আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার, আড়াই হাজার মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে চার বছরে আড়াই হাজার মামলা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদে এমপি নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করে চার হাজার ২০৭টি মামলায় ছয় কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১-এ মৌলনীতি হিসেবে ফাইভ-আর (রিফিউস, রিডিউস, রিইউস, রিসাইকেল, রিকোভারি) পলিসি নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের বিগত ২১ জুন উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলাকে কোস্টাল এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে ওই এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় সরকার ইতোমধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যের এবং ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এ বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।


আরও খবর



বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর রাজধানী ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর



শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরমে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ ও তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নিজেদের আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছেটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি ২৫০টি ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে সাজিয়ে রাখা হয় ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের গাড়ি। পাশাপাশি খাবার পানির বিশেষ ভ্যান গাড়িও রাখা হয়। সেখানে আসবেন মেয়র, কার্যক্রমগুলো করবেন পরিদর্শন, দেবেন নির্দেশনা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে এমন সব স্প্রে ক্যানন এবং ব্রাউজারের গাড়ি দেখে আশপাশের এলাকার শিশু কিশোররা আগেই জোড় হয়েছিল সেখানে। মেয়রের আসা দেখে চালিয়ে দেওয়া হলো স্প্রে ক্যানন। চারিদিকে ঝর্ণার মত ছিটতে থাকলো পানি। এ পানিতে হইহুল্লোড় করে ভিজতে শুরু করলো উপস্থিত শিশু কিশোররা। যা দেখে মেয়র আতিকও যুক্ত হলেন শিশু কিশোরদের সঙ্গে, নিজেকে ভিজিয়ে নিলেন তিনিও।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ৩ টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থার ভ্যান।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।


আরও খবর