আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নকল মাস্ক সরবরাহকারী শারমিনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বিএসএমএমইউয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় গত ৪ জুলাই থেকে। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা মাস্ক সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের দেয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ হোসেন খান অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মঙ্গলবার (২২ জুন) শাহবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে গত বছরের ২৩ জুলাই রাতে প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ শারমিনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।

মামলা থেকে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় গত ৪ জুলাই থেকে। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা মাস্ক সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের দেয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে তৃতীয় ব্যাচেই দেখা দেয় বিপত্তি। অভিযোগ ওঠে, ওই চালানে সেখানে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হয়। নকল মাস্কগুলোতে লেখা ছিল ভুল এবং লট নম্বরও ছিল না।

অভিযোগে বলা হয়, আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহান।

এতে তারা বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেভাবে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।


আরও খবর



শেষমেষ সভাপতি প্রার্থী খুঁজে পেলেন নিপুণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। খবর রটেছে কাঞ্চন সরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সংগঠনটির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। তবে বিষয়টি উড়িয়ে দলেন নায়িকাও। জানালেন সভাপতি প্রার্থী খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন নিপুণ। প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রায় ঘোষণার পথে। কিন্তু আপনাদের সভাপতিই এখনো ঠিক হয়নি। চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, না, কোনো চাপ নেই। গতবার তো শূন্য থেকে এই জায়গায় এসেছি। আর এবার তো আমার তৈরি মাঠ। সভাপতি প্রার্থী ঠিকঠাক হয়ে গেছে। তবে এখনই প্রকাশ করব না। তাহলে সেটি নিয়েও রাজনীতি হতে পারে। নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। সময়মতো পুরো প্যানেল প্রকাশ করব।’

এদিকে কথা ছড়িয়েছে সভাপতি খুঁজতে সোহেল রানা, শাকিব খান, অনন্ত জলিল প্রমুখের দ্বারস্থ হয়েছেন নিপুণ। কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দেননি। নিপুণ এ প্রসঙ্গে বলেন, সভাপতি প্রার্থীর জন্য আমি সোহেল রানা ভাইয়ের কাছে যাইনি। আমি শুধুই দোয়া চাইতে গিয়েছিলাম। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন। আর অনন্ত জলিল ভাই প্রতিবছরই পিকনিকের টাকা দেন। এবারও যখন টাকা আনতে গিয়েছিলাম, বলেছিলাম, ভাইয়া আপনি বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের যেকোনো ব্যাপারে টাকা দেন। আপনি শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থেকে কাজটি আরও ভালোভাবে করতে পারেন। এতটুকুই। কিন্তু বিষয়টি এত বড় করে ছড়িয়েছে, অবাক হয়েছি।’

অন্যদিকে শাকিব খান ও আরশাদ আদনানের কাছে সভাপতি প্রার্থী হতে কখনও প্রস্তাব দেননি বলে জানান এই অভিনেত্রী।

আগামী ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। তারা নিপুণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।


আরও খবর



অর্জিত হচ্ছে না রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যদিও গেল বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সাময়িক হিসাব অনুসারে, ৮ মাসে আয়কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭২ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এছাড়া শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৬ মার্চ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন: গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।

গত ৬ মাসের রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পরিবার কল্যাণ সংঘ কর্তৃক ভোলায় জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পরিবার কল্যাণ সংঘ কর্তৃক ভোলায় জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি ) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পরিবার কল্যাণ সংঘ (সিজিএডব্লিউএ) ২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর হতে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলা সিজিএফডব্লিউএ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্ট শারমীন এরশাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গরীব, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন এবং অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও গরীব ও অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কোস্ট গার্ড কর্তৃক আয়োজিত নকশি কাঁথা, আলপনা এবং মৃৎ শিল্প প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর কার্যক্রম অবলোকন করেন। তিনি আরও বলেন, উক্ত কার্যক্রমে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের পরিবার কল্যাণ সংঘের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে ৫৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষায় জাতীয় মেধাক্রমে প্রথম হয়েছেন মুহতাসিম সাদিক তামিম। তিনি নটরডেম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।

রোববার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভর্তিচ্ছুরা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ও মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে ফল দেখতে পারবেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫৪৫ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেধা কোটায় ৫১৩ জন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৭ জন ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনে ৫ জন রয়েছেন। ভর্তিচ্ছুরা একটি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ছাড়াও ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটসমূহে ভর্তি হতে পারবেন।

ফল যেভাবে দেখা যাবে

ভর্তি পরীক্ষার ফল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট (www.mefwd.gov.bd) ছাড়াও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (http://dgme.teletalk.com.bd) থেকে জানা যাবে।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের টেলিটক নম্বর 01550155555 থেকে এসএমএসের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে। সেই সঙ্গে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের অধ্যক্ষের দপ্তর থেকে জানা যাবে। আর বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর