আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নওগাঁয় ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষ, নিহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর মহাদেপুর উপজেলায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৫ জুন) উপজেলার বাগাচাড়ায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহতরা হলেন, অটোরিকশার চালক পাপ্পু সরদার (৫০) নওগাঁ সদর উপজেলার চকপাথুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খলিশাকুড়ী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২২) ও একই উপজেলার সাটিকাবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে তানভীর আহমেদ চৌধুরী (২৪)। বাকি একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নওগাঁর উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসি। এসে দেখি সিএনজিটি দুমড়ে-মুচরে পড়ে আছে। পরে সিএনজির ভেতর থেকে সিএনজির চালকসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মহাদেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, নওগাঁ থেকে ট্রাকটি মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোমবার দুপুরে হাট-চকগৌরী এলাকায় পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ড্রাইভারসহ চার যাত্রী নিহত হন।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মিলারসহ ২২৭ মার্কিনির ওপর মস্কোর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারসহ ২২৭ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ সামরিক অভিযান সমর্থন করার জন্য রুশ নাগরিকদের ওপর মার্কিন কর্তৃপক্ষ যে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করেছে, সরাসরি রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মার্কিন নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ তালিকায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সুলিভান, সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান ও সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স রয়েছেন।

লকহিড মার্টিনের আর্থিক পরিকল্পনার ভাইস প্রেসিডেন্ট শামালা লিটলফিল্ড এবং সামরিক ঠিকাদার ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড ক্লার্কসহ মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের নির্বাহীদেরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার স্টপ লিস্ট’ সম্প্রসারণের বর্তমান উদ্দেশ্য হলো, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই সহজ সত্য সম্পর্কে সচেতনতা সুসংহত করা, যে কোনও আগ্রাসী প্রচেষ্টা বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেওয়া হবে না, প্রত্যেকটির প্রতিক্রিয়া পাবে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকসহ শিক্ষাবিদদেরও টার্গেট করা হয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নজিরবিহীন তলানিতে নেমে গেছে। ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রাশিয়াও এর জবাব দিয়েছে।


আরও খবর



মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর



ঈদে গার্মেন্টস কারখানায় ৮ দিন ছুটির দাবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে গার্মেন্টস কারখানায় আট দিন ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় কমিটির সভাপতি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকার ও বিজিএমইএ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, যাতায়াতের বিড়ম্বনা এড়াতে গার্মেন্টস কারখানায় আট দিন ছুটি ঘোষণা করলে ৩৫ লাখ শ্রমজীবী মানুষ ধাপে ধাপে বাড়ি যেতে পারবে। তাই এ সুপারিশ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি ঈদে প্রায় এক কোটি মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়ে। এর মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক প্রায় ৩৫ লাখ। ঈদের আগে মাত্র এক সপ্তাহে ঘরমুখী এক কোটি যাত্রী পরিবহণের সক্ষমতা সড়ক, রেল ও নৌপরিবহণ খাতে নেই। এর ফলে প্রতি ঈদেই সড়ক ও রেলপথে বিশৃঙ্খলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।


আরও খবর



গুলশানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ডিএনসিসির অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। বুধবার (০৬ মার্চ) সকাল সোয়া ১১টা থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া অভিযানে রয়েছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

মূলত বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা দেখতে অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ওই ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে, বিশেষ করে যেগুলোতে রেস্টুরেন্ট রয়েছে, সেগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা।


আরও খবর