আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
হাসিনা-মোদি বৈঠক

নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় যোগাযোগ, বাণিজ্যিক সংযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পেয়েছে। এদিকে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই আলোচনার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটিও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর এক্সে (টুইটারে) এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া তিন সমঝোতা স্মারক হলো কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। গতকাল রাতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের পর দিল্লির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো অফিসিয়াল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারত আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কানেকটিভিটি তথা রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আমাদের চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রম বেগবান করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।

ড. মোমেন বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একমত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪-৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁর সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানাবিধ ক্ষেত্রে প্রভূত দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এই জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শনিবার দুই দিনব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলন নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গতকাল অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারতের রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোস প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফরসঙ্গী অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানাও রয়েছেন। এর আগে সকাল ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

শনিবার শুরু হওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

রোববার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনের শেষ দিনে জি২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা গৃহীত হবে। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। দেশটির মেয়াদকালীন বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশকে জি২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জি২০ এর ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে।


আরও খবর



উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যার পূর্বাভাসের তথ্য চাইবে বাংলাদেশ: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আকস্মিক ও বড় ধরনের বন্যায় যথাসময়ে পূর্বাভাস প্রদানে লক্ষ্যে  চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ উজানের দেশগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য চাওয়া হবে। এজন্য দেশগুলোর সাথে আলোচনা ও যোগাযোগ জোরদার করা হবে। জনগণকে যথাসময়ে সহজ ভাষায় বন্যার পূর্বাভাস দেয়ার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।

শনিবার রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সমূহের কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ফেনী ও কুমিল্লায় গণশুনানি করা হবে। জনগণের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সকল বাঁধা দূর করতে হবে। উপদেষ্টা এসময় ফেনী নদীর মাছের ঘেরসহ সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, হাওরে যাতে বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। হাওরে স্থাপনা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সকল পাম্প চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া, এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহের প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় যৌথ নদী কমিশনের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ব্যবস্থা, হাওর এলাকায় কার্যক্রম এবং গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা এসব প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


আরও খবর



পাপন-নানক-বিপ্লব বড়ুয়ার সব ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) সদ্য পদত্যাগ করা সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং  দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাক্তিগত এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে। বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হিসাব জব্দ করাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কেউ কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।

লেনদেন স্থগিতের নির্দেশটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে স্থগিত করা ব্যাক্তিদের স্ত্রী-সন্তানদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।


আরও খবর



চরফ্যাশনে ইউপি চেয়ারম্যানকে জুতার মালা পরিয়ে ঘুরালেন বিক্ষুদ্ধ জনতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনের আবুবকরপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজ জমাদারের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়া, শালিস বিচারের নামে হয়রানি, সাধারন মানুষের জমিদখল ও নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জুতার মালা গলায় দিয়ে স্থানীয় রৌদেরহাট বাজারে ঘুরালেন বিক্ষুদ্ধ জনতা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর স্থানীয় বাজারে নিয়ে জুতার মালা পরিয়ে ঘুরানো হয়। খবর পেয়ে নৌ-বাহীনির সদস্যরা তাকে বিক্ষুদ্ধ জানতার হাত থেকে উদ্ধার করে দুলারহাট থানায় সোপর্দ করেন। সিরাজ জামাদার ওই ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সুত্রে জানাযায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার আমলে সরকারের ছত্রছায়ায় তিনি তিন বার চেয়ারম্যান নির্বিাচিত হন। ক্ষমতার দপটে তিনি ওই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ওপর জুলম, চাঁদাবাজী ও জমিদখল ও শালিশের নামে সাধারন মানুষের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি আলেম ওলামা ও ওই ইউনিয়নের সাধারন মানুষ।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর গা-ঢাকা দেন চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদার। পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে তিনি রাতের আধারে অতিগোপনে নিজ বাড়িতে এসে আত্মগোপনে ছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন এমন খবরের ভিত্তিতে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়ি ঘেরাও করে মারধর করেন। পরে তাকে জুতার মালা গালায় দিয়ে স্থানীয় রৌদের হাটে ঘুরান এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

স্থানীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাইনুল ইসলাম জিহাদী জানান, তিনি এবং তার মসজিদ কমিটির সদস্যরা ওয়াজ মাহফিলের জন্য চাঁদা আদায় করতে স্থানীয় রৌদ্রের হাটে গেলে চেয়ারম্যান সিরাজ জামাদার তাকে চাঁদা তুলতে বাধা দেন এবং ওয়াজ মহফিল করা যাবেনা বলে জানান। এতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে চেয়াম্যানসহ তার দলবল তাকে ওই বাজারে প্রকাশ্য হাত-পা বেধে মধ্যেযোগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় তিনি ওই দিন থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এছাড়াও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একাধিক আলেমদের মারধর করেছেন। ভয়ে আতংকে অনেকেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেননি।

ওই ইউনিয়নের সামসুদ্দিন নামের একজন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জানান, তার পারিবারিক জমি সংক্রন্ত বিরোধ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে দারস্ত হলে তিনি তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। তার দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা জানালে তিনি তাকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আটক করে মারধর করেন। এমনি ভাবে চেয়ারম্যান সিরাজ জামাদারের নির্যাতনের শিকার ওই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। সাধারন মানুষকে জিম্মি করে চেয়ারম্যান হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইউপি সদস্য জানান, আওয়ামী লীগ মনোনিত তিন বারের নির্বাচিত চেয়াম্যান আওয়ামীগের ক্ষততার আমলে তিনি ইউপি সদস্যদের জিম্মি করে রেখে ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের নামের সরকারী বরাদ্দের শত শত টন চাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করেছেন। ইউপি সদস্যরা প্রতিবাদ জানালে একাধিক ইউপি সদস্য তার হাতে লঞ্চিত হয়েছেন। তার ক্ষমতার দপটে কেউই প্রতিবাদ করতে পারেন নি। তিনি তার ক্ষমতার দাপটে ইউপি সদস্যদের জিম্মি করে তিনি ইউনিয়ন পরিষদটাকে একটি দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছেন।

দুলাহাট থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খবর পেয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা থানায় সোপর্দ করেছেন। ওই চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক ভোক্তভোগীর মামলা দায়েরে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মৌলভীবাজারে গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানির নিচে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকাল থেকেই একের পর এক এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙার খবর আসে। ৩য় দফা আকস্মিক বন্যায় নাকাল এ জেলার নদী ও হাওর তীরের বাসিন্দারা। নদীর বাঁধ ভেঙে ও উপচে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, মৌলভীবাজার সদরসহ সবকটি উপজেলার প্রায় আড়াই শতাধিক গ্রামের অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই কেবলই বাড়ছে বন্যায় দুর্গতদের এই পরিসংখ্যান।

জানাযায়, মনু, ধলাই ও ফানাই নদীর প্রায় ২০টি স্পটে বাঁধ ভেঙে ও উপচে বানের পানি তীরবর্তী গ্রাম এলাকায় প্রবেশ করে দ্রুত সময়েই সবকিছুই তলিয়ে দেয়। এ ছাড়াও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ওই সকল নদীর আরও একাধিক স্পট। মনু নদীর বাঁধ ভাঙনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুলাউড়া, রাজনগর ও  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষি ক্ষেত সবকিছুই গ্রাস করে বানের পানি। এখন সময় যত যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

জেলার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরের তীরবর্তী এলাকারও বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে। ৩য় বারের মতো তারাও বন্যায় কবলিত হচ্ছেন। এখন জেলার ৭ উপজেলার বাসিন্দারা কমবেশি বন্যা আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলার নদী ও হাওর তীরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীরা বুধবার বিকাল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অন্যত্র ছুটছেন। জেলা শহরের মনু নদী তীরবর্তী এম সাইফুর রহমান সড়ক এলাকায় বাঁধ ভাঙার ঝুঁকি থাকায় মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান রোড বাটার মোড় হতে পোস্ট অফিস পর্যন্ত  শুক্রবার এবং শনিবার  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গভীর রাত পর্যন্ত ব্যবসায়ী নিজেদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। সারা রাত জেগে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা বাঁধ শক্তিশালী করতে  বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা নিরলস কাজ করেন। ওই সড়কটিতে যান চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ০৭ চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ০১ ওয়াড ডেউপাশা আশরাফ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে নদীর বাধ বেশ  ঝুকিপূর্ণ রয়েছে এ ছাড়াও মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের কদমহাটা এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কের মাতারকাপন এলাকায়ও সড়কে পানি উঠে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতিতে জেলা জুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে নদী ও হাওরের পানি। স্থানীয় বাসিন্দারা অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। নিজেদের খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের সঙ্গে গৃহপালিত গবাদিপশুদের নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায়।

একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও  কদমহাট সরকারি প্রাথমিক আশ্রয়কেন্দ্রের মাসুক মিয়া (৬৫), কামাল মিয়া (৪৬), ছফিয়া বেগম (৩৮) ও মো. হাসান মিয়া (৩৬) জানান, গত বুধবার বিকাল থেকেই ওখানে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সঙ্গে গবাদিপশুও। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। নিজের ও গবাদিপশুগুলোর খাবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায়। আশ্রয়কেন্দ্রের সকলেই তাদের এই চরম দুর্দিনে সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুল আহ্বান জানান।

জানা যায়, মনু নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ) পানি বিপদসীমার ৭৫ সে. মি. উপর দিয়ে  ও মনু নদীর (চাঁদনী ঘাট) পানি বিপদসীমার ১১৯ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ) ২৮ সে. মি. উপর দিয়ে, কুশিয়ারা নদীর (শেরপুর) বিপদসীমার ১০ সে. মি. উপর দিয়ে ও জুড়ী নদী বিপদসীমার ১৯৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলার কুলাউড়ায় ১টি, রাজনগরে ৭টি ও সদর উপজেলায় ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকসংখ্যা ৪৩২৫ জন। ২৫টি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে।

ইতোমধ্যে ২৮৫ টন চাল ও ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জিআর খাত হতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি সহায়তা ছাড়াও জেলা জুড়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য বিতরণসহ সার্বিক সহযোগিতায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: মৌলভীবাজার

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাধ্যতামূলক অবসরে সেনাবাহিনীর ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।

অবসরে যাওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন- লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল হামিদুল হক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর তিনজন অফিসারকে আর্মি অ্যাক্ট সেকশন-১৮, আর্মি অ্যাক্ট (রুলস) ১২(১), আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ৭৮(সি), ২৫৩ (সি) (২), ২৬১, সংশোধিত আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ২৬২(৪) ও ২৬৯(এ), আর্মি রেগুলেশন্স (ইনস্ট্রাকশন্স) ১৬৮ (বি) এবং কমপেনডিয়াম অব মিলিটারি পেনশন-১৯৮১ এর বিধি-৯(কে) অনুসারে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর প্রদান করা হলো।

আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই অফিসারদের অবসর কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়াও আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এসএসএফ এর সাবেক মহাপরিচালক।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানের আগে সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার সময় অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করে তিনি আলোচনায় আসেন। পরে তিনি এসএসএফের মহাপরিচালক হন। গণভবনে থাকা অবস্থায় তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ-বিদেশ সফর করেন।

দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।

আরও খবর