গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র
পদে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পরাজয় মেনে নিয়েছেন। এছাড়া কেউ সহযোগিতা
চাইলে বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজমত উল্লাহ খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু
হয়েছে। আমি রায় মেনে নিয়েছি। তবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কিছু ত্রুটি ছিল ইভিএমে। অনেকে
ভোট দিতে পারে নাই। পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করা হবে। পরাজয়ের কি কি কারণ ছিল তা জানানো
হবে।
শুক্রবার (২৬ মে) টঙ্গীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের
তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটির নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন
বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুন আপনার সহযোগিতা
চাইবেন বলে জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ বলেন, কেউ যদি সহযোগিতা চায় তা
অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত
দেড়টার দিকে ৪৮০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার শেষে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা
খাতুনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা
ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ : জাহাঙ্গীর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র
মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে
২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের
আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে
জায়েদা খাতুন জয় লাভ করেন।
মেয়র নির্বাচনে মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম
পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল মার্কার এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, হাতপাখার
গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার
২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ও হাতি প্রতীক নিয়ে সরকার শাহনূর
ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।