ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
গ্রামের মানুষের মাঠের ফসল ঘড়ে তোলা ও যাতাযাতের একমাত্র রাস্তায় ভাঙা কালভার্টের দুর্ভোগ লাঘবে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩(পিবিজি) প্রকল্পে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণে ৪৬,৯৫৩ টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজে অনিয়ম ও নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারে বক্স কালভাটর্টি নির্মানের ১ বছর না যেতেই আবারো ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই দুই গ্রামের মানুষের।
স্থানীয়রা বলছেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজে অনিয়ম ও নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারে ১ বছরেই কালভাটির্র সিমেন্ট, খোঁয়া উঠে গিয়ে মাঝখানে গর্ত হয়ে গেছে।
সরজমিনে উপজেলার কাজিরবের ইউপির চাঁদরতনপুর সুলতান মোড়ে নির্মিত কালভার্টটির সিমেন্ট খোঁয়া উঠে গিয়ে মাঝখানে গর্ত হয়ে রডবেড় হয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। পাশেই নামফলকে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ, বাস্তবায়ন কাল ২০২০-২০২১ অর্থ বছর, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মহেশপুরের মেসার্স সোহাগ হার্ডওয়ারের নাম লেখা রয়েছে।
চাঁদরতনপুর গ্রামের আল আমিন বলেন, পাকরাইল ও চাঁদরতনপুর এই দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। দীর্ঘ দিনের ভাঙা কালভার্টের দুর্ভোগ ঘোঁচাতে অনেক দেন দরবারে গতবছর নতুন কালভাটর্টি পেয়েছে গ্রামবাসী। ১ বছরের মাথায় সেই কালভার্টটির খোঁয়া উঠে গর্ত হয়ে গেছে।
ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবিউল আওয়াল বলেন, গত বছর আমার বাড়ির সামনে মহেশপুরের মেসার্স সোহাগ হার্ডওয়ার নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একটি বক্স কালভার্ট তৈরি করে। কিন্তু সেটি নির্মাণেভর এক বছর না যেতে ভেঙে মাঝখানে গর্ত হয়ে গিয়েছে। ভাঙা কালভার্ট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। তিনি আরো বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজে অনিয়ম ও নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারে কালভার্টটি ভেঙে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোহাগ হার্ডওয়ারের ঠিকাদার সোহাগ বলেন, চাঁদরতনপুরে কোন বক্স কালভার্ট নির্মাণ করেনি তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাহরিয়া আকাশের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।