আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৌকা প্রার্থীর হুঙ্কার ‘গ্রেফতার করতে এলে পুলিশের হাড্ডি ভেঙে দেব’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, আমার কোনো কর্মীকে গ্রেফতার করতে আসলে একেবারে হাড্ডি ভেঙে দেব। পুলিশেরা আমাকে বলছেন এটা সরকারি নির্দেশ। আমি তাদেরকে বলেছি আমার বিনা অনুমতিতে আমার কোনো কর্মী, আমার কোনো লোক বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারবেন না। আমি তাহেরপুরের রাজা। আমিই এখনকার সরকার।

নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বাড়ি বাগমারার তাহেরপুরে এবং তিনি তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন।  

কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে উদ্দেশ্য করে কালাম বলেন, শালা...বাচ্চারা তোরা আমাকে চিনিস না। আমরা বহু সহ্য করেছি। আর সহ্য করব না। আর যদি আমাদের লোককে কোনো ভয় দেখানো হয়, তা হলে কাউকে আমি আস্ত রাখা হবে না। শালারা আমাকে চেনে না। আমি যে কি করতে পারি তা তুই জানিস না।

এদিকে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বেপরোয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, তফশিল ঘোষণার পর থেকে কালাম এভাবেই বাগমারার সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে তার এসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের দুই সশস্ত্র ক্যাডারের ধারালো অস্ত্র হাতে পোজ দেওয়া আরেকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। আয়েশি ভঙ্গিতে মুখে সিগারেট গুঁজে কালামের দুই ক্যাডার দুটি বড় ও ধারালো কান্তাই হাতে পোজ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগে জানিয়েছেন, ধারালো কান্তাই হাতে পোজ দেওয়া পেছনের জনের নাম শামীম হোসেন (৩৫)। এলাকায় দাগি সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত শামীমের বাবার নাম ইদ্রিস আলী। তিনি বাগমারার রামগুইয়া গ্রামের বাসিন্দা। মুখে সিগারেট থাকা সন্ত্রাসীর নাম নাঈম হোসেন (২৫)। তার বাবার নাম বাক্কার আলী। নাঈমের বাড়িও রামগুইয়া গ্রামে। এলাকায় নির্বাচনি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই দুই সন্ত্রাসীসহ তাদের দলটি বাগমারা চষে বেড়াচ্ছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে হামলার অভিযোগে ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।

এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বাগমারার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। সহিংসতার আশঙ্কায় অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন। ফলে নির্বাচনের দিন বড় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ।

তাদের আরও অভিযোগ, রাতের বেলা কালামের মাইক্রোবাস বাহিনী আগের মতোই টহল দিয়ে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করছে। তারা যেখানেই কাঁচি প্রতীকের পোস্টার দেখতে পাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে ফেলছে। ইতোমধ্যে বাগমারায় কাঁচি প্রতীকের ২৬টি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মোসলেহ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থী কালামের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় কাঁচি প্রতীকের ৪৫ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাগমারার মানুষ অনেক বছর শান্তিতে ছিলেন। কালাম আবার সন্ত্রাস আমদানি করল।

বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী-৪ আসনের কালাম সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল ও তার কর্মী-সমর্থকদেরই দায়ী করেন।

তিনি বলেন, আমার কোনো কর্মী-সমর্থক সন্ত্রাস করছে না। এনামুলের লোকেরাই সন্ত্রাস করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশান) ও সনাতন চক্রবর্তী বলেন, বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।

নৌকা প্রার্থীর হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আমরা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ এমন হুমকিমূলক বক্তব্য দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর



শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরমে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ ও তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নিজেদের আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছেটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি ২৫০টি ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে সাজিয়ে রাখা হয় ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের গাড়ি। পাশাপাশি খাবার পানির বিশেষ ভ্যান গাড়িও রাখা হয়। সেখানে আসবেন মেয়র, কার্যক্রমগুলো করবেন পরিদর্শন, দেবেন নির্দেশনা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে এমন সব স্প্রে ক্যানন এবং ব্রাউজারের গাড়ি দেখে আশপাশের এলাকার শিশু কিশোররা আগেই জোড় হয়েছিল সেখানে। মেয়রের আসা দেখে চালিয়ে দেওয়া হলো স্প্রে ক্যানন। চারিদিকে ঝর্ণার মত ছিটতে থাকলো পানি। এ পানিতে হইহুল্লোড় করে ভিজতে শুরু করলো উপস্থিত শিশু কিশোররা। যা দেখে মেয়র আতিকও যুক্ত হলেন শিশু কিশোরদের সঙ্গে, নিজেকে ভিজিয়ে নিলেন তিনিও।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ৩ টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থার ভ্যান।


আরও খবর



এক সিগারেটের আগুনে পুড়ল ১০০ বিঘা পানের বরজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাগমারায় প্রায় ১০০ বিঘার পানের বরজ আগুনে পুড়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়েছেন ৯০ জন পানচাষি। পানের বরজ পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

পানচাষিরা বলছেন, সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

শুক্রবার (৩ মে ) দুপুরে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের পান বরজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পোড়াকয়া গ্রামের ইসাহাকের পান বরজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, শতাধিক কৃষকের প্রায় এক থেকে দেড়শ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় জমা দিব। তালিকা হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে কিছু টাকা পেলে চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

পানচাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পানের বরজে। পানের বরজ এমনভাবে পুড়েছে তাতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। বছরের এ সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া। এ সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।

আরেক চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার এক বিঘারও বেশি জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ বরজ তৈরি করতে আবার অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন জমিতে পান বপণের সময় না। তাই আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।


আরও খবর



ঈদে ১৭২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি ৮২, মৃত্যু ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। গত বুধবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় এসব মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গতকাল (বুধবার) রাত ১২টা থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনজনের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর



সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এই ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছেন ইসলাম ধর্মের হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা। তারা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা। সে অনুযায়ী, আজ ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা শেরপুর, বরিশাল, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, জামালপুর, বরগুনাসহ অনেক জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

চাঁদপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

নোয়াখালী : সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) দুই উপজেলার ৯টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তারা।

গ্রামগুলো হলো-নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

চট্টগ্রাম : সৌদি আরবের আকাশে দেখা গেছে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

জানা গেছে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেননি। বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ উদযাপন করবেন তারা।

দিনাজপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দর, কাহারোল, বিরামপুর, বীরগঞ্জসহ জেলার আরও কিছু এলাকায় আজ ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

জামালপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার, মূলবাড়ি, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, বাউসী, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, পাটাবুগা ও দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামের ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

ঝিনাইদহ : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিরত উদ্‌যাপন করছেন কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা। এ ছাড়া উপজেলার পায়রাডাঙ্গা, ভালকি ও নিত্যানন্দপুরেও ঈদের ছোট ছোট জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী বদরপুর দরবার শরীফসহ জেলার ২৭ গ্রামে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সদর উপজেলার বদরপুর দরগাহ শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার বদরপুর ছাড়াও জেলার কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা ও দুমকি উপজেলার অন্তত ২৭ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের নয় গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা একাংশ।

লালমনিরহাট : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এ ছাড়া রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ এবং কোদালকাটি ইউনিয়নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সদর উপজেলার বাউকোলা, ভাড়ুখালী, আখড়াখোলা, তলুইগাছা, তালা উপজেলার ইসলামকাটি, কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া, পাইকগাছা, খলিলনগর এলাকার অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর