ঢাকার নিউমার্কেটে
অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ ও গুজব প্রচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, ‘ঢাকা নিউ মার্কেটস্থ নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় আগুন লাগাকে কেন্দ্র
করে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল নিউ মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত পথচারী পারাপার
সেতুর (ফুটওভার ব্রিজ) সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা
করছেন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অনাকাক্সিক্ষত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এ ঘটনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরর দৃষ্টিগোচর
হয়েছে।
সিটি করপোরেশন জানায়, ঢাকা নিউ মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত পথচারী পারাপার সেতুটি (ফুটওভার ব্রিজ) গতবছরই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। তখন সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ফলক ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং সেতুটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে লোকজন চলাচল করছিল। যা অত্যন্ত অনিরাপদ। গত ১২ এপ্রিল সেই সেতুটির সাথে মার্কেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত ২টা হতে ভোর ৫টা ১৫মি. পর্যন্ত সেতুটির সঙ্গে মার্কেটের ২য় তলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং করপোরেশন আজকের মতো কার্যক্রম শেষ করে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেট এলাকায় ফের মুখোমুখি শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী
এদিকে আজ ভোর
৫টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে বলে গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়। সুতরাং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের
সময় হতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় আগে সম্পন্ন হওয়া সেতুর সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কার্যক্রমের
দৃশ্যত ও অদৃশ্য কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
এরপরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেতু অপসারণের সাথে আগুন লাগাকে একসূত্রে গাঁথার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের সাথে করপোরেশনের সেতু বিচ্ছিন্নকরণের ন্যূন্যতম কোনও সংযোগ নেই। কারণ সেতু বিচ্ছিন্নকরণ স্থান থেকে ৪০০ ফুটেরও অধিক দূরত্বে আগুন লেগেছে, সেতু বিচ্ছিন্নকরণে করপোরেশন কোনও গ্যাস কাটার ব্যবহার করেনি। হুইল এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে সেতু বিচ্ছিন্ন করা হয়। আর বিচ্ছিন্নকরণ স্থানে করপোরেশনের কর্মকর্তা, ডিপিডিসি’র কর্মকর্তা উপস্থিততে নিরাপদে এই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও সেতুর সঙ্গে মার্কেটের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের আগে থেকেই সেতুর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খোলা হবে না নিউমার্কেট
অগ্নিকাণ্ডসহ
কোনও ধরণের দুর্ঘটনা কাম্য নয়। তথাপি, এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জান-মালের
নিরাপত্তা বিধান করা সর্বাত্মক অগ্রাধিকার। সেলক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস পুলিশ সেনাবাহিনী
ও র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
দুর্যোগের
এই কঠিনতম সময়ে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভিত্তিহীন সংবাদ ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত
থাকার আহবান জানানো হয়।