আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নির্ধারিত মূল্যের থেকেও কম ভাড়া তবুও মিলছে না যাত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নিয়েও বরগুনা-ঢাকা রুটে মিলছে না লঞ্চযাত্রী। এ নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন লঞ্চ মালিকরা। বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকায় ছেড়ে যায় এমভি পূবালী-১ নামের একটি লঞ্চ।

এম কে শিপিং লাইন্সের বরগুনা ঘাটের ম্যানেজার এনায়েত হোসেন জানান, তেলের দাম বাড়ার আগে বরগুনা-ঢাকা রুটের লঞ্চের ডেকের ভাড়া নেওয়া হতো ৫০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ৬০০ ও ডাবল কেবিন তিন হাজার টাকা। বর্তমানে তেলের দাম বাড়ার পর নতুনভাবে বরগুনা-ঢাকা রুটে ডেকের ভাড়া ৭৬৩ টাকা ও সিঙ্গেল কেবিন তিন হাজার ৫২ টাকা ও ডবল ক্যাবিন ৬ হাজার ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তবে বরগুনার যাত্রীদের কথা বিবেচনায় তারা নির্ধারিত মূল্যের থেকেও কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন। বর্তমানে ডেকে নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১৬৩ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গেল কেবিন তিন হাজার টাকা করা হলেও এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে পূর্বনির্ধারিত মূল্য এক হাজার ৬০০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। আর ডাবল কেবিনেও তিন হাজার ১০৪ টাকা কমিয়ে আগের ভাড়া তিন হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।

নির্ধারিত ভাড়ার থেকে কম ভাড়া নেওয়ার পরেও যাত্রী কম এ বিষয়ে তিনি জানান, সবাই ভাবছে হয়তো বরগুনার রুটে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যাত্রীরা যখন জানতে পারবে যে বরগুনার যাত্রীদের কম ভাড়ায় লঞ্চে পরিবহন করা হয় তখন যাত্রী বেড়ে যাবে।

ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশই জানেন না নির্ধারিত মূল্যের থেকে কমিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে লঞ্চে। তারা নৌপথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বলেই লঞ্চে যাত্রা।

ঢাকাগামী যাত্রী রাসেল ফকির জানান, ভাড়া সড়ক পথেও বেড়েছে, তবে লঞ্চে গেলে নিরিবিলি পরিবেশে ঢাকা পৌঁছানো যায়। তাই লঞ্চেই পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন তিনি। তেলের দাম বাড়ার আগে বরগুনা থেকে প্রতিদিন বিকেল দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও বর্তমানে একটি লঞ্চ চলছে।

 


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বাগেরহাটে হাত-পা ও মুখ বেঁধে খাতনা দেওয়ায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাত-পা ও মুখ বেঁধে খাতনা দেওয়ায় তিন বছরে শিশু শিহাব শেখের মৃত্যু হয় বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক কিশোর হামিম শেখ(১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছাদুল ইসলাম হামিম শেখকে যশোর কিশোর সংশোধোনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি তদন্ত মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে খাতনা দেওয়ার কৌতুহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি ক্যাচি দিয়ে খাতনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে শিশু শিহাবের মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিশোর হামিমকে আদালত কিশোর সংশোধোনাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিশু শিহাব বাড়ির উঠোনে খেলছিল। হামিম শেখ ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিশু শিহাবকে হত্যা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে, রাতে মাইকিংও করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত হামিম শেখকে আটক করে।

এ ঘটনায় শিশু শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে কিশোর হামিমকে আসামী করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার শিকার শিশু শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত কিশোর হামিম শেখ (১৭) একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মেঘনায় ট্রলার থেকে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।

সোমবার (১৮ মার্চ ) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক স্টেশন কমান্ডার লেঃ কাজী আকিব আরাফাত এর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর বুরোচর সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বুরোচর হতে মোহনপুরগামী ৩টি কাঠের ট্রলার তল্লাশী করে ৩০০০ কেজি (৭৫ মণ) জাটকা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে চাঁদপুর সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফনী ভূষণ দেব এর উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানা, মাদ্রাসা, গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



হঠাৎ অবসরে রোমান সানা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর আর্চারি খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোমান সানা। অবসরের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে আর্চারি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন টোকিও  অলিম্পিকে খেলা এই আর্চার। চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজি রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, রোমান কিছুদিন আগে আমাদের কাছে লিখিতভাবে অবসরের কথা জানিয়েছেন। এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটার প্রতি সম্মান দেখিয়েছি।’

আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন রোমান সানা? এ ব্যাপারে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে আবার ফিরতে চাইলে রোমান ফিরতে পারবেন।

তবে ফেডারেশন নিজেদের তাগিদে তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়েছেন রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, সে চাইলে আবার ফিরতে পারবে। তবে সে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত চিঠি দিয়ে অবসরে গেছে, সেভাবেই আবার লিখিতভাবে আবেদন করে ফিরে আসতে হবে।’

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না রোমান সানার। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা না থাকায় বাদ পড়েছিলেন জাতীয় দল থেকে। ভুগছিলেন চোটেও। সর্বশেষ ইরাকে অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়া কাপ আর্চারির স্টেজ ওয়ান প্রতিযোগিতা। সেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রোমান। এখন টঙ্গীতে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়েও চলে গেছেন তিনি। প্যারিস অলিম্পিকের কোয়ালিফাই টুর্নামেন্টেও গত বছর থাইল্যান্ডে ভালো কিছু করতে পারেননি।

এর আগে টঙ্গীতে সতীর্থ আর্চারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে ২০২২ সালে রোমানকে দুই বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকমের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছিল ফেডারেশন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে আনায় আর্চারিতে ফিরলেও আগের সেই ছন্দ ফিরে পাননি রোমান সানা।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ধানমন্ডির সপ্তক স্কয়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তারা পৌঁছানোর আগেই ৪টা ৫০ মিনিটে আগুন নিভে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। তারা পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে গেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



যে ১০টি বিষয় দেখে বোঝা যাবে ভবন নিরাপদ কিনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে বহু। গতবছরও ঢাকায় একাধিক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঈদের আগে আগে রাজধানীর বঙ্গবাজারের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যাতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এবং বছর শেষে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭৭টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে কয়েকশত মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমূহ কী কী বা, নিজের প্রিয়জনদের নিয়ে কোনও ভবনে প্রবেশের আগে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবেন যে ভবনটি তাদের জন্য নিরাপদ কি-না; এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং আগুন নেভানোর জন্য সেসব ভবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাই, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরি, যে কোনও প্রয়োজনেই কোনও ভবনে প্রবেশ করার আগে ঐ ভবনটি কতটা নিরাপদ, তা যতটা সম্ভব যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। যেসব বিষয় যাচাই করে ভবনে প্রবেশ করবেন।

১. একটা ভবন কতটা নিরাপদ সহজ বোঝার জন্য ভবনের সামনে নিরাপত্তা সনদ বা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করা আছে কি-না, তা দেখে ওই ভবনে প্রবেশ করা।

২. কোনো জনাকীর্ণ ভবনের প্রবেশদ্বার যদি তিন মিটারের কম হয়, তাহলে সেখানে প্রবেশ করার আগে ভাবা উচিৎ। জনাকীর্ণ স্থানসমূহের মাঝে আছেরেস্টুরেন্ট, মসজিদ, গীর্জা, হাসপাতাল, এমনকি স্কুলও। এই ধরনের স্থানে একসঙ্গে অনেক মানুষ প্রবেশ করে এবং বের হয়। এছাড়া, বাণিজ্যিক ভবনে বিভিন্ন অফিস থাকায় সেসব স্থানও সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকে।

৩. আগুন লাগার পর একটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ভবনে মূলত দুইটা জিনিস থাকা দরকার। পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম। আর কিছুর দরকার নাই। কোনও শপিংমল, হাসপাতাল বা রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকলে সেখানে যাবেন না।

৪. একটি আদর্শ ভবনে দুই ধরনের সিঁড়ি থাকে। একটি দিয়ে সবসময় চলাচল করা হয়। অন্যটি দিয়ে জরুরি অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বের হওয়া যায়। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ। আগুন লাগলে একে অগ্নি নির্গমন পথও বলা হয়। আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য কিছু হলে সেই ভবনের প্রত্যেক তলায় অগ্নি নির্গমন পথ থাকতে হবে।

৫. কোনো ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেই ভবনে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং আলাদা অগ্নি নির্গমন পথও রয়েছে। কিন্তু সব থাকার পরও আগুনের মাঝে পড়লে সাধারণত মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে ঘটনাস্থল থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় না। সেজন্য ভবনে আগুন লাগলে (বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক) জরুরি বহির্গমনের দিকে যাওয়ার পথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নি চলাকালীন সময়ে জ্বলে উঠে, এমন এক্সিট সাইন এবং ডিরেকশন থাকতে হবে।

৬. আগুন নেভানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বলা হয়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোতে উচ্চচাপে রক্ষিত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। আগুন লাগলে এই যন্ত্র থেকে স্প্রে আকারে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে আগুন নেভানো হয়। একটি নিরাপদ ভবনে অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপন সিলিণ্ডার বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

৭. একই ভবনকে একাধিক কাজে ব্যবহার করাকে ভবনের মিশ্র ব্যবহার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, একটি ভবনে যদি মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, এমনকি রেস্টুরেন্ট থাকে; তাহলে সেটিকে বহু কাজে ব্যবহৃত ভবন হিসেবে ধরা হয়। এসব ভবন নিরাপদ নয়।

৮. উপরের বিষয়গুলো সাদা চোখে দেখে বুঝে নেয়া যায় যে ভবনটি নিরাপদ কি-না। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়বে না। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বলেন, ভবনের ডাক্ট লাইন ও ক্যাবল হোল সিল করা গুরুপূর্ণ।

৯. আগুন নেভানোর জন্য একটা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হচ্ছে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম। এটি একটি ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রির বেশি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হয়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। ফলে আগুন নিভে যায়। সাধারণত বড় বড় বাণিজ্যিক বা কারখানা ভবনে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু আবাসিক ভবনেও এগুলোর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ভবনে আগুন লাগার পর মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখানে সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু সম্পত্তি রক্ষার জন্য সেখানে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে বা স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম থাকা লাগবে।

১০. কোনও ভবনে গ্লাস দিতে হলে সেটার ড্রয়িং এবং ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। স্মোক এলে যেন তা অটোমেটিক্যালি বের হতে যেতে পারে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ওই গ্লাসের জন্য ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ধোঁয়া ভেতরে ঢুকে গেছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। সেখানে কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদমই আলাদা। তাই কোনো ভবনে প্রবেশের আগে তার শুরুর ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য জেনে নেয়া গেলে নিজেকে অনেকাংশে নিরাপদে রাখা সম্ভব।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪