আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নজরুল স্মৃতিবিজড়িত নামাপাড়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল নামাপাড়ায় শুকনি বিলের পাশে যে বটবৃক্ষে বসে বিদ্রোহী কবি নজরুল আনমনে বাঁশি বাজাতেন, সেটা এখন কালজয়ী সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিদ্রোহী কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও তার গৌরবগাথা স্মৃতিকে চিরকালের জন্য অম্লান করে রাখতে ত্রিশালবাসী প্রতিষ্ঠা করেছেন নজরুল একাডেমি (নজরুলের বাল্য বিদ্যাপিঠ), বিদ্রোহী কবি নজরুল স্মৃতি পাঠাগার, কবি নজরুল স্মৃতি সংসদ, কবি নজরুল জামে মসজিদ ও দুখুমিয়া থিয়েটারসহ আনাচে-কানাচে অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯১৪ সালে ত্রিশালের কৃতী সন্তান কাজী রফিজ উল্লাহ দারোগার সঙ্গে আসানসোলের একটি রুটির দোকানে পরিচয় হয় কবির।

সেখান থেকে ত্রিশালের কাজীর শিমলা দারোগাবাড়িতে কবিকে নিয়ে আসেন কাজী রফিজ। তাকে লেখাপড়ার জন্য ভর্তি করা হয় তৎকালীন দরিরামপুর হাইস্কুলে (বর্তমান সরকারি নজরুল একাডেমিতে)। তখন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন বিপিন চন্দ্র। তিনি শিক্ষার্থীদের কঠোর শাসনের মধ্যে রাখতেন। ওই শিক্ষকের স্মরণে শ্রেণিকক্ষের সামনে কবির লেখা আমি এক পাড়াগাঁয়ে স্কুল পালান ছেলে, তার ওপর পেটে ডুবুরি নামিয়ে দিলেও অক্ষর খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্কুলের হেডমাস্টারের চেহারা মনে করতেই আজও আমার জল তেষ্টা পেয়ে যায় ওই উক্তিটি মোজাইক করে রাখা হয়েছে।

কাজীর শিমলা গ্রামের রফিজ উল্লাহ দারোগাবাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে উঠেছে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র। যেখানে কেটেছে কবির কৈশোর জীবন। বংশধররা কবির স্মৃতিকে ধরে রাখতে স্মৃতিকেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিয়েছেন জমি। রফিজ উল্লাহ দারোগাবাড়ি স্মৃতিকেন্দ্রে রয়েছে কবির থাকার ব্যবহৃত খাট। পাঠাগারে আছে প্রায় পাঁচ হাজার বই। বিচুতিয়া বেপারিবাড়িতে রয়েছে আরেকটি স্মৃতিকেন্দ্র। কবির বংশধর হাফেজ আবুল কাশেম বলেন, আমি বিচুতিয়া বেপারিবাড়ির চতুর্থ বংশধর।

আমার বড় বাপ নজরুলকে জায়গির রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্মৃতিকেন্দ্রে আমরা জমিদান করেছি। কাজী রফিজ উল্লাহ দারোগাবাড়ির বংশধর নাতি কাজী মোকলেছুর রহমান বলেন, কবি নজরুলের নামে এখানে একটি পাঠাগার ছিল, তা বন্ধ করে স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দর্শনার্থী ছুটে আসেন কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখতে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজেঘেরা এক মনোরম পরিবেশ। সকাল-বিকাল আসছে দূরদূরান্ত থেকে কবিভক্ত দর্শনার্থী। কবির নামে স্মৃতিকেন্দ্র ঘুরে দর্শনার্থী সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকার কথা বলছেন। স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে কবি যে পুকুরে গোসল করতেন, মাছ ধরতেন, সেই পুকুরঘাট দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসছেন।

নিউজ ট্যাগ: নামাপাড়া

আরও খবর



শেরপুরে ৬টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৬টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) এইসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল। তবে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লীরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেচর গ্রামে আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামায়াতে দুইশ থেকে আড়াই'শ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসুল্লীদের পাশাপাশি নারী মুসল্লীরাও পর্দার ভিতরে নামাজে অংশ নেন।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে। মুসুল্লীদের সংখ্যাও ধীর গতিতে বেড়ে চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১১৪ বছর বয়সে মারা গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবারের সদস্যরা।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক মোরা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ১১৪ বছর বয়সী জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা আজ আমাদের ছেড়ে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন।’

২০২২ সালে পেরেজকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি বলে স্বীকৃতি দেয় গিনেজ। সে সময়ে তার বয়স ছিল ১১২ বছর।

পেরেজের ১১ সন্তান এবং ৪১ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এই ৪১ জনের আবার ১৮ সন্তান আছে, আর এই ১৮ জনেরও আছে ১২ সন্তান।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া জুয়ান মাত্র ৫ বছর বয়সেই বাবা এবং ভাইদের সঙ্গে নিজেদের আখ ও কফি ক্ষেতে চাষের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পরে এক সময় এল কোবরে শহরের শেরিফ (প্রধান আইন কর্মকর্তা) হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু কৃষিকাজ ছাড়েননি। যতদিন কর্মক্ষম ছিলেন, নিয়মিত চাষের কাজ করে গেছেন জুয়ান।


আরও খবর



ফের বাংলাদেশে তিন মিয়ানমার সেনা সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে ফের দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে তারা। তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র জমা নেওয়ার পর বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবি সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



গোপন বিয়ে’র গুজব উড়িয়ে চমক দিলেন অদিতি-সিদ্ধার্থ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অদিতি রাও হায়দরি ও সিদ্ধার্থের বিয়ে নিয়ে গুজব ছড়াতেই ময়দানে নামলেন যুগল। এবার নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তারা। বুধবার থেকে বলিউড সরগরম। খবর ছড়ায়, অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি এবং সিদ্ধার্থ নাকি গোপনে বিয়ে সেরেছেন। তেলঙ্গানার রঙ্গনয়কস্বামী মন্দিরে নাকি বিয়ে সেরেছেন যুগল। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অন্য খবর জানালেন এই যুগল। সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে তারা তাদের বাগ্‌দানের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন।

বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে সিদ্ধার্থের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন অদিতি। সেই ছবিতে যুগলের আঙুলে বাগ্‌দানের আংটি স্পষ্ট। ছবির সঙ্গে অদিতি লেখেন, ও সম্মতি দিল। আমাদের বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়েছে।’ এই ভাবেই বিয়ের গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী ছবি মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। ছবির সেট থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সমাজমাধ্যমে আদুরে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।

বাগ্‌দান সম্পন্ন হতেই সিদ্ধার্থ এবং অদিতির বিয়ে নিয়ে কৌতূহল দানা বেঁধেছে। কিন্তু বিয়ের তারিখ নিয়ে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি এই যুগল।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভাঙে সম্পর্কে। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পটাও খানিকটা একই রকমের। মাত্র ২১ বছরেই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর বিয়ে ভাঙে নায়িকারও। ২০১৩ সালে আলাদা হন দু’জনে। এ বার সিদ্ধার্থ-অদিতির বিয়ের অপেক্ষা।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত চার বছরে মাধ্যমিক স্তরে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।

ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত।

মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪