আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচনি সংঘাতে নিহতের ঘটনায় প্রার্থীসহ চট্টগ্রামে আটক ২৬

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৬ জনকে আটকের পর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন সিএমপির উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ।

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুরপাড় এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। মূলত গণসংযোগ চালানোর সময় সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুপক্ষই গোলাগুলিতে অংশ নেয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী বাবুল সর্দার নামে একজন মারা যান এবং মাহবুব নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। একই সময়ে আরো ছয় থেকে সাতজন লোক আহত হয়। গুলিবিদ্ধ দুজনই নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরের বাড়ি ঘেরাও করে কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আমরা ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করলাম। এখন এদের থানায় নিয়ে তারপর সেখান থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

আজগর আলী বাবুল সর্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পলাশ কান্তি নাথ বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি গুলিবিদ্ধ, তবে নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ঠিক কিভাবে মারা গেছেন তা বলতে পারব।


আরও খবর



ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার বিষয়ে রুল শুনানি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও অধিদপ্তরের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশ স্থগিত প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি আগামী রোববার (১০ মার্চ) পর্যন্ত মুলতবি করে ওইদিন পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী।

মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় গত ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন, যার ওপর আজ শুনানি হয়।

বিভিন্ন নজির তুলে ধরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে বলেন, রায়ে দুটি দিক থাকে একটি সাজা ও অন্যটি দণ্ড। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) স্থগিত হয় না। অনেক সময় দণ্ড স্থগিত হয়। তবে কারণ উল্লেখ করতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আপিল ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় স্থগিত করতে পারেন না। এটি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


আরও খবর



বাঁশখালীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড, আহত ১৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বাঁশখালীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। একই সাথে ৫ টি গ্যারেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের মোশাররফ আলী মিয়া বাজারের পশ্চিম কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

গুরুতর আহত রাজিব, শামসুল আলম, সাদেক হোসাইন, সাইদ আহমদ, ইমরান, ফরহাদ, আজগর, গফুর উদ্দিনকে বাঁশখালী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আজাদুল ইসলাম জানান, গাড়ির গ্যারেজে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গ্যারেজে ওয়ারিংয়ের কাজ করার সময় আগুন ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরে আবারও গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বাঁশখালী

আরও খবর
টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




গাজায় ত্রাণ নিতে আসা জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি, নিহত ১০৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণ-পশ্চিমে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েল খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৭০০ জন আহত হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১২ জন এবং  আহত হয়েছেন ৭৫০ জনেরও বেশি। গাজা শহরের পশ্চিমে আল-নাবুসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ফিলিস্তিনি নেতারা এবং প্রতিবেশী দেশগুলো গাজায় সহায়তা সংগ্রহকারী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু করায় ইসরায়েলের নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী কুৎসিত গণহত্যা চালিয়েছে।

আব্বাসের অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াফা বার্তা সংস্থা বলেছে, এই বিপুল সংখ্যক নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের যারা হত্যা করেছে তারা গণহত্যামূলক যুদ্ধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সম্পূর্ণ দায় দখলদার ইসরায়েলের এবং আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসামরিকদের রক্ষা করার একমাত্র উপায় হিসেবে, যুদ্ধবিরতি জারি করার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই হামলাকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধী ইহুদিবাদীদের জঘন্য গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।

এক বিবৃতিতে এই গোষ্ঠীটি বলেছে, সাহায্য-প্রার্থীদের ওপর মারাত্মক আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

গাজায় গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেন, গাজা শহরের পশ্চিম নাবুলসি গোলচত্বরে ত্রাণের ট্রাকের দিকে খাবারের জন্য মরিয়া হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন। সেই সময় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ত্রাণ-বোঝাই ট্রাকগুলো কিছু সেনা ট্যাংকের খুব কাছাকাছি চলে আসে। ওই সময় হাজার হাজার মানুষ ট্রাকের দিকে ছুটে আসেন। তারা ট্রাকগুলোতে হামলে পড়েন। লোকজন ট্যাংকের খুব কাছে চলে আসায় ইসরায়েলি সেনারা ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পরে ইসরায়েলি একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেছে, লোকজন এমনভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছাকাছি এসেছিল, যা সেনাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে গুলি ছুড়ে হুমকি মোকাবিলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, ওই এলাকায় কোনো ধরনের গোলাবর্ষণের কথা তাদের জানা নেই। পরে সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর গাজায় ত্রাণ পরিবাহী ট্রাক এলে ধাক্কাধাক্কি ও পদদলিত হয়ে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটির সশস্ত্রবাহিনী ভিড়ের মাঝে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একাধিক ট্রাকে করে অনেক মৃতদেহ পরিবহন করা হচ্ছে এবং অনেক আহত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেত পারেনি। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি হাসপাতালের মেঝেতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



নির্বাচনের বাইরে রাখার চক্রান্ত বিএনপি বুঝতে পারেনি: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে ছক কষে চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়। যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারিনি।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, দুই বছর আগে থেকে নকশা করে বেছে বেছে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা বুঝতে পারিনি। বোঝার ভুল হয়েছিল। অনেক নেতা-কর্মী জেলে গেছেন একটা মামলা নিয়ে আর বেরিয়েছেন ২০-২২টা মামলা নিয়ে।

তিনি বলেন, রাজনীতি করার কারণে অনেকবার জেলে গেছি, কিন্তু এবারের মতো করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করতে পারব না। বিএনপির লোকজনের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছে। এই নির্যাতন ও অত্যাচার বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। এ সরকারের পতন ঘটবেই, বলেন বিএনপির এ নেতা।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জনগণকে কষ্ট দিতেই ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় এমনটা করছে তারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন। জনগণের পকেটের টাকা লুটে নিতেই বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানির দাম বারবার বৃদ্ধি করছে ক্ষমতাসীনরা।


আরও খবর



ঢাকা-কক্সবাজার রুটে জুনে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ জোড়া ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আগামী জুনে নতুন ৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে। একই সময়ে চালু করা হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কমিউটার ট্রেন। পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার পথে আরও দুটি ট্রেন চলবে। এছাড়া বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামে নতুন আন্তঃনগর চলবে আগামী ১২ মার্চ থেকে।

শনিবার রাজধানীর রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানিয়েছেন রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে ঢাকায় কর্মরত সড়ক, রেল ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিষয়ে কাজ করা সাংবাদিক সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)। 

আরও পড়ুন>> হজে গিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বললেন ধর্মমন্ত্রী

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। এবারের ঈদ যাত্রা এবং টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আরও ভালো হবে। কোনো টিকিট কালোবাজারি হবে না। একই সঙ্গে রেলকে নিরাপদ বাহন করতে যা যা করার করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, রেলওয়েতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এটা সত্য। তবে সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সবকিছুই খারাপ, তা বলা ঠিক হবে না। রেলে অনিয়ম আছে, ভুল আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা বসে নেই।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম। কর্মশালায় রেলের বাণিজ্যিক বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।

এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) পার্থ সরকার, রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর