প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার প্রত্যয়
ব্যক্ত করেছেন, আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের
নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিক কারণ দেখছি না। যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাশকতা করছে, তাদের
ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদের। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি
এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন আইন করেছেন। বর্তমানে
দেশে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে। জন্ম থেকে মানুষের অধিকার
প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি
মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, জেলের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির চারজন
সংগঠককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন অনেকেই কিন্তু ২১ আগস্টের
সমাবেশে শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। আইভি রহমানসহ
২৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা এ নিয়ে কথা বলেন না।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
বলেছেন— বিভিন্ন রকম
চাপ আসতে পারে, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব মোকাবিলা করার জন্য
রাজনৈতিক ও মানসিক শক্তি আমাদের আছে। আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আজকের
এই অবস্থানে রয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকবিলা করেই আমরা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। গণতন্ত্রকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ায় যত বাধায় আসুক আমরা এই লড়াইয়ে অবিচল।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম,
সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব
বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক
শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, মেরিনা জাহান
কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।