আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নেত্রকোনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলাচনা সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মোনায়েম খান, নেত্রকোনা

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আব্দুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি.হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী, মেয়র আলহাজ নজরুল ইসলাম খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ড বীরমুক্তিযোদ্ধ মোঃ নুরুল আমিন তালুকদারসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



ভবন থেকে রড পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পথে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে বায়োফার্মা লিমিটেডের এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক।

তিনি বলেন, শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে নিহত হন এক পথচারী। সেসময় কদরের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এই মামলা করা হয়েছে।

এসি আরও বলেন, মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিগুলো অজ্ঞাতনামা ৫০-৫৫ জন।

এদিকে রাজউক বলছে, সাত মসজিদ হাউজিং এ রাজউক এর অনুমোদনহীন এবং কোনরকম সেফটি ছাড়াই হাউজিং এর প্রধান সড়কের পাশে পাইলিং এর কাজ চলছিলো। নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ করা হলেও ভবন মালিক নির্মাণ কাজ বন্ধ করেননি। পাইল এর রড ল্যাপিং এর স্থলে ওয়েল্ডিং না করে বোর হোলের ভিতর ছাড়ার সময় জয়েন্ট থেকে ছুটে গিয়ে রাস্তার উপর পড়ে পথচারী এস এম হাসান ঘটনাস্থলে মারা যান। নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে তাৎক্ষণিকভাবে ডিপিডিসির মাধ্যমে নির্মাণাধীন প্লটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের ওয়ার্কিং ড্রইং এ স্বাক্ষরকারী প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল করিম।


আরও খবর



হজ প্যাকেজের খরচ কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব কথা বলেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হজের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজযাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



পাঁচ লাখ রুবলের বিনিময়ে মস্কোতে হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোর ক্রোকাস সিটি কনসার্ট হলে হামলা চালানোর জন্য পাঁচ লাখ রুবল বা পাঁচ হাজার ৪০০ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গ্রেফতার এক ব্যক্তি।

রোববার এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস। হামলার পর দীর্ঘ চেষ্টার শেষে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন মস্কোর গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ। এদিকে হামলায় নিহতের ঘটনায় শোক ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ব নেতারা।

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি বলেছেন, টাকার জন্য আমি ক্রোকাসে মানুষের ওপর গুলি ছুড়েছি। আমাকে প্রায় ৫,০০,০০০ রুবল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

তাসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য হামলায় আগেই ওই ব্যক্তিকে কার্ডে প্রতিশ্রুত অর্থের অর্ধেক অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছিল। এছাড়া কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

যদিও গ্রেফতারের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ওই ব্যক্তি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানানো হয়েছে তাসের প্রতিবেদনে।

এদিকে, হামলায় নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণা অনুযায়ী, সংসদের নিন্মকক্ষ দুমাসহ রোববার সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। ক্রোকাস সিটি হলের বাইরে ফুল, মোমবাতি আর বিভিন্ন ধরনের পোস্টার দিয়ে মোকার্ত রাশিয়ানরা নিহতদের শ্রদ্ধা জানান।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত ও বিবেকহীন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এতগুলো নিরপরাধ লোকের প্রাণহানি ঘটায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমি নিহতদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা এ হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়া এ হামলায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, ন্যাটো, চীন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশ।

বন্দুকধারীদের হামলার পর ঘটনাস্থল মস্কোর ক্রোকাস সিটিতে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ। তবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও আশপাশের এলাকায় অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এছাড়া হামলায় নিহত ১৩৩ ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আহত ১০৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার ১৪ ঘণ্টা পর রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ১১ জনকে আটক করার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছে, এদের মধ্যে চার জন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিল। তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এরা বিদেশি নাগরিক। অসমর্থিত সূত্রগুলো এই ব্যক্তিদের তাজিকিস্তানের নাগরিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইএস বলেছে তারাই এ হামলা চালিয়েছে। শনিবার তারা মুখে মাস্ক পরিহিত চার হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে। তবে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর



মর্গ থেকে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার টাকাও নেই ইকবালের পরিবারের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ষাটোর্ধ্ব মা সুফিয়া বেগম এখন নির্বাক। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক ইকবাল হোসেনের মৃত্যুতে শুধু কাঁদছেন আর বুক চাপড়াচ্ছেন মা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঘটনাটি জানার পর থেকেই কোনো দানাপানি মুখে নেননি তিনি। ছেলে যে আর ফিরবে না এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। কথা ছিল ঈদের ছুটিতে ছেলে বাড়িতে আসবে। সেই আসা আসবেই। কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন নির্মাণের জন্য সড়কে রাখা সিমেন্টের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি তেলবোঝাই লরি। এ সময় তেল বোঝাই লরিটিতে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় পাশে এবং পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ আরও চারটি গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের লেবার ইকবাল হোসেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

নিহত ইকবালের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। বর্তমানের ইকবালের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

হতদরিদ্র পরিবারের ইকবাল বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রামে দীর্ঘদিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বছর খানেক আগে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেন রাজধানী ঢাকার সাভারে। সেখানে বিভিন্ন পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী মঞ্জুয়ারাও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

১০ দিন আগে পাঁচ বছর বয়সী ইকবালের ছোট মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চৌগাছায় আসেন মা সুফিয়া বেগম। কথা ছিল ঈদের দুইদিন আগে ছুটি নিয়ে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে নিয়ে গ্রামে আসবেন। কিন্তু ঈদের ছুটিতে নয়, জীবনের মতো ছুটি নিয়ে ফিরছে ইকবালের নিথর দেহ।

ইকবালের মা সুফিয়া বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকেই কষ্ট করেছে। অনেক দেনাদায়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই বছর খানিক আগে তার উপার্জনের ভ্যানটা বিক্রি করে সবাইরে নিয়ে ঢাকায় গেছিল। সেখানে একটা বস্তিতে বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকছিলাম। আমিও সেখানে থাকি। ঈদে আমাদের সবার গ্রামে আসার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই ইকবালের ছোট মেয়েডারে নিয়ে আমি ১০ দিন আগে গ্রামে এসেছি। ঈদের দুইদিন আগে ইকবাল তার বউ মেয়েরে নিয়ে গ্রামে আসার কথা ছিল।

ইকবালের ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে তিনি বলেন, ও আল্লাহ আমরা ইকবালরে কই নিয়ে গেলা। ইকবালের বদলে আমারে নিতে পারতা। এখন আমাদের কী হবে। তার বউ বাচ্চাদের কী হবে। এই তোমার বিচার?

মঙ্গলবার বিকেলে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজনের মাতম চলছে। তাদের কান্নায় প্রতিবেশী ও উপস্থিত কেউই কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না। সবাই তার ছোট মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাকে ঘিরেই নানা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ইকবালের প্রতিবেশী স্বজনেরা।

ইকবালের প্রতিবেশী স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আরিফুজ্জান বলেন, ইকবালরা দুই ভাইবোন। তার একটা বোন, বিয়ে হয়ে গেছে। হতদরিদ্র পরিবারে ইকবালই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দেনার কারণে সপরিবারে ঢাকায় গেছিলেন। কিন্তু তার সেই দেনা পরিশোধ হওয়ার আগেই মৃত্যু হলো। এখন তার পরিবারের কী হবে?

তিনি জানান, ইকবালের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চৌগাছায় আসবে। তার মরদেহ আসার প্রেক্ষিতে জানাজার সময় চূড়ান্ত হবে। তবে এত টাকা খরচ করে ইকবালের মরদেহ গ্রামে আনার সক্ষমতাও নেই তার পরিবারের।

স্থানীয় সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, পরিবারটি নিঃসন্দেহে অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল ইকবাল। এখন পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়লো। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকবো। স্থানীয় বিত্তবান মানুষদের ইকবালের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।


আরও খবর



২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর