লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের চারদিন পর মুরাদ হোসেন (১৫) নামে এক কিশোর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধারমানিক গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
মুরাদ ওই এলাকার মো. আজাদের ছেলে। গত ৭ নভেম্বর রাতে অটোরিকশাযোগে যাত্রী নিয়ে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর ৯ নভেম্বর সদর থানায় আবুল কালাম আজাদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আসামী করে অপহরণ মামলা করে মুরাদের মা মরিয়ম বেগম।
মুরাদের চাচা মো. ফারুক বলেন, মুরাদ গত চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। বিষয়টি থানা-পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে স্থানীয় এক নারী ধান ক্ষেতের পাশে গেলে পঁচা গন্ধ অনুভব করেন। পরে ক্ষেতের ভেতরে মুরাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজনকে জানায়। তারা আমাদেরকে ফোন করে মুরাদের লাশের বিষয়ে জানিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সজীব নামে এক যুবককে আমরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছি। তার অটোরিকশার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। মরদেহ পচন ধরেছে। ঘটনাস্থলটি বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন>> লক্ষ্মীপুরে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজীব নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
মুরাদ নিখোঁজের বিষয়ে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর মুরাদ নিখোঁজের পর ৯ নভেম্বর থানায় তার মা মরিয়ম বেগম একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আবুল কালাম আজাদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপহরণ মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুরাদের বাবা পেশায় একজন কৃষক ও অটোরিকশা চালক। মাঝেমধ্যে বাবার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মুরাদ। গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার পর অটোরিক্সা নিয়ে বেরে হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের দাবি, ওইদিন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের মৃত নুরুর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৫০) ফোন দিয়ে মুরাদকে দক্ষিণ আধাঁরমানিক স্কুল এলাকায় ডেকে নেন। এসময় তার সাথে সজিব (২০) নামেও একজন ছিলো। কিন্ত রাত এগারটার পরও সে ফিরে না আসায় খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এসময় মুরাদের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে বুধবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুরাদের মা মরিয়ম বেগম। পরদিন সদর থানায় আজাদকে আসামী করে অপহরণ মামলা করে তার মা।