আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে  নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে বদলগাছী উপজেলার ১নং বদলগাছী ইউপির ৫নং ওয়ার্ডস্থ নওগাঁ-বদলগাছী সিএনজি স্ট্যান্ডে বদলগাছী রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের সামনে থেকে দশ কেজি শুকনা গাঁজা, যাহার অনুমান মূল্য ২,০০,০০০/-( দুই লক্ষ) টাকা ও  মাদকদ্রব্য বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত একটি লাল-কালো রংয়ের এপাসি আরটিআর-১৫০ সিসি মোটরসাইকেলসহ দুই জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার আশাবাড়ী গ্রামের মো. মতিন মিয়ার ছেলে মো. ছাদেক মিয়া (৩৮) নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার ঢেকরা মৃধাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মো. শাহিন আলম (৩৫)। এছাড়াও গাঁজা বিক্রেতার সঙ্গে যুক্ত দুইজন পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে পালিয়ে যায়। পলাতকরা হলেন, উপজেলার ঢেকরা মৃধাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছোট ছেলে আবু সাইদ (৩৩) একই গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মো. মজিদুল ইসলাম (৪২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জহুরুল হক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজুসহ আদালতের মাধ্যমে ধৃত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গাঁজাসহ আটক

আরও খবর



ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময়, ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



ঈদের সময় দুই দিন বন্ধ মেট্রোরেল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের পরের দিন শুক্রবার। ওই দিন মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা দুদিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকছে।

বুধবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। গত বছরের ঈদেও বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল।

নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদের দিনের বন্ধ। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুদিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার থেকে সময়সূচি মেনেই চলবে মেট্রোরেল।

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিকে মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। রমজানের আগে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজারের মতো। ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গত পাঁচ দিনে গড়ে ২ লাখ ৯০ হাজার আবার কোনো কোনো দিন তিন লাখ করে যাত্রী চলাচল করেছেন।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এর আগে বলেছিল, সংস্থাটির নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে মেট্রোরেল চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে তাদের কর্মীর সংখ্যা কম। ফলে ঈদের দিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে।তাই কর্মীদের স্বস্তি দিতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকছে। এছাড়া ঈদের সময় যাত্রী সংখ্যাও কম থাকে।


আরও খবর



ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তরে জঙ্গি হামলায় নিহত ২৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ সিস্তান-বেলুচেস্তানে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১১ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সন্দেহভাজন ১৬ সুন্নি মুসলিম জঙ্গি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, চাবাহার ও রাস্ক শহরে জইশ আল-আদল গ্রুপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ত্রাসীরা চাবাহার ও রাস্কে গার্ডস সদর দপ্তর দখলের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদি রাষ্ট্রীয় টিভিকে এ কথা বলেছেন। লড়াইয়ে আরও ১০ রেভল্যুশনারি গার্ড আহত হয়েছেন।

শিয়া মুসলমান অধ্যুষিত ইরানে আদিবাসী সংখ্যালঘু বালুচ জাতিগোষ্ঠীর আরও বেশি অধিকার এবং আরও ভালো জীবনযাত্রার দাবি জানিয়েছে জাইশ আল-আদল। সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে গত কয়েক বছরে হওয়া বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই প্রদেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সুন্নি মুসলিম জঙ্গিদের মধ্যে নিয়মিত লড়াই হতে দেখা যায়। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত লড়াই হয়।

আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা বিশ্ব এবং অন্যান্য দেশে মাদক পাচারের মূল পথগুলোর একটি গেছে ইরানের ওপর দিয়ে।


আরও খবর



দুই দশক পর র‍্যাবের খাঁচায় কক্সবাজারের ‘আজরাইল’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখার (রিক্রুটমেন্ট উইং) প্রধান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৪ হত্যা মামলা ও ৪ হত্যাচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০ মামলার রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক সুপরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠলেও নানান কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে সদর্প পদচারণার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন লোকমান। তাকে মহেশখালী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে র‍্যাব সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ শরীফ চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে এবং কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। এছাড়া ২০১১ সালের ২১ মে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কুরআনের হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখণ্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেন তারা।

লোকমান ও তার সহযোগিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই বছরের ১১ জুন কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লোকমান উপজেলার সক্রিয় প্রধান ডাকাত গ্রুপ জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার) হিসেবে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়াটে খুনি হিসেবেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঘের দখলকারী হিসেবে তার এবং তার দলের পরিচিতি স্থানীয়ভাবে সর্বজনবিদিত।

গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন নিবিড় অনুসরণের পর আমরা আসামি লোকমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন নামে বাহিনীগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর