আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নন্দিতা অবদান মানব জাতি মনে রাখবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সদ্য প্রয়াত ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বড়ুয়ার (৬৯) মরণোত্তর দেহদানের কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরেছে কাওখালি কলেজের ব্যবস্থাপনার বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৩) ও পটুয়াখালীর দলিল লেখক আব্দুল আজিজের (৫০) চোখের আলো ফিরেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় (২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এনাটমি বিভাগের পক্ষে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নন্দিয়া বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহগ্রহণ কালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নন্দিতা বড়ুয়ার দেহগ্রহণকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.  শাহ আলম, হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার (টিটো), ভিসি মহোদয়ের একান্ত সচিব-১ সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মোঃ রাসেল, কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান, কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাস, এনাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আক্তার সুমি, নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া এবং সেজুতি বড়ুয়া, নন্দিতা বড়ুয়ার কর্নিয়া গ্রহীতা জান্নাতুল ফেরদৌস ও আব্দুল আজিজ প্রমুখসহ এনাটমি বিভাগের শিক্ষক ও রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া এবং সেজুতি বড়ুয়াও মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা পোষণ করেন।

এসময় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নন্দিতা বড়ুয়ার এই ধরণের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করি। মরণোত্তর দেহদানকারির দুই কন্যা শাপলা বড়ুয়া এবং সেজুতি বড়ুয়াসহ পরিবারের সকলকে এই ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশের প্রথম ক্যাডাভেরিক অঙ্গদাতা হিসেবে সারা ইসলাম বাংলাদেশের মানবকল্যাণে দেহদানে ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবেন। সারার পথ অনুসরণ করে আজকে অনেকেই ক্যাডাভেরিক অঙ্গদান ও মরণোত্তর দেহদানের আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। আজকে নন্দিতা বড়ুয়ার অবদান মানব জাতি মনে রাখবে। নন্দিতা বড়ুয়ার কর্নিয়ার নতুন করে চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন আরও দুজন। গত একমাসে মরণোত্তর চক্ষু দান প্রক্রিয়ায় ১২ জনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেছি। কর্নিয়াগ্রহীতার বেশ ভাল আছেন। তিনি দেশের সকল মানুষের প্রতি এই রকম মহতী কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকে বেগবান করা হয়েছে। গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির সঙ্গে নানান উদ্যোগ নিচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণার কাজে দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করার একটি প্রয়াস হল এই মরণোত্তর দেহদান।

অনুষ্ঠানে নন্দিতা বড়ুয়ার মরদেহটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ, এবং শিক্ষণ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের আবেদনপত্রটি বিভাগীয় চেয়ারম্যানের নিকট প্রদান করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ডা: মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের অনুমতিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এনাটমি বিভাগের প্ল্যাস্টিনেশন ল্যাব এ্যান্ড মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে সম্পন্ন করা হয়। মরদেহের এমবামিং প্রক্রিয়ার প্রারম্ভে এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: লায়লা আনজুমান বানুর পরিচালনায় এবং এনাটমি বিভাগের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়।

গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ রাত ২টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নন্দিতা বড়ুয়া ৬৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনিজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। কিডনি রোগের পাশাপাশি এসএলই ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশাতেই মরণোত্তর দেহদানের ব্যাপারে সন্তানদের কাছে নিজের ইচ্ছেপোষণ করে গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুবরণ করার পর পরিবারের সম্মতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্নিয়া বিশেষজ্ঞরা প্রয়াতার কর্নিয়া সংগ্রহ করেন।

গত ৩১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান পটুয়াখালীর দশমিনা সাব-রেজ্রিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আব্দুল আজিজের চোখে ও অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাস ঝালকাটি জেলার কাওখালি কলেজের ব্যবস্থাপনার বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসির চোখে একটি করে কর্নিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। 

উল্লেখ্য,  ১৯৫৩  সালের ২রা জুন চট্টগ্রামের পটিয়ার কোলাগাঁও গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে নন্দিতা বড়ুয়ার জন্ম হয়। মা সন্ধ্যারানী বড়ুয়া। বাবা রাজকৃষ্ণ বড়ুয়া। বাবা ছিলেন স্কুলের হেড মাস্টার। তিনি কোলকাতা আশুতোষ কলেজে পড়াকালীন কংগ্রেসের সাথে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এই পরিবারেই অত্যন্ত স্নেহে ও আদরে বেড়ে উঠেছিলেন নন্দিতা বড়ুয়া। ৬ বোন, ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। কিন্তু স্কুলের গণ্ডি পেরুনোর আগেই ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। স্বামী বাবুল প্রসাদ বড়ুয়া ছিলেন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। স্বামীর কর্মস্থল দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে হওয়ায় সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ঢাকায় থিতু হলেন। এরই মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। সন্তানের মানুষ করার স্বপ্ন নিয়ে নিজের আজীবনের সঞ্চিত অর্থ থেকে ঢাকায় এক খন্ড জমি কিনে বাড়ি করেন। তিনি যখন এলাকায় বাড়ির কাজ ধরেন তখন সেখানে রাস্তা, গ্যাস, পানি বা বিদ্যুৎ কিছুই ছিল না। এলাকার উন্নয়নের কথা ভেবে অনেক পরিশ্রম করে নিজ উদ্যোগে সমস্ত কিছু আনেন। কিন্তু স্বামী চাকরি সূত্রে দূরে থাকায় সারাটি জীবন তাঁকে একাই সংগ্রাম করে যেতে হয়েছে, দুঃখকষ্টকে সঙ্গী করে সন্তানদের মানুষ করার গুরু দায়িত্ব নিজেকেই কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে। তাঁর ২ মেয়ে, ১ ছেলের মধ্যে মেয়ে শাপলা বড়ুয়া একজন আইনজীবী, সেঁজুতি বড়ুয়া কবি ও সাহিত্যিক।


আরও খবর



রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুযোগ থাকলে পাবনার রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জায়গায় নতুন আরেকটি প্ল্যান্ট নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দুটি নতুন ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত জরিপ করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল’  ফিরিয়ে নেওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

তার উত্তরে রোসাটম মহাপরিচালক রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আরএনপিপি’র প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটে ব্যয় করা পারমাণবিক জ্বালানি রাশিয়ান ফেডারেশনে ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সরকার এবং রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার ইতোমধ্যেই রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির ব্যয়িত পারমাণবিক জ্বালানি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষ করে বাংলাদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এজন্য তিনি রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে রাশিয়ার সহায়তার কথা এবং এবং মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশটির সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান।

আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীকে আরএনপিপির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বলেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে আরএনপিপি উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত যোগ করতে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, আরএনপিপির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

রোসাটম মহাপরিচালক আরএনপিপি এলাকায় দুটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের প্রস্তাবও দেন। তিনি বলেন, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪-এর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে আলেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্প্রসারণ আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রযুক্তিগত ও পারমাণবিক নিরাপত্তার আলোকে অধিক লাভজনক এবং যুক্তিসঙ্গত যা আন্তর্জাতিকভাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশি ও রাশিয়ানসহ প্রায় ২৫০০ কর্মী এই প্রকল্পে কাজ করছেন যারা তাদের দক্ষতা অর্জন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী রোসাটম মহাপরিচালককে বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বাংলাদেশের দক্ষতা কাজে লাগাতে বলেন।

আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, মহামারি এবং স্যাংশনের জন্য প্রতিবন্ধকতা ছিল। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক গতিতেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৌশলগতভাবে এই বাধা এড়ানো গেছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে আরএনপিপি এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটের (১২০০ x ২ = ২৪০০ মেগাওয়াট) নির্মাণকাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ এই বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে। আর ইউনিট-১ এবং ইউনিট-২ থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে শুরু হবে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে  ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাবখান সেতু টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৭ জন। তবে এ মুহুর্তে কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে ঝালকাটি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে।

জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৫ জন এবং আশঙ্কাজন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।


আরও খবর



গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৪০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতাল ও এর আশপাশের এলাকায় গত চার দিনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অন্তত ১৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েল বাহিনী।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ওই এলাকায় এখনও অভিযান চলছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির

সোমবার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

রোগী ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক সমাগমের মাঝে হাসপাতাল কমপ্লেক্স ও এর আশপাশে কয়েক দিন ধরে লড়াই চলছে। এর আগে, গত নভেম্বরে গাজার এ হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ইসরায়েল বাহিনীর অভিযান ঘিরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।

সোমবার থেকে চলমান লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে ইসরায়েল সামরিক বাহিনী বলেছে, অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল এলাকায় হামাসের ১৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

আল-শিফা হাসপাতাল এলাকায় সুনির্দিষ্ট অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল বাহিনী বলেছে, গতকাল সেখানে হামাস সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। এতে হামাসের ৫০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। গত অক্টোবর থেকে চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।


আরও খবর



লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, লুকাতে চাচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দখলদার ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বড় হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ) একটি কলাম প্রকাশ করেছে।

এতে তারা জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের নাভাতিম বিমান ঘাঁটি এবং হেরমন পাহাড়ের ওপর একটি সামরিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এই ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, নাভাতিম বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে কারণ গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, সেটি এই ঘাঁটি থেকে চালানো হয়েছিল। অপরদিকে হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। কারণ এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনাই করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাতটি পার করেছে।

হামলার ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু ইসরায়েল এসব ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

ইরানের এমন অভূতপূর্ব হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই সময় ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তাব দেন নেতানিয়াহু। কিন্তু বাইডেন এতে সমর্থন দেননি। তিনি নেতানিয়াহুকে জানান, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে এতে যুক্ত হবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তাসংস্থাটি তাদের কলামে বলেছে, ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না দেওয়ার অর্থ হলো, ইরান তাদের তেজস্বিতা প্রমাণ করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় না। এছাড়া ইসরায়েলে হামলা না চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাধাকে যে ইরান কোনো মূল্য দেয়নি সেটিও এই হামলার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এই কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আলী বাগারি জানিয়েছেন, গতকাল ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, সেটির চেয়ে ১০ গুণ বড় হামলা চালানো ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। তবে তারা পূর্ণশক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে এখনই ভাবছেন না।

নিউজ ট্যাগ: ইসরায়েল ইরান

আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর