আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম
হাসিনা-মোদি বৈঠক

নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় যোগাযোগ, বাণিজ্যিক সংযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পেয়েছে। এদিকে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই আলোচনার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটিও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর এক্সে (টুইটারে) এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া তিন সমঝোতা স্মারক হলো কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। গতকাল রাতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের পর দিল্লির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো অফিসিয়াল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারত আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কানেকটিভিটি তথা রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আমাদের চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রম বেগবান করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।

ড. মোমেন বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একমত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪-৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁর সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানাবিধ ক্ষেত্রে প্রভূত দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এই জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শনিবার দুই দিনব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলন নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গতকাল অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারতের রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোস প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফরসঙ্গী অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানাও রয়েছেন। এর আগে সকাল ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

শনিবার শুরু হওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

রোববার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনের শেষ দিনে জি২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা গৃহীত হবে। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। দেশটির মেয়াদকালীন বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশকে জি২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জি২০ এর ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে।


আরও খবর
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসি সঙ্গে বৈঠকে কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ঢাকায় সফররত কমনওয়েলথের চার সদস্যের প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল। রোববার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়।

এতে কমনওয়েলথের রাজনৈতিক বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা জিপ্পি ওজাগো, রাজনৈতিক উপদেষ্টা লিন্ডিউই মালেলেখা, সহ-গবেষণা বিষয়ক কর্মকর্তা সারর্থাক রয় ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং প্রধান লিনফর্ড অ্যানড্রিউস উপস্থিত আছেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এর আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ভোট পর্যবেক্ষণ নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। 

আরও পড়ুন>> হরতালের আগের রাতে ট্রেনসহ ১১ যানবাহনে আগুন

কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দল আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন। সফরকালে তারা পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণা করা হয়, আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না আরব আমিরাত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে লাখ লাখ জনতা। গাজায় হামলার পরপর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছে আরব-অনারব দেশগুলো। তবে এত কিছু হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আবুধাবি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে যুক্ত চারটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে আমিরাত। এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে তেলআবিবের সঙ্গে ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পৃক্ততা সমান তালে এগিয়ে নিয়ে গেছে আবুধাবি। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি পাশ কাটিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য আরব দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথও প্রশস্ত করে এই আমিরাত। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এই উদ্যোগ থেকে সরে আসে সৌদি সরকার। 

আরও পড়ুন>> কাশ্মিরে হাউসবোটে আগুন, বাংলাদেশি তিন পর্যটকের মৃত্যু

হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এর মধ্যে সম্প্রতি সেখানে স্থল অভিযান শুরু করেছে দেশটি। এক মাসের বেশি সময় ধরে চরা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। এসব ঘটনায় আমিরাত জনসম্মুখে যেমন ইসরায়েলের নিন্দা করেছে তেমনি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসেরও নিন্দা করেছে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথাও বলেছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। 

আরও পড়ুন>> ২২ লাখ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য আমিরাতের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে আমিরাতের অগ্রাধিকার বিষয় হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের পাশাপাশি মানবিক করিডোর চালু করা।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বের করে দিলেও আবুধাবিতে এখনো ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত অবস্থান করছেন। এ ছাড়া যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়নি আমিরাত। সরকারের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে একটি সূত্র। আরেকটি সূত্র বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যা অর্জিত হয়েছে সেটি হারাতে চায় না আমিরাত সরকার।


আরও খবর



গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে ৬৩ সাংবাদিক নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

টানা সাতদিনের যুদ্ধবিরতি শেষে গত শুক্রবার সকাল থেকে গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে ফের তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গতকাল সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৬৩ সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা, ইসরায়েল এবং লেবাননে এসব সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সিপিজে বলেছে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন ৫৬ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরায়েলি এবং তিনজন লেবানিজ।

এক বিবৃতিতে সিপিজে বলছে, সাংবাদিকরা গাজায় অনেক ঝুঁকির মুখোমুখি, তারা ইসরায়েলি স্থল হামলার সময় বিধ্বংসী বিমান হামলা, বিপর্যস্ত যোগাযোগব্যবস্থা, সরবরাহের ঘাটতি এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে এ সংঘাতের রিপোর্ট করার চেষ্টা করছেন।  

আরও পড়ুন>> ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে

গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে গত ৭ অক্টোবর হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০। আহত তিন হাজারের বেশি। এছাড়া অন্তত ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি। এরপর গত ২৪ নভেম্বর কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। দুই ধাপে তা আরও তিনদিন বাড়ানো হয়। তবে গতকাল শুক্রবার সকালেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেই ফের হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যন্স সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নিচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধকল্পে বর্তমান সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এ আ্ইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন আপোষের সুযোগ নেই। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে এমন মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ঔষধ যারা তৈরি করবে, ব্যবহার করবে বা এটি নিয়ে যারা ব্যবসা করবে তাদের বিশেষ আদালতে বিচার করা হবে। এজন্য  সরকার বিশেষ আইন ও বিশেষ কোর্টের ব্যবস্থা করেছে।

এভাবেই সরকার অ্যান্টবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও কিছু ফার্মেসিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে, কিছু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। গ্রাম পর্যায়ে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করছে। আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধই শুধু না মানবস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেটি নিয়ে সরকার কাজ করছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ওয়ান হেলথ ধারণা সারাবিশ্বে জনপ্রিয়। বর্তমান সরকার ওয়ান হেলথ ধারণা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সমন্বিতভাবে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, তার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য বা গাফিলতি সরকার মেনে নিচ্ছে না।


এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার এবং জীবনমান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা, ঔষধের যথাযথ ব্যবহার, গুণগত মানের ঔষধ তৈরি এবং এটি তৈরিতে নজরদারির ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে, দায়িত্বশীল হতে হবে।

সেমিনারে মন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা মানুষের মৌলিক প্রয়োজন। সেখানে চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করেছেন। শুধু মানুষের জন্যই নয়, প্রাণীর চিকিৎসাব্যবস্থা অত্যাধুনিক করার জন্য তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গবেষণাগার স্থাপন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যবরেটরি তৈরি করা এবং প্রাণিচিকিৎসা ব্যবস্থার সুফল গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ প্রাণী হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। প্রাণী অসুস্থ হলে তার কাছে এখন অপারেশনের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সুবিধাসহ হাসপাতাল চলে যায়। এমনকি উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিচিকিৎসার বিশেষজ্ঞ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাছাড়া গ্রামেও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাণীর ভালো চিকিৎসার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এমনকি প্রাণী থেকে যা কিছু উৎপাদন হয় তার গুণগত মানের জন্য সহায়তা করা হচ্ছে।

তিনি আরও যোগ করেন, এক সময় মানসম্পন্ন ঔষধ উৎপাদন না করার কারণে সরকার বিপুল সংখ্যক ঔষধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। ঔষধে ভেজাল দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কারণ মানুষের চিকিৎসা ও বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধে ভেজাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আপোষ করা যায় না। বর্তমানে দেশে তৈরি হওয়া অনেক ঔষধ গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এখনও বড় বড় কোম্পানির ঔষধের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য, আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সরকার নজরদারি করছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।


এর আগে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যন্স সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রোর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। প্রাণিস্বাস্থ্য খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যন্স রোধ বিষয়ে সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (হিসাব, বাজেট ও অডিট) ডা. মো. আবু সুফিয়ান, মানবস্বাস্থ্য খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যন্স রোধ বিষয়ে সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. অনিন্দ্য রহমান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআর-এ পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন, বাংলাদেশে এফএও-একটাড-এর কান্ট্রি লিড এরিক ব্রাম, এফএও-একটাড-এর জ্যেষ্ঠ কারিগরী উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট নূর ই আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্ট-এর টিম লিড ডা. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।


আরও খবর
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলছে টাইগাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। পুনেতে লাল-সবুজ দলের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আর ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন দুই টাইগার ওপেনার। লিটন দাস-তানজিদ তামিমের ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তাওহীদ হৃদয়ের ৭৪ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আজ ব্যাট হাতে ভালো সূচনা করেন দুই টাইগার ওপেনার। অজি বোলারদের দেখেশুনে খেলে দ্রুত স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন লিটন দাস এবং তানজিদ তামিম। এ দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম দশ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ৬২ রান।

দলীয় ৭৬ রানে শন অ্যাবটের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম। আউট হবার আগে ৩৪ বলে ৬ চারে ৩৪ রান করেন তিনি। টাইগার ওপেনার ফেরার পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন নাজমুল শান্ত।

তামিমের সঙ্গে দুর্দান্ত ওপেনিং জুটির পর অধিনায়ক শান্তর সঙ্গেও ৩০ রানের জুটি গড়ে ওঠে লিটনের। তবে উইকেটে থিতু হয়েও আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি টাইগার ওপেনার, ফলে ৩০ রানেই ভাঙে এ জুটি। অ্যাডাম জাম্পার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মারনাস লাবুশেনের মুঠোবন্দী হন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৫ চারে ৩৬ রান করেন তিনি।

লিটন ফেরার পর ক্রিজে আসেন হৃদয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এ দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ৬৩ রান। দুজনের প্নচাশোর্ধ রানের জুটিতে বড় রানের আশা দেখছিল টাইগাররা। তবে বিপত্তি বাঁধে শান্তর দুর্ভাগ্যজনক বিদায়ে। ভালো ছন্দে থাকা শান্ত দৌড়ে রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হন। সাজঘরে ফেরার আগে ৬ চারে করেছেন ৪৫ রান।

শান্ত ফেরার পর ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অজি বোলারদের দেখেশুনে খেলে রিয়াদও আজ দুর্দান্ত শুরু করেন, স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন দ্রুত ছন্দে। ফলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে টাইগারদের দলীয় সংগ্রহে যোগ হয় আরও ৪৪ রান। কিন্তু এরপরই শান্তর মত পরিণতি বরণ করতে হয় রিয়াদকেও। তিনিও রান আউটের শিকার হন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে ৩ ছয় এবং ১ চারে করেছেন ৩০ রান।

রিয়াদ ফেরার পর মাঠে আসেন মুশফিকুর রহিম। তবে মিস্টার ডিপেন্ডেবল আজ দলের হাল ধরতে পারেননি। সাজঘরে ফিরেন ২১ রান করে। মুশফিক ফেরার পর দলীয় ২৮৬ রানে ব্যক্তিগত ৭৪ রানে আউট হন হৃদয়ও। শেষ পর্যন্ত মেহেদী মিরাজের ২০ বলে ২৯ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অজিদের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা এবং শন অ্যাবট।


আরও খবর
তীরে এসে তরি ডোবাল বাংলাদেশ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩