আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচন নিয়ে গুজব প্রতিরোধ করবে টিকটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক সম্প্রতি কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নির্বাচন সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে টিকটক।

মিথ্যা তথ্য, সহিংসতা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রচার রোধ করতে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনসে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এই নিয়মগুলোর ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য সরিয়ে দিবে প্ল্যাটফর্মটি। ভোটার নিবন্ধন, প্রার্থীর যোগ্যতা, ব্যালট গণনা এবং নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কিত এমন আরও বিষয় এতে বিবেচনা করা হবে। যেসব কনটেন্ট ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে, ভোট প্রদানে বাধা দেয় বা সহিংসতা সৃষ্টি করে টিকটকের নীতিমালা অনুযায়ী সেইসব কনটেন্ট সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ৪০,০০০ এরও বেশি কর্মী এবং উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই নীতিগুলো প্ল্যাটফর্মটিতে প্রয়োগ করা হয়।

নির্বাচন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য চিহ্নিত করতে এবং সেই সাথে তা অপসারণ করতে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ফ্যাক্ট-চেকারদের সাথে কাজ করেছে টিকটক। যেসব কনটেন্ট রিভিউ বা যাচাইয়ের জন্য এবং অসত্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলো ফর ইউ ফিডের জন্য রেস্ট্রিকটেড থাকে। এছাড়া ভিউয়ার ও ক্রিয়েটর উভয়কেই বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।

টিকটক এর প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ ইলেকশন সেন্টার নামে একটি হাব তৈরি করতে যাচ্ছে। এই হাবটির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা ভোট প্রক্রিয়া এবং ভোট কেন্দ্র সহ নির্বাচনের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারবে। যেখানে ব্যবহারকারীদের জন্য স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করা হয়।

প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা নিরপেক্ষ এবং অবাধ রাখার লক্ষ্যে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেয়ার ক্ষেত্রে টিকটকের পলিসি রয়েছে। যে কোন ধরনের রাজনৈতিক প্রচার, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন এবং রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ করা টিকটকে নিষিদ্ধ। যার ফলে সরকার, রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলোর সীমিতভাবে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক জানিয়েছে, বৈশ্বিক নানান বিষয় বা ঘটনা একটি প্ল্যাটফর্মকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে প্ল্যাটফর্মটির সকল কমিউনিটির জন্য টিকটক কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বশীল এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎস হিসাবে টিকটককে তুলে ধরতেই এই প্রচেষ্টা।


আরও খবর



প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রায় সব নারীরই সাজের অন্যতম অংশ হলো লিপস্টিক। পোশাক, অন্যান্য অনুষঙ্গ, ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নারীরা লিপস্টিকের রং নির্বাচন করেন। যারা লিপস্টিক পছন্দ করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। তা হলো, নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আপনি কি জানেন যে খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করে? কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। তাই আপনার লিপস্টিকটি এই ধরনের বিপজ্জনক উপাদান মুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ৩টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট : লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি : কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। তাই সেগুলো ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় কম।

পিগমেন্টেশন : লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন। আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের ধারাবাহিক লড়াইয়ে আমরা এগিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে আমরা বয়ে নিয়ে যাব উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং সেখান থেকে ২১০০ সালে ব-দ্বীপ বাংলায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এই দিনে বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি সকল অপশক্তিকে; যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার পথে প্রতিবন্ধক, এদের আমরা পরাজিত করব, পরাভূত করব, প্রতিহত করব এবং আমাদের লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব বিজয়ের স্বর্ণতোরণ অভিমুখে।

এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে যান প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। তারপর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২ মে। যাচাই-বাছাই ৫ মে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে ও ভোট ২৯ মে।

জাহাংগীর আলম বলেন, ১১২ উপজেলার মধ্যে ২১ উপজেলায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ৯১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে ব্যালটে।


আরও খবর



কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


আরও খবর