োথ একশান নেপাল, সেকার্ড নেপাল, ফিয়ান নেপাল, সিভাসমন্ডি স্পেন, মিজারিওর জার্মানীর প্রতিনিধি সহ আন্তজার্তিক সংগঠন বীজঘর পরিদর্শন করেছেন। কৃষক বাচ্চু খানের এই উদ্যোগ, তার চিন্তা, প্রেরনা আরো কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, কৃষকের বীজ কৃষকের কাছে থাকুক। কৃষকের বাজার নির্ভরশীলতা কমে যাক।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমল

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর। ফারসি ভাষায় যা শবে কদর নামে খ্যাত। লাইলাতুল কদর এমন এক মহিমান্বিত রজনী যে রজনীতে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। মূলত এজন্যই এই রজনী এত ফজিলতপূর্ণ আর এই রজনীর কারণেই মাহে রমজান এত সম্মানিত।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এই রজনীর গুরুত্ব বুঝাতে কদর নামে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই আমি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আর আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। সুরা কদর: ১-৫

পবিত্র কুরআনে লাইলাতুল কদরকে আল্লাহ তাআলা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহর কোন বান্দা যদি এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে তবে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করার সাওয়াব লাভ করবে। এক হাজার মাসে ৩০ হাজার রাত্রি হয়। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০ হাজারগুণ অপেক্ষাও বেশী!

সুতরাং বলা যায় এ রাতের একটি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার তাসবিহ অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপভাবে, এই রাতের এক রাকাত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার রাকাতের চেয়েও উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল লাইলাতুল কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। তাই যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, মূলত সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।

এছাড়াও লাইলাতুল কদরের রাতের অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। কদর রজনীর ইবাদত, সালাত আদায়ের ফলে পূর্ববর্তী জীবনের গুণাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ইমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৪।

এই ফজিলতপূর্ণ রাতটি কখন? কোন সময় আসে? এ সম্পর্কে রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী: ২০২০

তাহলে শেষ-দশক মানে কি রমজানের শেষ দশকে প্রতিদিন লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে? এই প্রসঙ্গে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকের বেজোড় রাতসমূহে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী : ২০১৭

অর্থাৎ মাহে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এ পাঁচটি রাতের মধ্যে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর তালাশ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যে ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে লাইলাতুল কদর পালন করি এর ভিত্তি কী? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য এ রাতের ব্যাপারে আরও নির্দিষ্ট করে বলছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অক্ষম হয় বা দুর্বল থাকে তাহলে সে যেন ২৭ রমজানের রজনীকে লাইলাতুল কদর বলে বিবেচনা করে ইবাদত করে। মুসলিম: ১১৬৫

হযরত উবাই ইবনে কাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর বিবেচনা করে ইবাদত করতে বলেছেন।

এছাড়াও মুহাক্কিক ইমামগণ বলেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে নয়টি হরফ বা আরবি বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই সাতাশে রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাফসিরে মাযহারি

যে রাতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হবে তার কিছু আলামত হাদিস শরিফে এসেছে:

১. আকাশ মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল থাকবে। তিরমিজি

২. ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি তথা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে। তিরমিজি

৩. রাতগত দিনে সূর্য উদিত হবে আলোক-রশ্মীহীন অবস্থায়, অর্থাৎ সূর্যের চিরচেনা তেজবিহীন অবস্থায়। মুসলিম, সহিহ ইবনে খুযায়মা

মহিমান্বিত এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে? কী চাইবে? এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন: একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, যদি আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী দোয়া পড়বো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। সুনানুত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩

সুতরাং, লাইলাতুল কদরে আমাদেরকে আমল ও দোয়ার মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা জরুরি। আর কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই রাতের কতিপয় আমল হলো-

১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ, সুরা ইখলাস ইত্যাদি সুরা তিলাওয়াত করা।

১০. অধিক পরিমাণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম ও দরূদ শরিফ পাঠ করা।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা,

১৪. কবর জেয়ারত করা।

১৫. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা।

এছাড়াও এই রাতে নিজেকে নানাবিধ ইবাদতে ব্যস্ত রাখা। কারণ এই রাতের ইবাদতের দ্বারা আমাদের জীবনের গুণাহসমূহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতকে অবহেলায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পালন করে কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুক। আমিন বিজাহিন নাবিয়্যিল কারিম রাউফুর রাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরীক্ষায় মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএসএফের গুলিতে আরও ২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী চক্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে ভারতে প্রবেশ করেন। গরুর রাখালরা ভারতীয় গরু নিয়ে বুড়িরহাট সীমান্ত দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে ৩ জন বাংলাদেশি রাখাল গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাকিরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী চন্দ্র মারা যান। বাকি দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মুরলী চন্দ্র নামে একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

নিউজ ট্যাগ: লালমনিরহাট

আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ঘোষণা এরদোয়ানের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আজ বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমন অবস্থায় এরদোয়ান বলেছেন, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবো। তাদের সংগ্রামের সঙ্গে থাকবো।

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানতেও নারাজ এরদোয়ান। হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি।

এরদোয়ান বলেন, যখন কেউ কথা বলেনি, আমরা বলেছি। জাতিসংঘে আমরা দাঁড়িয়ে বলেছি হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।


আরও খবর



জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে রাখা হয়নি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি পেসার মুস্তাফিজ। যেখানে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন কাটার মাস্টার ফিজ। বাঁহাতি এই পেসারকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আর সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে থাকায় নেই প্রাথমিক এ ক্যাম্পে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এই প্রস্তুতি ক্যাম্প। এরপর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি। এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সৌম্য সরকার।


আরও খবর
আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪