কুমিল্লা সিটি
করপোরেশন উপনির্বাচনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার
সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনের
দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,
‘গোলাগুলির
ঘটনা ঘটেছে। দুজন ইনজুরড। তবে কার সমর্থক, কীভাবে ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে জানি না।’
এদিকে নির্বাচনে
অংশ নেওয়া ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার দাবি করেছেন গুলিবিদ্ধ দুজন
তাঁর কর্মী। তিনি বলেন, ‘আমার কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাস প্রতীকের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁরা
সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, যাতে আমাদের ভোটারেরা কেন্দ্রে যেতে না পারেন।’
তিনি আরও বলেন,
‘ভোটাররা
কেন্দ্রে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং অনেকে পথে আছেন। বাস প্রতীকের ক্যাডার ও কুমিল্লার
চিহ্নিত ক্যাডাররা পাড়ামহল্লায় ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ কাউন্সিলরের
নেতৃত্বে আমার এজেন্টদের ওপর হামলা হয়েছে। সেখানে আহত হয়ে আমার একজন এজেন্ট হাসপাতালে
ভর্তি আছেন। অশোকতলা, কুচাইপট্টিসহ বিভিন্ন স্থানে আমারদের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দিয়েছে।
আমি গিয়ে এজেন্টদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি।’
উপনির্বাচনে
মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮, পুরুষ ভোটার ১ লাখ
১৮ হাজার ১৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।
কুমিল্লা সিটি
করপোরেশনের উপনির্বাচনে লড়ছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল
হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক নিজাম
উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি
প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।
নির্বাচন কমিশন
সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকালে নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি
প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ টিমে ৯৩৯ জন র্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১ হাজার
৩৩৯ জন ও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে আছে। এর বাইরে দুই থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স
হিসেবে আছে।