আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নেত্রকোণায় বোরো ধান কাটতে মাইকিং

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

হাওরাঞ্চলের কৃষকদের একমাত্র ফসল বোরো ধান। গত কয়েক বছর ধরে নেত্রকোণার কৃষকদের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণের কারণে ফসলহানি ঘটেছে।

এ বছর এখনো হাওর এলাকার কৃষকদের ধান ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়নি। গত তিন দিন ধরে হাওরে আগাম বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কৃষকদের বোরো ধান কাটার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে দিয়ে খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকে প্রচারণা চালিয়ে ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এতে বলা হচ্ছে, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা ১১ দিন ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ওই সময়ে দেশে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

মাইকিংয়ে জানানো হচ্ছে, ওই বৃষ্টির পানিতে খালিয়াজুরী উপজেলাসহ হওরাঞ্চলে আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাই হাওরের বোরো ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকলেই যেন দ্রুত কেটে ফেলা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরগুলোতে ১৮ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে। এ আবাদের শতকরা ৫৫ ভাগ জমির ধান এরই মধ্যে কাটাও হয়েছে। বাকি ৩০ ভাগ জমির ধান জমিতেই রয়েছে পাকা অবস্থায়। আর ১৫ ভাগ জমির ধান রয়েছে কাঁচা। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে কোনো জটিলতা কিংবা অবহেলার কারণে জমির ধান কাটা না হলে আগাম বন্যায় এখানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায় ধান কাটা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোণা

আরও খবর



প্রশাসনে বড় রদবদল

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একজন সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিব করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এক বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, যুগ্মসচিব, জেলা প্রশাসক, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে বড় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জারি করা আদেশে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে একই বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাঝামাঝি। বর্তমানে দশজন কর্মকর্তা সিনিয়র সচিব হিসাবে কর্মরত। ২০১২ সালে প্রশাসনে সিনিয়র সচিব পদ সৃজন করা হয়।

পৃথক আদেশে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমানকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পৃথক আদেশে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. ফারুক আহমেদকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে খুলনায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আসিব আহসানকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে সিলেটে এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আজিজুর রহমান বিপিএএকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে ময়মনসিংহে বদলি করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে ওএসডি যুগ্মসচিব মুহাম্মদ মনজুরুল হককে অর্থ বিভাগে, হাবিবুন নাহারকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। পৃথক আদেশে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে বদলির আদেশাধীন মো. হেলাল হোসেনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবং সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব বদিউল আলমকে জেলা প্রশাসক হিসাবে নরসিংদী, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত শাহ জুলফিকার হায়দারকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. বদিউজ্জামানকে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার হিসাবে বরিশালে পদায়ন করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিমকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বগুড়ায় এবং মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়ালকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে গাইবান্ধায় বদলি করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মোরশেদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাবরিনা শারমিন এবং রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে পদায়নের জন্য রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। একই আদেশে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মিনহাজুল ইসলামকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে পদায়নের জন্য রংপুরে বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবিদা সুলতানা, মো. মাহবুবুর রহমান এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অনুপম অনুপকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে পদায়নের জন্য সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। একই আদেশে খুলনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হরে কৃষ্ণ অধিকারীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে পদায়নের জন্য খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে সহকারী কমিশনার হিসাবে পদায়নের জন্য বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত মিজানুর রহমান এবং এসএমএন জামিউল হিকমাকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ দুবাই, ঢাকা ষষ্ঠ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই। অন্যদিকে, দূষণমাত্রার তালিকায় রাজধানী ঢাকা রয়েছে ৬ নম্বরে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা দুবাইয়ের স্কোর ১৬৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। শহরটির স্কোর ১৬৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৬১ অর্থাৎ এই শহরের বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

অন্যদিকে, ৬ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। রাজধানী ঢাকার স্কোর ১৪০ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে।

ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি পাঁচ বছরেরও বেশি আয়ু কমতে পারে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।


আরও খবর
ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তিনটি পণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজ, আলু ও ডিম এই তিনটি কৃষিপণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ বাসভবনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

টিপু মুনশি বলেন, ভোক্তা অধিকারের যথেষ্ট পরিমাণ লোকের অভাব রয়েছে। এর পরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া দাম ঠিক করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদের বিশাল বাজার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গোলের কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। সেটি কাভার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছেন। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সবসময় ব্যবসায়ীদের যে চাপে রাখা যায়, তা কিন্তু নয়। আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দিচ্ছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায়, তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সেটি দেশি বা বিদেশি পণ্য হতে পারে। তিন পণ্যের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হবে। এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও রয়েছে। এখন ন্যায্য দাম কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, আমরা সারা বছর ইলিশ মাছ রপ্তানি করি না। দুর্গাপূজার সময় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির বড় উৎসব। আমরা শুভেচ্ছাস্বরূপ উৎপাদিত ইলিশের মাত্র ২ ভাগ রপ্তানি করি।


আরও খবর



ম্যাডাম ওয়েবে ডাকোটা জনসন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

হলিউড অভিনেত্রী ডাকোটা জনসন। ২০২৩ সালটি খুব একটা ভালো কাটেনি মার্কিন এই অভিনেত্রীর। এখন পর্যন্ত তার অভিনীত নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তবে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে দুটি সিনেমা। যদিও এগুলো কবে মুক্তি পাবে তা নিশ্চিত নয়। এর মাঝেই ভক্তদের সুখবর দিলেন তিনি। নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ফিফটি শেডস অব গ্রে খ্যাত এই অভিনেত্রী।

মার্ভেলের নতুন সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। যেটি হতে যাচ্ছে স্প্যাইডারম্যানের স্পিন অফ সিরিজ। সিনেমার নাম ম্যাডাম ওয়েব। তারকায় ভরা এ সিনেমায় দেখানো হবে স্প্যাইডারম্যান ও ভেনমের মধ্যকার লড়াই। ইতোমধ্যে সিনেমার শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ডাকোটা নিজেও শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।

নতুন এ সিনেমা নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো সুপারহিরো গল্পে যুক্ত হলাম। মার্ভেলের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। তাই অফারটি পেয়েই আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। আমার চরিত্রের নাম সিনেমার নামে, ম্যাডাম ওয়েব। বিষয়টি আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। বেশকিছু দৃশ্যের শুটিং ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আশা করছি সামনে আরও ভালো অভিজ্ঞতা হবে। কাজটি আমার ক্যারিয়ারে স্মরণীয় করে রাখতে নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।


ম্যাডাম ওয়েব সিনেমাটি নির্মাণ করছেন নির্মাতা এস জে ক্লার্কসন। আগামী বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। ম্যাডাম ওয়েবে প্রধান আরেকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যাডাম স্কট।

এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে এমা রবার্টস, ইসাবেলা মার্চেডন জিল হেন্সি, জসিয়া ম্যামেট, তাহের রহিম, মাইক ইপস, মাইক ব্যাশ, অস্টিন জে রায়ান ও মিচেল ম্যালভেস্তির মতো তারকাদের।

নিউজ ট্যাগ: ডাকোটা জনসন

আরও খবর
যেখানে সবার শীর্ষে ক্যাটরিনা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তিনযুগ কার্যক্রম নেই রাকসুর, প্রতি বছর ফি আদায় ১১ লক্ষ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) অচল রয়েছে ৩৩ বছর। নির্বাচন না হলেও একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি বছর ছাত্র সংসদ ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা আবাসিক হোক কিংবা অনাবাসিক, তাকে বাধ্যতামূলক ৩০ টাকা হারে দিতে হচ্ছে হল সংসদ ফি। প্রায় তিন যুগ ধরে রাকসু অচল থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই খাতে ফি নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হিসাব কষে দেখা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে তার ৫ বছরের শিক্ষা জীবনে রাকসু বাবদ ফি দিতে হচ্ছে সর্বমোট ২২৫ টাকা। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ার ফলে, তৈরি হচ্ছে না রাকসু বডি; এতে করে নির্দিষ্ট ফি দিয়েও একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণে তার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাবিতে বর্তমানে নিয়মিত শিক্ষার্থী আছেন ২৬ হাজার ৩১৫ জন। ফলে প্রতি বছর রাকসু ও হল সংসদ ফান্ডে জমা হচ্ছে ১১ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৭৫ টাকা। শিক্ষার্থী সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে ধরলেও ৩৩ বছরে কেবল রাকসু ফান্ডেই জমা থাকার কথা প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

ছাত্র সংসদ ফি থেকে প্রাপ্ত এই মোটা অঙ্কের টাকা আসলে কোথায় যাচ্ছে?এমন প্রশ্নের উত্তরে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ড. মো. জাফর সাদিক জানান, "ছাত্র সংসদের টাকা ফান্ডেই জমা আছে। আমি জয়েন করার আগে একবার স্পোর্টস প্রোগ্রামের জন্য মনে হয় এখান থেকে খরচ করা হয়েছিল; এছাড়া আর কোনো খাতে রাকসুর টাকা খরচ হয়নি। রাকসু নির্বাচন যখন হবে, তখন নিয়মানুযায়ী যেভাবে টাকাটা খরচ হওয়ার কথা সেভাবেই হবে।"

নির্বাচন না দিয়ে ফি নেওয়া কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে রাকসুর এই কোষাধ্যক্ষ বলেন, "আপনি এসব প্রশ্ন সভাপতিকে জিজ্ঞেস করেন; আমাকে নয়।"

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান রাকসু ফি নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে বলেন, "যেটা ফাংশনাল না বছরের পর বছর ধরে, সেই খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ ফি নেওয়া হচ্ছে। নীতিগতভাবে তো নয়ই, আইনগতভাবেও এর কোনো যৌক্তিকতা থাকার কথা নয়। রাকসু যেহেতু ফাংশন করছে না, আমি মনে করি এই বাবদ ফি আদায় অবিলম্বে স্থগিত করা উচিত।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাকলাইন গৌরব বলেন, "রাকসু নির্বাচনের খবর নেই; ছাত্র সংসদ অকার্যকর হয়ে আছে, অথচ প্রশাসন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনৈতিকভাবে রাকসুর ফি নিচ্ছে। ৩৩ বছরে জমা ফান্ডের টাকার হিসাব কি তারা আদৌ দিতে পারবে?"

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর এ বিষয়ে বলেন, "আমরা সবার আগে চাই রাকসু নির্বাচন। রাকসু কার্যকর হলে, এই ফান্ডের অর্থ নিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ প্রশাসনের কাছে কৈফিয়ত চাইবে। তবে যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে রাকসু ফি সাময়িকভাবে স্থগিত করা যেতে পারে।"

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর ১১ দিনব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাকসুর আয়োজনে একটি ক্রীড়া উৎসব হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের ৮৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন এই ক্রীড়া উৎসবে। এতে হ্যান্ডবল, ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবল ও অ্যাথলেটিকস খেলায় সর্বমোট ৩০৩টি পুরস্কার দেওয়া হয়। সার্বিক আয়োজনে রাকসু ফান্ড থেকে ব্যয় হয় ১২ লাখ টাকা। ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া রাকসুর নাম ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো তখন এর প্রতিবাদ জানায়।

রাকসু ফান্ডে বর্তমানে কত টাকা জমা আছে এবং কী খাতে এই টাকা খরচ হয় তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিকের সাথে যোগাযোগ করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী অর্থ ও হিসাব সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ের তত্ত্বাবধানে থাকেন কোষাধ্যক্ষ। তবে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাঊদের কাছেও একই প্রশ্ন করা হয় । তিনিও রাকসু ফি নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, "রাকসু সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে রাকসুর সভাপতি অর্থাৎ উপাচার্য মহোদয়কেই জিজ্ঞেস করুন। এই বিষয়টি নিয়ে আমার জায়গা থেকে কোনো মন্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।"

রাকসু সম্পর্কিত এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। উপাচার্য অফিসে সকল নিয়ম মেনেই দেখা করার সময় চাওয়া হয়; কিন্তু সেখান থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, মুঠোফোনে রাবি উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হননি।


আরও খবর