আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নওগাঁয় ভুট্টা চাষে আগ্রহ চাষিদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

লকলকে সবুজ পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে ভুট্টার কাঁদি। কিছুদিনের মধ্যে পরিপুষ্ট দানায় পরিণত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নওগাঁর মাঠে মাঠে এখন সবুজ পাতার সমারোহ। ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এবং ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। পরিশ্রম, খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ভুট্টার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬,৭৮০ হেক্টর। এ পর্যন্ত জেলায় ৪,৩০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা রোপণ করা হয়েছে। প্রণোদনা হিসেবে ৪,৫০০ জন কৃষককে ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। উপজেলাভিত্তিক ভুট্টার চাষাবাদের পরিমাণ- সদর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর, রানীনগরে ৫৩৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২,৯৫০ হেক্টর, মান্দায় ৩০০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১৪৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ৬৫ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ২০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩৫ হেক্টর, সাপাহারে ৪০ হেক্টর এবং পোরশায় ১০ হেক্টর। গতবছর ৬,৬০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল।

চলতি বছর জেলায় চাষিরা উন্নত জাতের তাজমেরি এইচ-৫৫, এনকে-৪০, সানসাইন, সুপারসাইন-২৭৬৯, ২৭৪০ ও ৯৬ এবং মুকুট ভুট্টার আবাদ করেছেন। জেলার নিচু উপজেলা রানীনগর ও আত্রাই। আবাদি জমি নিচু হওয়ায় সেখানে আগেই বন্যায় ডুবে যায় এবং আগেই পানি নেমে যায়। সেসব জমি ফেলে না রেখে কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে ভুট্টার আবাদ করছেন। ভুট্টার আবাদে পরিশ্রম কম ও ফলনও বেশি হয়। বাজারে দাম পাওয়ায় তাদের আগ্রহও বেশি। ভুট্টার পর উঁচু কিছু জমিতে অন্য ফসল ধান ও পাট হয়। তবে বন্যায় ডুবে যাওয়ার ভয়ে কৃষকরা আর আবাদ করেন না।

আত্রাই উপজেলার বড় কালিকাপুর গ্রামের কৃষক কৌশিক আহমেদ বলেন, দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। এ এলাকায় বন্যায় ডুবে যায়। আগে পানি এসে আগেই নেমে যায়। এরপর অন্য কোনো আবাদ হয় না। ওই জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল ভুট্টা। প্রতি বিঘায় ৪০-৪৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। একই গ্রামের কৃষক হারেজ হোসেন বলেন, গতবছর ২ বিঘায় ৮০ মণ ফলন হয়েছিল। ১ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল। এই টাকা দিয়ে ইরি-বোরো কিছু জমিতে আবাদ করা হয়। আবার কিছু জমি বন্ধক নেওয়া হয়। এ ছাড়া সংসারের কাজেও লাগানো হয়। এবার ৩ বিঘা লাগানো হয়।

কৃষক জবেদ আলী বলেন, গতবছর ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা ছিল। এবার ৫ বিঘা জমিতে লাগিয়েছি। গাছ বড় হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে গাছে ফল আসবে। এরইমধ্যে পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে। গাছের পাতা ও কচি মুজি কেটে দিচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, ১ বিঘায় আবাদ করতে ১ মণ ডিএপি, ১ মণ ইউরিয়া, কীটনাশক, চাষাবাদ ও পানিসহ প্রায় ১০-১১ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ বাদ দিয়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা লাভ থাকে।

রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় অন্য আবাদের পাশাপাশি ভুট্টার চাষ করেছেন কৃষকরা। বিশেষ করে ভুট্টা আবাদে প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলায় ৪০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গতবছর কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছিল। উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ভুট্টার আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভুট্টায় যেসব রোগবালাই হয়ে থাকে, এবার খুবই কম পরিমাণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




পাঁচ লাখ রুবলের বিনিময়ে মস্কোতে হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোর ক্রোকাস সিটি কনসার্ট হলে হামলা চালানোর জন্য পাঁচ লাখ রুবল বা পাঁচ হাজার ৪০০ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গ্রেফতার এক ব্যক্তি।

রোববার এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস। হামলার পর দীর্ঘ চেষ্টার শেষে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন মস্কোর গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ। এদিকে হামলায় নিহতের ঘটনায় শোক ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ব নেতারা।

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি বলেছেন, টাকার জন্য আমি ক্রোকাসে মানুষের ওপর গুলি ছুড়েছি। আমাকে প্রায় ৫,০০,০০০ রুবল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

তাসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য হামলায় আগেই ওই ব্যক্তিকে কার্ডে প্রতিশ্রুত অর্থের অর্ধেক অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছিল। এছাড়া কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

যদিও গ্রেফতারের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ওই ব্যক্তি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানানো হয়েছে তাসের প্রতিবেদনে।

এদিকে, হামলায় নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণা অনুযায়ী, সংসদের নিন্মকক্ষ দুমাসহ রোববার সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। ক্রোকাস সিটি হলের বাইরে ফুল, মোমবাতি আর বিভিন্ন ধরনের পোস্টার দিয়ে মোকার্ত রাশিয়ানরা নিহতদের শ্রদ্ধা জানান।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত ও বিবেকহীন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এতগুলো নিরপরাধ লোকের প্রাণহানি ঘটায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমি নিহতদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা এ হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়া এ হামলায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, ন্যাটো, চীন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশ।

বন্দুকধারীদের হামলার পর ঘটনাস্থল মস্কোর ক্রোকাস সিটিতে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ। তবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও আশপাশের এলাকায় অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এছাড়া হামলায় নিহত ১৩৩ ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আহত ১০৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার ১৪ ঘণ্টা পর রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ১১ জনকে আটক করার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছে, এদের মধ্যে চার জন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিল। তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এরা বিদেশি নাগরিক। অসমর্থিত সূত্রগুলো এই ব্যক্তিদের তাজিকিস্তানের নাগরিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইএস বলেছে তারাই এ হামলা চালিয়েছে। শনিবার তারা মুখে মাস্ক পরিহিত চার হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে। তবে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর



কুমিল্লায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় আব্দুল জলিল নামে এক প্রবাসীকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।

মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহজাহান নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন প্রবাসী আবদুল জলিল। পরদিন বাহের খোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়র করেন তার ভাই তাজুল ইসলাম।

মামলায় পর নিহত আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে বুধবার সকালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।


আরও খবর



ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে মৌসুমী মৌ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ খবর তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

ফেসবুকে মৌ লিখেছেন, ফুসফুসে ইনফেকশনের কারণে (গতকাল শুক্রবার) বিপিএল ২০২৪ এর ফাইনাল ম্যাচের পোস্ট শো ক্যানসেল করতে হলো।

এরপর তিনি লিখেছেন, জীবন মানুষকে কখন কোথায় এনে দাঁড় করায় কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু হতাশ হলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে দুর্বার গতিতে। ফরচুন বরিশালকে অভিনন্দন বিপিএল ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়।

সবশেষে মৌসুমী মৌ লিখেছেন, এবারের বিপিএলে বহুবার আমি ফরচুন বরিশালের ম্যাচ শেষে বলেছি আনফরচুনেটলি হেরে গেছে ফরচুন বরিশাল। শেষপর্যন্ত জয়টা কিন্তু তাদেরই হলো। জীবনও এমনই পুরোটা গেম। কেউ জিতে কেউ হারে!

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বিয়ে করেছেন মৌসুমী মৌ। সামাজিক মাধ্যমে সে খবর নিজেই জানিয়েছিলেন। এবার জানালেন অসুস্থতার খবর। গত এক দশক ধরে উপস্থাপনায় জনপ্রিয় মুখ মৌসুমী মৌ। উপস্থাপনার সঙ্গে অভিনেত্রী হিসেবে ২০ টিরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন তিনি। তাঁকে দেখা গেছে ওয়েব ফিল্মেও।


আরও খবর



শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, আন্দোলনে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সানজানা আহসান যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গত রোববার (৩ মার্চ) সাজন সাহার অনৈতিক প্রস্তাবের একাধিক স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন ওই শিক্ষার্থী।

যৌন হয়রানির বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০১৯ সাল থেকেই ঐ শিক্ষক তাকে নানা ধরনের হয়রানি করাসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। সেখানে তিনি সাড়া না দিলে তাকে নানা দিক থেকে হেনস্থা করে আসছে সাজন সাহা। অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে জরিমানা নেওয়া, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কমে যাওয়া, থিসিস পেপার আটকে দেয়া সহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় ওই শিক্ষার্থীকে। এসব বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে মৌখিকভাবে ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে তিনি সমাধানের নামে একাধিক শর্ত বেঁধে দেন, যার মধ্যে অন্য দুই সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা সুলতানার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেওয়া অন্যতম।

এসব বিষয়ে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র এবং অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহাকে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা বিভাগে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভাগের নামফলক কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়াসহ অভিযুক্ত শিক্ষকের নামফলক পুড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা রেজুয়ান আহমেদের কাছে যাই। বিষয়টি আসলে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে রেজুয়ান আহমেদকে কক্ষ থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যে অভিযোগ তারা এটি বিভাগীয় প্রধান বরাবর জানালে ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে এ বিষয়ে কোন তথ্যপ্রমাণ থাকলে সবাই জানতো। অভিযোগ করলেই হবে না শুধু, ‍সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার হয়রানির ঘটনা বর্ণনা করেন। পরে বুধবার দিনব্যাপী মানববন্ধন করে এবং ছয় দফা দাবি পেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই দিনই ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মৌন মিছিল সহ শুক্রবার বাদ জুম্মা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি খুবই বিব্রতকর ব্যাপার। আমার কাছে ছেলেমেয়েরা এসেছে। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের পর একে একে আরো ত্রিশোর্ধ শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার নিশ্চিতের দাবি নিয়ে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠ্য কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল চাপায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল চাপায় মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার পাড়াতলী গ্রামের সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুটির নাম মোঃ আয়াত (৩)।

আয়াত উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মামুন সিকদারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে মায়ের সাথে দাঁড়িয়ে ছিল আয়াত। স্থানীয় রবিউল নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আয়াতকে চাপা দেয়। এতে আয়াত গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়াতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথেই মারা যায় শিশু আয়াত।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর