আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নোবেল পুরস্কারের শক্ত প্রতিযোগী মোদি: অ্যাসলে তোজে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোবেল শান্তি পুরস্কারের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিযোগী বলে বিশ্বাস করেন নরওয়েজীয় নোবেল কমিটির ডেপুটি নেতা অ্যাসলে তোজে। ভারত সফরে আসা নোবেল কমিটির এই নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বর্তমান বিশ্বে শান্তির জন্য সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য একজন ব্যক্তি। এসব মন্তব্যের পাশাপাশি তোজে নিজেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন বড় ভক্ত বলেও দাবি করেছেন।

তোজে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন বিশ্বস্ত নেতা; যিনি যুদ্ধরত দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং শান্তি স্থাপনের ক্ষমতা রাখেন। ভারত একটি ধনী এবং শক্তিশালী দেশ হিসাবে গড়ে উঠছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেওয়া নীতিমালা বাস্তবায়নের কারণে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী হন, তাহলে যোগ্য এই নেতার জন্য তা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সতর্ক করে দেওয়ার বিষয়ে ভারতের প্রচেষ্টার কথা বৃহস্পতিবার স্মরণ করেছেন অ্যাসলে তোজে। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এ ধরনের হস্তক্ষেপ আরও প্রয়োজন। ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিণতি রাশিয়াকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের হস্তক্ষেপ খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। ভারত উচ্চস্বরে কথা বলে না, কাউকে হুমকি দেয় না। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছিল। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমাদের এই ধরনের পদক্ষেপ আরও বেশি প্রয়োজন।

ভারতীয় গণমাধ্যম লাইভমিন্ট বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নোবেল কমিটির ডেপুটি নেতার এমন বক্তব্য উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে। কারণ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর একটি এবং শান্তির প্রচার ও সংঘাত নিরসনে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, প্রত্যেক বছর তাদের স্বীকৃতি হিসাবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

এর আগেও কয়েকবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায় মোদির নাম যুক্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর পাওয়া হয়নি তার। অ্যাসলে তোজে নরওয়েজীয় নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির ডেপুটি লিডার এবং একজন পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে ভারত সফর করছেন তিনি।


আরও খবর



ত্রিশালে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের এনামুল হকের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২), চিকনা মনোহর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী (থিসিস) সালমান আজাদী (২৮)।

ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) চাঁদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের বাসটি যাত্রী নামিয়ে ইউটার্ন নিচ্ছিল। এমন সময় ময়মনসিংহ ছেড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও ছয়জন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



রেস্তোরাঁয় অভিযানকে বাড়াবাড়ি বলছে মালিক সমিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিশেষ করে অনুমতি না নিয়ে যেসব ভবনে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ করা হয়েছে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা। একে বাড়াবাড়ি বলছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনী সমূহ যেমন- আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদের কাজটি করতে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। এছাড়া সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক-প্রশাসনসহ অনেক অধিদফতর ও সংস্থা।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের আটক করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।

তিনি আরও বলেন, তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়, পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে যাতে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে মারামারি, তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুদিনে ভোট দেন পাঁচ হাজার ৩১৯ জন আইনজীবী। কিন্তু ভোট গণনা দিনে হবে না রাতে এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল আর সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এ সময় হারিয়ে যায় ব্যালট বাক্স। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা উদ্ধার হয়।

এক পর্যায়ে গণনা ছাড়াই শুক্রবার সকালে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক, নাহিদ সুলতানা যুথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে বহিরাগতদের চাপে তার নাম ঘোষণার কথা জানান নির্বাচনের সাব-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘোষণাটি লিখতে বাধ্য করা হয়।

ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আইনজীবীকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



নতুন নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন সিএএ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেন এলাকায় ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। এ সময় ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি এ কথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার আবারও বলেছে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও অবাধ হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত থাকতেই পারে। যে কোনো দেশের ভিন্নমতকে আমরা সম্মান করি। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টি দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সম্পর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। সুতরাং আমাদের বিবেচনায় আমাদের এ অঞ্চলের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এবং কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না-করা সরকারের ওপর বর্তায় না, সেটি সেই দলের দায়িত্ব। সে দল বরং নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে দেশে সহিংসতা ঘটিয়েছিল। এবং সেই সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদেরকেই শুধু গ্রেফতার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র যেটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে, আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠতর করার জন্য এবং আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক সেটিকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একসঙ্গে চলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।

এ সময় রমজান কিংবা ঈদ উপলক্ষে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সে জন্য সরকার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এক কোটি মানুষকে ন্যায্যমূল্যে চালসহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় অসাধু ব্যবসায়ীরা, এমনকি খুচরা বিক্রেতারাও ইচ্ছেমতো দাম নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে এই প্রবণতা আগে দেখা যায়নি।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, মানুষ এ ব্যাপারে আগের তুলনায় অনেক বেশি সোচ্চার হয়েছে। অহেতুক দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর প্রবণতা রোধ করার ক্ষেত্রে মানুষের সোচ্চার হওয়াটা সহায়ক। একই পণ্য বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে যে বিক্রি হচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই, আমাদের সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, যাতে কেউ অহেতুক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে।


আরও খবর



৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর