আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচনের প্রশিক্ষণ নিতে রাশিয়া যাবেন ইসি কর্মকর্তা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসানুল কবির ফেরদৌসকে প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়া পাঠাচ্ছে সংস্থাটি।

চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসারকে সম্প্রতি পাঠানো এ সংক্রান্ত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

ইসির উপসচিব মোহাম্মদ নুরুল আমিনের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা : চর্চা ও উদ্ভাবনা শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসানুল কবির ফেরদৌসকে রাশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী ১ থেকে ৬ অক্টোবর মস্কোতে ওই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

আহসানুল কবির ফেরদৌস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় যাবেন এবং ফিরবেন ৭ অক্টোবর। এই সফরের সব ব্যয় বহন করবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সফর থেকে ফিরে তিনি সাত দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।

নির্বাচন কমিশন বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। ইতোমধ্যে নির্বাচনী উপকরণ ক্রয়, প্রশিক্ষণ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্তের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তার কমিশন।


আরও খবর



ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি : বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‌অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হয়, এ কারণে এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন, আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।

রিটে আইন মন্ত্রণালায়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি এফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রিট মামলাটি দায়ের করেন। রিটে  ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়। আবেদনে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের নির্দেশনা এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের ২০১২ সালের আদেশ প্রতিপালনে অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ১১৬ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যন্ত রয়েছে। একই অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি উক্ত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। মূলত রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এবং সুপ্রিমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করলে পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান একই বিধানটি প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এই বিধানটিই বিদ্যমান রয়েছে।

রিট আবেদনে যেসব যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে

১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই মৌলিক কাঠামো বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের পরিপন্থি।

৩. পৃথক সচিবালয় না থাকায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের কারণে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারছেন না।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জাতীয় কবির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১২ ভাদ্র। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।

লেখকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

নজরুল বাংলা ভাষা সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি কবিতা, সংগীত, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, চলচ্চিত্রে নিজের অবদান রেখেছেন। ছিলেন সাংবাদিক, গায়ক ও অভিনেতা। সংগীতে তার অনবদ্য অবদান এখনো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া। শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবি নজরুলকে সপরিবার বাংলাদেশে আনা হয়। তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে কবিকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হয় কবিকে।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সাহিত্যপ্রেমীসহ সর্বস্তরের মানুষ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রতীকসহ নিবন্ধন পেল সাবেক ভিপি নুরের দল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ। দলটি ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে।

গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির জেরে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত বুধবার নিবন্ধনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে একটি চিঠি দেয় দলটি।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয়-সংক্রান্ত তথ্য পুনঃযাচাইয়ের জন্য উপসচিব (আইন) ও রাজনৈতিক দলের তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুছ সালামের নেতৃত্বে চার সদস্য দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১ জুলাই দলের জরুরি সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ককে অপসারণের ফলে বর্ণিত আহ্বায়ক কমিটি অস্তিত্বহীন এবং অকার্যকর। বর্ণিত কাগজপত্র ও গঠনতন্ত্র পর্যালোচনায় ওই দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক ছিল এবং ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনতান্ত্রিক ও কার্যকর মর্মে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।

নুর তার চিঠিতে লেখেন, এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও সংশোধিত গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করি। সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ায় ওই বছরের ২৫ জুলাই নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় কাউন্সিলসহ এরই মধ্যে জমাদানকৃত কাগজপত্রাদি বিবেচনা করে গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য জোর দারি জানাচ্ছি।


আরও খবর



পান্নার লাশ মেঘালয়ে উদ্ধার, স্বীকার করল ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় নিহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নার মৃতদেহ উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।

বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌহাটির বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন। তিনি জানান, মেঘালয় রাজ্য সরকার একটি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে; যার পকেটে একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। পাসপোর্টটি ইসহাক আলী খান পান্নার বলে জানান তিনি।

এছাড়া পান্নার নিকটাত্মীয় দুজন বুধবার মেঘালয় রাজ্যের উমকিয়াং থানায় গেলে সেখানে পেট্রল পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় মৃতদেহ উদ্ধারের কথা। এ সময় তার হাতে থাকা ঘড়ি ও পাসপোর্ট তাদের দেখানো হয়।

গত শুক্রবার রাতে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ভারতীয় এলাকায় মারা যান ইসহাক আলী খান পান্না। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মেঘালয় রাজ্যের বিএসএফ ও পুলিশ। এমনকি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পান্না ভারতে প্রবেশই করেনি বলে বিবৃতি দেন বিএসএফ কর্মকর্তারা।

১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইসহাক আলী খান পান্না। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর ইসহাক আলী খান পান্না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হন।

ইসহাক আলী পান্নার স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মাসে মারা যান। আইরিন সরকারের উপ-সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। এই দম্পতির ইফতেশাম আফতারি আরিয়ান নামক এক ছেলে রয়েছে।


আরও খবর



বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার। বন্যাপীড়িত অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি এবার তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে পালন করবে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এবারের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাদ আসর সারাদেশে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে এবং সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরে আসতে পারেন সেজন্য আমরা দোয়া চাইব। বিএনপির এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর খরচের অর্থ বন্যার্তদের জন্য গঠিত ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হয়েছে।

দলের মহাসচিব বলেন, বন্যার কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৬ দিনের কর্মসূচি কমিয়ে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হবে।


আরও খবর