আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নগরজুড়ে কৃষ্ণচূড়া-সোনালুর রূপের অঞ্জলি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তপ্ত গ্রীষ্মের এক পশলা বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরছে গাছে গাছে। নগরীর রুক্ষ প্রকৃতিতেও যেন এখন জীবনের স্পন্দন। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া, সোনালু, জারুলে সেজেছে রাজধানী ঢাকা। কোটি মানুষের বোঝা হালকা হয়ে কয়েকটা দিন যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে প্রকৃতি। সেজেছে আপন ঢঙে, আপন রঙে। ছুটি শেষে নগরবাসী যখন ফিরছে তখন গাছে গাছে মন রাঙানো কৃষ্ণচূড়া, বকুল, জারুল যেন স্বাগত জানাচ্ছে প্রাণ খুলে।


কে বলে গ্রীষ্ম কেবলই রুক্ষ, তপ্ত! জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন যে সড়কটি আগারগাঁও গেছে সেই সড়কটির একপাশে কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়ার গাছের সারি। আর যে সড়কটি মিলেছে ধানমন্ডিতে তার দুপাশেই বকুল, জারুল, কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া, সোনালুর মিলনমেলা।


সংসদ ভবন এলাকায় অনেকেই বকুল ফুল কুড়িয়েছেন। সামনের ফুটপাতে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে আগুনরঙা ফুল সোনালু। প্রতিবেশী কৃষ্ণচূড়া, রঙ্গনও লাল হয়ে আছে। ইট-পাথরের নগরীতে প্রকৃতির নজরকাড়া সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মনের আনন্দে নানার সুরে গান গাইছে পাখি। বর্ণ, গন্ধ, কলতানে এ যেন এক উৎসব।


সংসদ ভবনের ফুটপাতে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে বকুলের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মারজিয়া মেরি। তিনি বলেন, বকুল ফুলের গন্ধ, শুভ্রতা অনেক ভালো লাগে। কয়েকদিন পরই এই জায়গা লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠবে, তখন প্রকৃতির এই রূপ উপভোগ করা কঠিন হবে। তখন আর বকুল ফুল কুড়াতে আসা হবে না।


গ্রীষ্মের প্রকৃতি নিয়ে নিসর্গবিদ মোকারম হোসেন বলেন, গ্রীষ্মের পুষ্প বিন্যাসের যে রং, ও তার যে ব্যাপ্তি সেটা এক কথায় অসাধারণ। শুধু রঙেই নয়, সুবাসেও গ্রীষ্ম অন্য ঋতু থেকে আলাদা। প্রকৃতির মাধুর্যতা, স্নিগ্ধতা আমাদের চোখে পড়ে না। বরং রুক্ষ রূপটাই সামনে আসে। কেননা আমাদের নগরী পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেনি। শহর ছাড়াও পুরো দেশটাই প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর। বিশেষ করে গ্রীষ্মে যখন জারুল, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ফোটে তখন আলাদা একটা আবহ তৈরি হয়। এই ফুলগুলো সারাদেশেই ফোটে। পরিকল্পিতভাবে আরও গাছ লাগালে সব ঋতুতেই ঢাকা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।


আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




দেশের সবচেয়ে বড় কাপড়ের বাজারে আগুন, ৩২ দোকান ভস্মীভূত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার সেখেরচর বাবুর হাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের প্রায় ৩২ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র আরও জানায়, শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত প্রায় একটার দিকে বাজারের জিয়াউদ্দিন মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই মাকের্টের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের প্রতিটিতে থ্রি-পিস এবং তোশক তৈরির কাপড় ছিলো। এসব দোকানে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার কাপড় ছিলো বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা।

সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এই বাজারে প্রায় সারে তিন হাজারের মতো দোকান ঘর রয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র কাপড় বিক্রি করা হয়। এখন ঈদ মৌসুম তাই ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত কাপড় নিয়ে বসেছিল ঈদের বেচাকেনার জন্য। এই অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেলো।


আরও খবর



হঠাৎ কেন পদত্যাগ করলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। এতে করে হঠাৎ বেশ বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে প্রতিবেশী এই দেশটির নির্বাচন কমিশন। তার পদত্যাগে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়নের। তবে হঠাৎ কেনই বা তিনি এখন পদত্যাগ করলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত সময় ঘোষণার কয়েক দিন আগে শনিবার পদত্যাগ করেছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু আনুষ্ঠানিকভাবে অরুণ গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং সেটি অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, অরুণ গোয়েল তার পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগত কারণ-কে দায়ী করেছেন। যদিও তাকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখতে ভারতের সরকার থেকে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

তবে সদ্য পদত্যাগ করা এই নির্বাচন কমিশনারের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত জল্পনা দ্রুত খারিজ হয়ে যায় যখন শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, অরুণ গোয়েল নিখুঁতভাবে সুস্থ আছেন। নির্বাচন কমিশনের বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, অরুণ গোয়েল এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তিনজন সদস্য থাকেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনুপ পান্ডে। এরপর শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই আরেক নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।

পরে তিনি প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান এবং সেটি গৃহীতও হয়ে যায়। ২০২৭ সালে অরুণ গোয়েলের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ পূরণের ৩ বছর আগেই কেন তিনি হঠাৎ পদত্যাগ করলেন? তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে।

মূলত আগামী এপ্রিল-মে মাসেই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। সেই অনুযায়ী, মার্চ মাসেই নির্বাচনের দিন ঘোষণার কথা রয়েছে। জল্পনা রয়েছে, আগামী সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে।

আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। উপত্যকার পরিস্থিতি ও ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায়, একা প্রধান নির্বাচন কমিশনার জম্মু-কাশ্মির যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

কী কারণে হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা জানাননি অরুণ গোয়েল। আগামী বছরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর তারই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল।

সূত্রের খবর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে অরুণ গোয়েলের মতপার্থক্য ছিল। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এবার নির্বাচন কমিশনের কী হবে?

একা একজন সদস্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হতে পারে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই শূন্যপদে কমিশনার নিয়োগ করা হবে। গত বছরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।

আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ প্যানেলে থাকতেন। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, এবার প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বা একক বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্মিলিতভাবে কোনও ব্যক্তিকে বাছাই করবেন এবং তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবেন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই নতুন সিইসি বা ইসিকে নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট।

তবে যে কাউকে বাছাই করে নির্বাচন কমিশনার করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর কমিটি নাম সুপারিশ করার আগে একটি সার্চ কমিটি তৈরি হবে। এই কমিটিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ও দুই সচিব। তারা পাঁচজনের নাম বাছাই করবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি কাউকে বেছে তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবে।

মূলত অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের আগে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল গত বছরের শেষের দিকে নতুন এই আইন প্রণয়ন। এতে দেশের শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়। সংশোধিত পদ্ধতিতে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে এই বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

কে কী বলছে

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণ গোয়েলের আকস্মিক পদত্যাগের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি কি নির্বাচন কমিশনের নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন অমিশন (অপসারণ) করার পক্ষে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, এটা নির্বাচন কমিশন নাকি নির্বাচন অমিশন? যদিও লোকসভা নির্বাচনের তারিখ কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে, আর ভারতে এখন মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার আছে। কেন?

তিনি আরও বলেন, যেমনটা আমি আগেই বলেছি, আমরা যদি আমাদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের নিয়মতান্ত্রিক পতন বন্ধ না করি, তাহলে আমাদের গণতন্ত্র একনায়কতন্ত্রে পরিণত হবে!

কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের নতুন প্রক্রিয়াটি এখন কার্যকরভাবে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছে, কেন নতুন নির্বাচন কমিশনার মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৩ দিন পরেও নিয়োগ করা হয়নি? মোদি সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এবং একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়ে সামনে আসুন।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালও দলীয় সভাপতি খাড়গের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি বলেন, এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক যে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল লোকসভা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করলেন।

কেসি ভেনুগোপাল সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর ওপর সরকারের প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাকেত গোখলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনের আগে এখন নির্বাচন কমিশনে দুজনকে নিয়োগ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। আর ইসিতে আগে থেকে একটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে নির্বাচন কমিশনে এখন কেবল একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।


আরও খবর



বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, ৭০ টাকাতেই মিলবে টিসিবির চিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণার একদিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সকালে এক অডিও বার্তায় টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, টিসিবির চিনির মূল্য ১০০ টাকা নয়, আগের মূল্য ৭০ টাকাই থাকবে।

এর আগে গতকাল বুধবার (০৬ মার্চ) ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার টিসিবির ঢাকা আঞ্চিলক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির (ভোজ্য তেল-ডাল-চাল-চিনি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করে। রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে চলবে।

এদিন সকালে তিব্বত মোড়ের ২০০ গজ পূর্বে কলোনি বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

এই বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ এবং সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।

ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া যাবে- ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, দেড়শ টাকায় এক কেজি খেজুর ও ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল। এর মধ্যে চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানো হলেও একদিতন পরই আগের ৭০ টাকা দরে ফিরে আসে টিসিবি।

এদিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি মিলের লাল চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২২ ফেব্রুয়ারি রাতেই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তারা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গীতিকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

খায়রুন লো, তোর লম্বা মাথার কেশ গানের গীতিকার আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা (৫০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ আগে, ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে তার মৃতদেহ শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী পীরগঞ্জ বাজার এলাকার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। বাদ আছর নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, লোককাহিনী নিয়ে নির্মিত কালজয়ী সিনেমা খাইরুন সুন্দরী সিনেমার খায়রুন লো তোর লম্বা মাথার কেশ গানটি লিখেন ওয়াদুদ রঙ্গিলা। এর মূল চরিত্র খাইরুন সুন্দরীর ছোট ভাই রফিক চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে তার সিনেমায় অভিষেক হয়। এরপর তিনি চিনিবিবি, মালেকা সুন্দরীঅগ্নিসাক্ষীসহ বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একাধিক সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। লিখেছেন নাটক ও কবিতাও।

নিউজ ট্যাগ: ওয়াদুদ রঙ্গিলা

আরও খবর



বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে বলিউড বাদশাহ’র নীরবতা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকায় গাইলেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী র‌্যাপার বাদশাহ। শুক্রবার (০১ মার্চ) রাজধানীর আইসিসিবি এক্সপো জোনে আয়োজিত স্পার্ক টোয়েন্টি মিউজিক ফেস্ট’ সিরিজের ওপেন এয়ার কনসার্টে অংশ নেন বাদশাহ ও তার দল।

গান শুরুর আগে বাদশাহ মনে করলেন, গেল ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহারানো মানুষগুলোকে। তাদের এমন প্রস্থানে মাথানত করে পালন করলেন ৩০ সেকেন্ড নীরবতা।

রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মঞ্চে ওঠেন বাদশাহ ও তার দল। মঞ্চে পা রেখেই বাংলায় বলেন, সবাই কেমন আছো? আমি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি। ঢাকা, থ্যাংক ইউ সো মাচ।’

এরপর হিন্দিতে এই গায়কের কণ্ঠে শোনা গেল, মনে হচ্ছে না, আমি প্রথম এসেছি। মনে হচ্ছে, আমি আমার ঘরে গান করছি। আমি গোটা দুনিয়ায় কনসার্ট করে বেড়াই। কিন্তু এখানে এসে কেন জানি নার্ভাস লাগছে।’

এরপর অনেকটা বিরামহীন গেয়ে তারা শোনালো লাড়কি বিউটিফুল’, ওয়াখরা সোয়াগ’, রূপ তেরা মাস্তানা’, ডিজেওয়ালা বাবু’, চালো নাচো’, হাই গারমি’, কারলো রেহেম থোড়া’, কালা চশমা’, বড়লোকের বেটি লো’ ইত্যাদি।

এদিকে কনসার্টের মূল চমক বাদশাহ হলেও এদিন মঞ্চে ওঠেন দেশের জনপ্রিয় বেশ ক’জন তারকা শিল্পী। এরমধ্যে ছিলেন প্রীতম হাসান, জেফার, ফুয়াদ এন্ড ফ্রেন্ডস, ব্ল্যাক জ্যাং ও সঞ্জয়।


আরও খবর