পিরোজপুরের নাজিরপুরে সুলতান আহমেদ নামে এক শ্রমিকলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার উপজেলার কলারদোয়ানিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা সুলতান আহম্মেদকে উদ্ধার চিকিৎসার জন্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করেছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে এবং শ্রমিকলীগের কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।
ওই শ্রমিকলীগ নেতার ছেলে বাবুল তালুকদার বলেন, সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পিতা নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের একজন একনিষ্ঠ সক্রিয়কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। স্থানীয় সংঘবদ্ধ চিহ্নিত সন্ত্রাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের ক্যাডার কবির হোসেন বাহাদুরের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা আমার পিতাকে নৌকা প্রতীকে প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে চাপ প্রয়োগ করে এবং হুমকি দেয়। তাদের হুমকি উপেক্ষা করে আমার পিতা নৌকা প্রতীকের প্রচারণা অব্যাহত রাখায় গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে করির বাহাদুরসহ তার লোকজন আমার পিতাকে কলারদোয়ানিয়া গালর্স স্কুলের সামনে পেয়ে বেদড়ক মারধর করে। তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি পুনরায় নৌকা প্রতীকের প্রচারণা শুরু করলে কবির বাহাদুর আমার পিতাকে পুরনায় পুনরায় হুমকি দিয়ে বলে নির্বাচনের শেষে তোকে যেখানে পাবো সেখানেই খুন করে ফেলবো।
নির্বাচনের পর আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে আমার পিতাকে কলারদোয়ানিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মামুনের সারের দোকানের সামনে পেয়ে করিব বাহাদুরের নেতৃত্বে তার সহযোগী খবির খাঁ, লিটন বাহাদুর, সরোয়ার হোসেন, বজলুর রহমান, কবির ফকির, মনির হোসেন, হেমায়েত হোসেন, আব্দুল হাই, নজরুল ইসলামসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার পিতাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আমার পিতাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কবির হোসেন বাহাদুরের মোবাইলে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় জখমীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।